অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সমবায় দিবস আজ। প্রতি বছর নভেম্বরের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বরাবরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫২তম সমবায় দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’
এদিকে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ‘সমবায় শেখায় একতা, সমবায় আনে সমৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মাধ্যমে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা স্বনির্ভরতা অর্জন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। কৃষি, মৎস্য, দুগ্ধ, পরিবহণ, গৃহায়ণ, শিল্প, বিমা, বাজারজাতকরণসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে সমবায় পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম-সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান।
এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সমবায় খাত দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সমবায়ীরা দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সরকার স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিবিড় পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমবায়ীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছি-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সমবায়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে স্মার্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সমাজ তথা অর্থনীতিকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয়(১৪) এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী- জয়দেবপুর রেললাইনের উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী অপর একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। পড়নে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী ছিল। পোশাক দেখে ধারনা করা সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী লোকাল ট্রেন ৯৯ বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনের প্লাটর্ফমে এসে দাড়ায়। এ সময় ওই লোকাল ট্রেন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই কিশোর নামতেছিল। এ সময় ঢাকাগামী বনলতা এ·প্রেস নামের অপর একটি ট্রেন দ্রুতগতিতে ওই রেলষ্টেশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শাহীদ তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ছেলেটি স্টেশনে দাড়ানো লোকাল ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী চলন্ত বনলতা এ·প্রেসের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পোশাক দেখে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র হতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রী নিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক কালু প্রামানিক (৬০)। পথিমধ্যে মৌমাছির ঝাঁক এসে কামড়ে দেয়া চালকসহ যাত্রীদের। এতে মারা যান ভ্যানচালক কালু প্রামানিক।
আজ ০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার রতনপুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কালু উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লাউতিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২৪), ধরইল গ্রামের মৃত খোদাবক্স প্রামানিকের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৫), ধুলাউরি গ্রামের ফকির উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৫০)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভ্যানচালক কালু প্রামানিক চাটমোহর থেকে তিনজন যাত্রী ভাড়া নিয়ে উপজেলার রেল বজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একদল মৌমাছি উড়ে এসে তাদের কামড়ানো শুরু করে।
চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালু প্রামানিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলমাস আহমেদ আবির বলেন, মৌমাছি কামড়ানোর পর তাদেের হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। তাদের মধ্যে কালু প্রামানিক মৃত পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মুলগ্রাম ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। চারজনকে মৌমাছি কামড়িয়েছিল। পরে শুনি হাসপাতালে নেয়ার পর ভ্যানচালক মারা গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ জেলা শহর। ১৯৭১ সালের একইদিনে মুক্ত হয়েছিল নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট, বাহুবল, মাধবপুর, বানিয়াচং ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাও। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সফিকুর রহমান।
হবিগঞ্জ : ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ শহরসহ তার আশপাশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৩ নম্বর সেক্টরে দায়িত্বরত তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায় এবং শহরে প্রবেশের তিন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ করেন। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে।
চুনারুঘাট: ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তোরাব আলী খন্দকার, শামছুল হুদা, আব্দুল গফফারের নেতৃত্বে কয়েক শ মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা শহরে পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ করে। ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে আস্তানা গুঁটিয়ে নেয় এবং পাকসেনারা শ্রীমঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে তৎকালীন সিও অফিসের সামনে স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
নবীগঞ্জ : একাত্তরের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নবীগঞ্জ উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিল। ৪ ডিসেম্বর ভোরে অর্ধশতাধিক সহযোদ্ধা রাজনগরসংলগ্ন নবীগঞ্জ-বানিয়াচঙ্গ সড়কের পাশে অবস্থান নেয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ধ্রুব নামে এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। ফটিক মিয়া, আব্দুল আহাদ ও ছাবু মিয়া নামে তিন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর রসদ ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে গেলে তারা ৬ ডিসেম্বর ভোরে পালিয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে জনতা থানা প্রাঙ্গণে জড়িত হয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সাবসেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ: ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর সিলেটের সর্বত্র যুদ্ধে হেরে পাকবাহিনী সড়ক ও রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থেকেও ছটকে পড়ে কুখ্যাত হায়েনার দল। দীর্ঘ নয় মাস পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিজয় পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। গগণ বিদারী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শায়েস্তাগঞ্জ শহর।
বাহুবল: ৫ ডিসেম্বর বাহুবলের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হাসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ২৪জন ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেন।
ওই দুইজনের নেতৃত্বে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলের সীমান্তবর্তী কটিয়াদী বাজারে অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযান হয় বাহুবলের ধনিয়াখালীতে। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর তারা বাহুবল থানায় আক্রমণ করেন। এতে ৪ রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সবাই মিলে থানায় বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গোলারারুদ। পরে এসব গোলা ও অস্ত্র ভারতের অমপিনগর ক্যাম্পে জামা দেওয়া হয়।
একইভাবে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মাধবপুর ও বানিয়াচং উপজেলা শহর। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার অসংখ্য মানুষ হানাদারদের নিষ্ঠুরতার শিকার হন। অনেকই শহীদ হয়েছেন। শহীদদের স্মৃতিরক্ষায় জন্য হবিগঞ্জ শহরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের কাছে, মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে, বাহুবলের ফয়জাবাদ, লাখাইর কৃষ্ণপুর, চুনারুঘাটের নলুয়া চা-বাগান, বানিয়াচঙ্গের বদলপুর, মাকালকান্দির বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫ ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় সফর হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর। এ সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক ‘টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রামস্থ বানৌজা ঈসাখানে ‘এরিয়া টেনিস ও স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে’ এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ও বানৌজা ঈসা খান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৭ দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার খুলনা নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট এবং কমডোর সুপারিন্টেডেন্ট ডকইয়ার্ড দলের ৪২ জন পুরুষ ও ১৬ জন মহিলা কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।