চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান ওই এলাকা গুলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাতা শামীম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পেটুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শামিম মিয়ার বিয়ে হয়। নাহিদা আক্তার ও শামিম মিয়ার সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর নাহিদা আক্তার তার স্বামী শামিম মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর পর তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে না গেলে শামীম তার বাবা হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাহিদা আক্তার এরই মধ্যে পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে ফের কলহ শুরু হয়। এরই জেরে ৩ নভেম্বর শুক্রবার নাহিদা আবার বাবার বাড়ি চলে আসেন। নাহিদাকে ফিরিয়ে নিতে শামীমের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি আসে। কিন্তু শামীমের সংসারে নাহিদা আক্তার ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরই জেরে ভোরে শামীম শ্বশুর বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, হামলা ও বিষ্ফোরনে ঘটনায় বিএনপি নেতা এস.এম. রাষ্টু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এস.এম রাষ্টু বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মিয়া চান সরকারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছৈয়দুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, আওয়ামীলীগ নেতা তৈফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুর্নিমল সাহা, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়াসহ ১৬৮ জন।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী এস.এম রাষ্টু অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনের আগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলার মীর্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে আসামীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করে। আসামীরা খালেদ মাহবুব শ্যামলের দুটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মারধোর করে। ঘটনার পরদিন বাদি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেননি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা জাপান ইটভাটার শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে স্থানীয়রা ধানের জমিনের আইলে লাশ পরে থাকতে বিজয়নগর থানা পুলিশকে অবহিত করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিক মোঃ ফজলুল হক (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করে।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত মোঃ হেলাল উদ্দিন ছেলে।
জাপান ইটভাটার মালিক পক্ষ দাবি করেন, শ্রমিকের দায়িত্ব সর্দারের। আর তাদের খোঁজ রাখার দায়িত্বও সর্দারের। শনিবার সন্ধ্যায় ওষুধ আনতে ডাকবাংলো মোড় যাওয়ার জন্য বের হয়।
বিজয়নগর থানার এস.আই মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, জমিতে লাশ পরে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পাচারকালে ১৬২ বোতল ফেনসিডিলসহ আনোয়ার হোসেন ও মান্না আহমেদ সুমন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের সাফা গ্রামে ও মান্না আহমেদ সুমনের বাড়ি একই জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মাইজ গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাবিলা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে শ্বাশড়ি সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
নাবিলা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বুধল ইউনিয়ন বেতবাড়িয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে৷
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৬ বছর আগে নাবিলাকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড়পুকুর পাড় গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুজন মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর নাবিলার বাবা বাবুল মিয়া নিজের টাকা দিয়ে সুজনকে সৌদি আরবে পাঠান। বিদেশ গিয়ে তার বড়ভাই উসমানের কাছ থেকে একটা জায়গা কিনেন সুজন। এরপর থেকে এ জায়গা নিয়ে শ্বাশুড়ি, দেবরদের সাথে ঝগড়া হতো নাবিলার। আজকে একরকম ঘটনা ঘটে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিলা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।