অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার মধ্যে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলের কাছে তেল ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
খামেনি বলেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করা উচিত।’
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে গাজার জনগণ বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়াতে কী ঘটছে দেখুন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিসহ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন। এসব দেশের নেতারা জনতার কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না তারা।’
মুসলিম বিশ্বকে উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শুধু ইহুদিই নয়, গাজার নিপীড়িত সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও দাঁড়িয়েছে।’
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘ইসরাইলের দ্বারা সংঘটিত এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও আন্দোলনকারীরা নীরব থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। কারও পরামর্শের জন্যও অপেক্ষা করবে না তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের অবশিষ্ট রাজনৈতিক সুযোগগুলো ব্যবহার করতে হবে।’
পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
৭ অক্টোবরে হামলার পর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছেন। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নজিরবিহীন বোমা হামলা এবং উপত্যকাটিতে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের অবিরাম হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ফলে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১১ জুন রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে দেশটির সিনিয়র উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে আরব সাগর থেকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে পাকিস্তানের প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশু।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ করাচি থেকে ৯১০ কিলোমিটার, দক্ষিণ ঠাট্টা থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং ওরমারা থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে সুউচ্চ ঢেউ এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত গুজরাটের তিথাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ভারত সফররত ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিংপ্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিত। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে আমরা হেরে যাই এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারপর অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মা-মেয়েকে এক রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহহারাদের জন্য তখন ঢাকায় আমাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসে লঙ্গরখানা ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল।
নিজ দলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমনকি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাথে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসাথে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দুই দেশের সহযোগিতা।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
আজ ৫ মে রবিবার দুপুর ১২টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান আইওএম’র বাংলাদেশ প্রধান আবদুস সাত্তার ইসোভ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পাঁচ দিনের সফরে অ্যামি পোপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।মঙ্গলবার ঢাকায় আইওএম-এর বার্ষিক অভিবাসন বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন অ্যামি পোপ।
আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করবেন আইওএমের মহাপরিচালক। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া অ্যামি পোপের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি অভিবাসী ও বাংলাদেশে আটকে পড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আইওএম।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তীব্র তাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমান্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় হঠাৎই ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা (রুট ৩৮) বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এ আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও যোগ দিয়েছে আগুন নেভানোর কাজে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার বলেছেন, ‘বোমা হামলার শিকার নিষ্পাপ শিশুদের দুর্ভোগের মাত্রা সম্পূর্ণ অসহনীয়, আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।’ ২০ মে মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সে ইইউর সাথে ইউকের “পুনঃস্থাপন চুক্তি” নিয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় এ কথা বলেন তিনি। খবর আনাদোলুর।
ইসরায়েলি সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণা, তারা গাজায় কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সাহায্যের অনুমতি দেবে। ওই সম্পর্কে স্টারমার বলেন, এটি ‘সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত।’ এসময় গাজায় ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির দাবির ওপর জোর দেন স্টারমার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আজ বলতে চাই, ইসরায়েলের উত্তেজনায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা গাজার জনগণকে কোনোভাবেই অনাহারে থাকতে দিতে পারি না। গাজা উপত্যকায় নতুন করে নৃশংসতার কারণে এরই মধ্যে দেশটির সাথে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সরকারের সাথে আমরা নতুন মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছি। ২০৩০ সালের দ্বিপাক্ষিক রোডম্যাপ অনুযায়ী ইসরায়েলের সাথে ওই সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে, আমরা সেটি পর্যালোচনা করবো। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ড এই পর্যালোচনা প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।
তবে যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয় রোধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। বরং অভিযান আরো জোরদার করে গাজা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।