চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। অনুষ্ঠিতব্য দ্বিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিসহ নেতৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই পক্ষের নেতাদের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান। এর আগে আজ দুপুরে এক সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সম্মেলনে যাবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বড় একটি অংশ এক পক্ষে। তাঁরা দুজনই জেলা বিএনপির ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেক পক্ষ সক্রিয়। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনজন দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে শহরের আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ থেকে হাফিজুর রহমান ও জহিরুল হকের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, আজ বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। পরে তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বৈঠক হয়। সেখানে জেলার কমিটি ও নেতৃত্বের নানা অসংগতি তুলে ধরেন মুশফিকুর রহমান। ওই সভা শেষে ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান রাতে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ভাইয়ের সঙ্গে একটু আগে আমার কথা হয়েছে। সম্মেলনের ১৮ জানুয়ারির তারিখ পরিবর্তন হবে। সম্মেলনের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। আপাতত ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আগামী ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে জানানো হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব হল আপনারা কিভাবে আগামীতে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সার্বজনীন স্বীকৃত নির্বাচন করবেন এটি আপনাদের দায়িত্ব। যেই সংস্কারের কথা আপনারা বলছেন এই সংস্কার ২০২৩ সালে ২৩ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফার কথা তুলে ধরেছেন। এই ৩১ দফার মধ্যেই নির্বাচন থেকে শুরু করে সব বিষয়েরই সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই বিলম্ব হবে আরেকটি ফ্যাসিস্ট মাথাচারা দিয়ে উঠবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করার সুযোগ করে দিতে তিনি আহবান জানান।
২৬ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এই কথা বলেন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তারেকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মইনুল হোসেন চপল।
দোয়া পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের দাবিতে আজ ১ অক্টােবর রবিবার কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স এবং মিডওয়াইফরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে তাদের এই কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএন) কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা একযোগে এই কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে।
নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক কমিটির সহ-সভাপতি রবিন সরকারের সভাপতিত্বে ও কমিটির সভাপতি সভাপতি অপু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তানজিলা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইভান খান, প্রবর্তনা সম্পাদক আফসানা আক্তার ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আকলিমা আক্তার।
মানববন্ধনে নার্সিং ইনস্টিটিউট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম, ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স পাস করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কর্মরত আছি।
বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) প্রদত্ত লগবুকের ১৪ পৃষ্ঠায় কোড অব কন্টাক্ট এন্ড রেগুলেশন এর ১ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও আমরা ইন্টার্ন চলাকালীন কোনো ভাতা পাচ্ছি না।
আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে বিএনএমসি এবং নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) কাছে দরখাস্ত দিলেও ইন্টার্নভাতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কোন সমাধান পাচ্ছি না। তারা বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নার্সিং পড়ছেন। তিন বছরের কোর্স শেষে তাঁরা রাত দিন ২৪ঘন্টা হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন।
তারা বলেন, প্রতিমাসে আমরা ছয় থেকে আট হাজার টাকা করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়ার কথা। এই নায্য পাওনা আদায়ের দাবিতেই আমরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। ইন্টার্ন বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষের মধ্যে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২৫টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
কম্বল বিতরণের সময় সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমিসহ ঘর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মজলিশপুর আমিরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় ১২৫ টি পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্রহীন মানুষগুলোর শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিতে পেরে হৃদয়ে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়া পেলাম।
এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।