অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২৪ সালের হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।
এ ছাড়া এবার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ এই হজ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ-২০২৪ ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, এতে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুমের সুবিধা, মক্কায় হারাম শরিফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেলের ব্যবস্থা, মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা, এক রুমে সর্বোচ্চ চার সিট, মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবার ব্যবস্থা এবং মিনা-আরফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৪৪৫ হিজরি ৯ জিলহজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার।
সরকারি মাধ্যমের হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজের মূল্য এবং সুযোগ-সুবিধা সমান, প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে, প্যাকেজ আপগ্রেডেশনের সুবিধায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়া যাবে।
সরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে এবং হজযাত্রীদের জন্য অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। উন্নতমানের বাড়ি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এজেন্সি একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে এবং বিমানভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাব সভাপতি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনে তা ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে হজযাত্রীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
আগের বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ওই বছর কোরবানি ছাড়া প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা।
এর আগে ২০২০ সালে এই প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে মোবাইল চুরির সময় চার নারীকে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই চার নারীকে আটক করার পর হস্তান্তর করা হয়েছে শাহবাগ থানায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) উজ্জ্বল ব্যাপারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল চুরি করতেন আটক চার নারী। আজ মোবাইল চুরি করার সময় এক নারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আমাদের আনসার সদস্যরা। পরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসি ফুটেজ দেখে আরও ৩ জনকে আমরা ধরি।
তিনি বলেন, বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হককে জানানো হলে তিনি পুলিশকে জানান। পরে শাহবাগ থানায় চার নারীকে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও মিথ্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছোট ভাই আরিফুল হক রনির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।
আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
ডেস্ক :
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ইসি সচিব সন্ধ্যায় স্পিকার দপ্তরকে ফোন দিয়ে সময় চেয়েছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন। এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসেব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসেবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগে আন্দোলন ছিল ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবি মাছ-মাংসের দাম কমানোর।
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবি তোলে।’ খবর বাসসের
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা শুধু ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেয়, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রিজের ওপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’
দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের দাবিদার তৃণমূলের নেতারাও। দলের সুনাম বজায় রাখতে আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।