চলারপথে রিপোর্ট :
আফসানা হক সাথী (৩৩) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কেরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১ নভেম্বর বুধবার রাত ১০টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাথী আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। সাথী দুই ছেলে নিয়ে শহরের মধ্যপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
সাথীর বাবা ফজলুল হক জানান, সাথী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সবুজ যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার সাথীকে মারধর করেছে। সবুজ অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সব জেনেও সাথী সন্তানের কথা ভেবে সংসার করছিল। কয়েকদিন আগে আবার পরকীয়ায় লিপ্ত হয় সবুজ। এসব নিয়ে সবুজ প্রায়ই সাথীর সঙ্গে ঝগড়া করতো। বুধবারও সাথীর সঙ্গে সবুজ একই কারণে ঝগড়া করে। এর জেরে রাতে সবার অজান্তে কেরি পোকা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সাথী। পরে সাথীকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করলে ওইখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সাথীর মৃত্যুর কথা শুনে সবুজ হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে গোসলে নেমে সোহেল মিয়া (৪২) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শান্তিবাগ এলাকার একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বাবুর্চির সোহেল মিয়া ওই এলাকার মৃত মহরম আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুসলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পুবহাটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ডুবে একজন মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেছেন, মানুষ ভোট দেওয়া ভুলে গেছে। ভোট দিতে চায় না কারণ মনের মতো মানুষ পায় না। এটা আমাদের জন্য কলঙ্ক হয়ে গেছে। আমি যদি না থাকতাম তাহলে নির্বাচনের গন্ধই থাকত না।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমবেত জনতাকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে ফিরোজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ ধৈর্য ধরেন। প্রশাসন থেকেও বলেছে একটু ধৈর্য্য রাখেন।
তারাও মনে করে যে আপনাদের জয় হবেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হবে। নির্বাচন খারাপ হলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। যারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
কেউ গালি দিলে ধন্যবাদ দেবেন। আঘাত করতে এলে নাম ঠিকানা দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমার নির্বাচন করতে এলে কেউ আহত হলে সেই দায়িত্ব আমার। আমার জন্য করতে গিয়ে কেউ আহত হলে আমি চলে যাব আমি এমন মানুষ না।’
অভিযোগের সুরে ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে মন্তব্য করে।
আমি একাডেমিকেলি দুর্বল। কিন্তু আমি লায়ন্স-এর গভর্ণর। আমি এখানে একে একে আসছি। ইউনিয়ন, উপজেলা ও সংসদ। তিলে তিলে ব্যবসা করতে করতে এখানে এসেছি। আমি পারব না দুর্নীতি করতে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। আমরা তো আওয়ামী লীগেরই।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে আপনাদেরকে সম্মান দেওয়া। মানুষের মূল্য একটাই তার আচার ব্যবহার। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে শান্তিমতো কাজ করতে পারিনি। অনেক বাধা-বিপত্তি আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে আসাটাও বন্ধ রাখছে কেউ কেউ। আমাদের গ্যাস আমরা সবাই পাই না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলে না কেউ। আমি সংসদের যেতে পারলে এসব বলব।’
সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে। যদি পাহারাদার ঠিক থাকে তাহলে চোর চুরি করতে পারবে না। আপনারা না গেলে চুরি করে নিয়ে যাবে।’
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করলে আপিলে তিনি তা ফিরে পান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। আজ ১৯ মার্চ রবিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, মুজিব বর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে সদর উপজেলায় ১০৫টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মান করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে। সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বড় সুলতানপুর ও সুলতানপুরে ১০টি, শিলাউরে ৬টি, মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর ও আমীরপাড়ায় ২৪টি, মৈন্দ গ্রামে ১টি, মাছিহাতা ইউনিয়নের পশ্চিম কাঞ্চনপুর ও কাঞ্চনপুরে ৪২টি ও বুধল ইউনিয়নের খাঁটিখাতা গ্রামে ২২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২২ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর ১০৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৩২টি, ২য় পর্যায়ে ১৪৫টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৬৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মরণে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো আবদুল কুদদূসের সভাপতিত্বে ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ছড়াকার বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস রহমান, গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক ও অদ্বৈত গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব কবি আমির হোসেন। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় ২০টি স্টল বইয়ের সমাহার সাজিয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক কবি মো আবদুল কুদদূস জানান, তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্ল বর্মণকে ব্রান্ড করে বিশ্বের কাছে তিতাসপাড়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ও সেরা সৃজনশীল মানুষদের উপস্থাপন করতেই অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্যোগ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।