চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ হ্যাক করে একাধিক অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ৩ নভেম্বর শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সচেতনতার জন্য ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
তিনি লিখেন, আমার ফেসবুকের সব বন্ধুরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজটি (Mohammed Mohiuddin Ppm) হ্যাক হয়েছে। যাতে অপ্রত্যাশিত কিছু ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। দয়া করে কেউ বিচলিত হবেন না। দ্রুতই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত একটি আইডি ও একটি পেজ আছে। আজ আমার পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন করে জানায়, আমার পেজটিতে আপত্তিকর ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। তারপর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ধরনের ঘটনা বিব্রতকর।
ওসি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছি, যেন কেউ বিচলিত না হন। এছাড়া এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আশা করছি অচিরেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে মেঘলা আক্তার নিলুফা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৮ মার্চ দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ইমামবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মেঘলা আক্তার নীলুফা (১৯) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসগার (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মোঃ মুসলিম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নীলুফার পিতা পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকসা চালক।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, দুপুরে একটি মালবাহী ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে নীলুফা আত্মহত্যা করেছেন।
তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চার বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও খুলছে।
আগামী ২৯ জুলাই সোমবার থেকে হাট বসবে বলে জানিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থানা কমিটি।
এ লক্ষ্যে আজ ২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্ত হাট পরিদর্শন করেছেন হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা।
পরিদর্শন দলে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন ত্রিপুরার সীপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে কসবার তারাপুর সীমান্ত এবং সীপাহিজলা জেলার কমলাসাগর সীমান্তে চালু করা হয় হাটটি। এতে দুই দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান রয়েছে। করোনার প্রকোপ দেখা দিলে ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাটটি বন্ধ ঘোষণা করে ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সীমান্ত হাট পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেসমিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, কমিটির আলোচনার মাধ্যমে হাট খোলার জন্য সম্ভাব্য তারিখ ২৯ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতের তরফ থেকে হাটে নতুন বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে তাজা মাছ চাওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আর সীমান্ত হাট দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন হাটের ভারত অংশের সভাপতি।