অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সমবায় দিবস আজ। প্রতি বছর নভেম্বরের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বরাবরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫২তম সমবায় দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’
এদিকে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ‘সমবায় শেখায় একতা, সমবায় আনে সমৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মাধ্যমে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা স্বনির্ভরতা অর্জন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। কৃষি, মৎস্য, দুগ্ধ, পরিবহণ, গৃহায়ণ, শিল্প, বিমা, বাজারজাতকরণসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে সমবায় পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম-সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান।
এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সমবায় খাত দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমবায়ীরা দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সরকার স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিবিড় পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমবায়ীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছি-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সমবায়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে স্মার্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সমাজ তথা অর্থনীতিকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষকদের দাবির মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটি ১৬ দিন বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। সংশোধিত এ ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত কয়েক দিন আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর ৬০ দিন ছুটি রেখে প্রাথমিকের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির বৈষম্য থাকায় তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংশোধিত ছুটির তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
সংশোধিত তালিকায় দেখা যায়, পবিত্র রমজানসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, জুমাতুল বিদা, হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, বৈষবি, চৈত্র সংক্রান্তি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ দিন বন্ধ থাকবে। আগে যা ছিল ২১ দিন।
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৩ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিন, আগে যা ছিল ৭ দিন।
দুর্গাপূজা, ফাতেহা ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৯ থেকে ১৭ অক্টোবর ৭ দিন, আগে যা ছিল ৫ দিন।
শীতকালীন অবকাশ ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) উপলক্ষে ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ১১ দিন, আগে যা ছিল ১০ দিন।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া মোট ৭৬ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চাঁদ দেখার ওপর ধর্মীয় উৎসবের ছুটি নির্ভর করবে। জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় বিদ্যালয় পর্যায়ে পালন করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত ছুটি থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদনক্রমে ভোগ করতে হবে।
বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সূচি অনুযায়ী, এক সিফটের বিদ্যালয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা; দুই শিফটের বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা (প্রথম শিফট সকাল ৯টা থেকে সোয়া ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফট ১২টা থেকে সোয়া ৪টা)।
মূল্যায়নের সময়সূচি- প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন ৫ থেকে ১৪ মে; দ্বিতীয় প্রান্তিকের মূল্যায়ন ১৮ থেকে ২৮ আগস্ট এবং তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির বাইয়ারা গ্রামে স্বামী-সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে দুই স্ত্রী অবস্থান করছেন। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে প্রবাসীর বাড়িতে তারা অবস্থান নেন।
ওই প্রবাসীর নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
জানা যায়, প্রবাসী মাহফুজ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে জেলার লাকসাম উপজেলার গাজীমুড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে সোনিয়া আক্তার মুন্নীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাহফুজ-মুন্নী দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন সংসার করার পর গত মার্চে চাঁদপুর জেলার বাবুরহাটের কাদের ব্যাপারীর মেয়ে আর্নি আক্তারকে চাঁদপুর কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন ওই প্রবাসী। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী মুন্নী কোর্টে মামলা করেন। এ মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের সাইদুল হকের মেয়ে রিমুর সঙ্গে বিয়ে হয়। শুক্রবার সকাল থেকে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে মাহফুজের বাড়িতে অবস্থান করে প্রথম দুই স্ত্রী।
এ সময় প্রবাসী মাহফুজের মাসহ পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিষয়টি জানার পর সংবাদ সংগ্রহ কর গেলে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন এসআই সাইফুল ইসলাম।
ভোক্তভোগীরা বলেন, আমরা স্বামী দাবিতে একত্রিত হয়েছি; কিন্তু এখানে আসার পর আমাদের মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে মারধর ও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রবাসী মাহফুজের মা কাউসার বেগম।
জোড্ডা পূর্ব ইউপির সদস্য জালাল আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারা সমাধানে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তারা মামলা করেন।
এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের মামলার রায়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের আদর্শ জীবন গড়ে এমন দেশ গড়ে তুলতে হবে যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা পড়াশোনা করে একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলব; কিন্তু সুন্দর জীবন গড়ার যে মৌলিক উপাদানগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান উপাদান হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ।’
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভাল-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই সময়টা হচ্ছে জীবনের ভিত্তি তৈরি করার সময়।
একটি ভবন তৈরি করতে হলে যে কাজটুকু আগে করতে হয় তা হলো একটি মজবুত ভিত্তি, তারপর কিন্তু বড় দালান তৈরি হয়। তেমনি করে যারা শিক্ষার্থী তাদের এই সময়টা হচ্ছে জীবনের উৎকৃষ্ট সময়। এখানে আমরা জীবনকে যেভাবে গড়ে তুলব ঠিক সেভাবে পরবর্তী জীবনটাকে পার করতে পারব।’
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হবে ও নিজেদের কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষকমণ্ডলীর প্রদর্শিত আদর্শ পথকে অনুসরণ করে এমন একটি জীবনের ভিত্তি তৈরি করতে হবে, যে জীবনটা আমরা পরবর্তীতে আমাদের দেশের জন্য, নিজেদের জন্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপহার দিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী, ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিনাপরোয়ানা গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শস্তি কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ পাস হয়েছে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে জনমত যাচাইয়ের জন্য দেওয়া প্রস্তাবে আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটি বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন ও বিরোধিতা করেন। বিশেষ করে পরোয়ানা ছাড়া সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে তারা বিরোধিতা ও আপত্তি জানান। তবে বিরোধী দলের সদস্যদের জনমত যাচাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকোচ হয়েছে যায় এবং বিলটি পাস করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এ বিলটি পাস করা হয়।
এই বিলের ২৭ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ ও দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা উহার কোনো অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বেআইনি প্রবেশ করেন বা করান; কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করান যাহার ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; বা জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেন; বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এইরূপ কোনো সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যাহা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে অথবা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে সাইবার সন্ত্রাস অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিলের ২৮ ধারায বলা হয়েছে, ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এইরুপ কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জাতভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা বীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এ ধরণের অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বিলের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এ বিলের ৪২ ধারায় পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলা আছে, যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার। এবং এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট দাখিল করিবেন।