চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় মো. হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক ইটখোলার শ্রমিক নিহত হয়েছে। ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের দৌলত পাড়ার ব্রিকস ফিল্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাফিজুর রহমান একই এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাফিজুর ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতো। ভোর ৫টার দিকে মাটিবাহী ট্রাক্টর মাটি ফেলতে গিয়ে ভুলবশত হাফিজুরকে চাপা দেয়। পরে ইটখোলার কয়েকজন শ্রমিক হাফিজুরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির সময় তিন জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ২৪ জুন মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট সাইফের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করার সময় তিনজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ হাবিব মিয়া ছেলে মোঃ মোকলেস মিয়া (৫৫), মৃত শামসু মিয়ার ছেলে নয়ন (৩০) এবং আব্দুল আলীর ছেলে মোঃ আরাফাত আলী।
অভিযানে গ্রেফতার করার পর তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
খাটিহাতা এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন যানবাহন থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি চাঁদা তুলে আসছে। একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি সড়ক দখল সন্ত্রাসী প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান আব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড (খাটিহাতা) নামক স্থানে চাঁদা আদায় করার একটি ভিডিও ধারণ করে সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড দেওয়া হয় এবং সাথে সাথে এই ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওতে এক চাঁদাবাজকে বলতে শোনা যায় ৪০ বছর ধরে এভাবেই গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। ভিডিওটি সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসলে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এদের পিছনে কারা এই চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে এটি খতিয়ে দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (খাটিহাতা) বিশ্বরোডের গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিকে চাঁদাবাজমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও যাত্রী সাধারণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বেপরোয়া গতির ট্রাক্টর চাপায় মো. আবদুর রহিম মিয়া (৫০) এক মাদ্রাসার কর্মচারী নিহত হয়েছে। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১টার দিকে সরাইল- নাসিরনগর- লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের বড্ডাপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করলেও পালিয়ে গেছে চালক ও হেলপার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরাইল রাহমাতুল্লিল আল আমীন মাদ্রাসার অফিস সহায়ক আবদুর রহিম। তার বাড়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন বড্ডাপাড়া গ্রামে।
শনিবার বেলা ১টার দিকে তিনি সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছনের দিক থেকে বালু বোঝাই বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক্টর রহিমকে চাপা দেয়। ট্রাক্টরের চাপায় ঘটনাস্থলেই রহিম মারা যান। এসময় ট্রাক্টরটি ফেলে চালক ও হেলপার দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক্টরটি আটক করে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই সড়কে হাল চাষের ট্রাক্টর গুলো এখন ইট, বালু ও মাটি টানছে। অধিকাংশ চালক ও ট্রাক্টর গুলোর কোন বৈধ কাগজ বা অনুমতি নেই। শিশু ও কিশোর চালকরা কানে মুঠোফোন লাগিয়ে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চালিয়ে থাকে। এমন অনিয়ম যখন নিয়ম তখন তো ট্রাক্টর গুলো মানুষকে চাপা দিবেই।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২১ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সমাজসেবক মো: জামাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি যুবলীগের সাবেক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাজ্জি, মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্য নির্বাহি কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সেলিম খন্দকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সেলিম খন্দকার।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হানিফ আহমেদ, কাউছার মিয়া, মো: আলতাফ হোসেন, মো: হোসেন মিয়া ও মো: এনাম খান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শামীমা আক্তার, আবেদা বেগম, রোকেয়া বেগম ও মো: শিরিনা আকতার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন প্রার্থীগণ। মতবিনিময় সভা করে প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও বসে নেই। নিজ নিজ প্রার্থীতার সমর্থনে জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ভাসমান ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার পর সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্স মোড় ও বাজারে ঘুরে ফিরে প্রায় ২ শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুকে কম্বল পরিয়ে দিয়েছেন নিজ হাতে।
কম্বল বিতরণকালে মঈন উদ্দিন মঈন এমপি’র সাথে ছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সরাইল থানার সাব-ইন্সপেক্টর পঙ্কজ দাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হোসেন মিয়া, মো. বাবুল মিয়া, সরাইল সদর ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিহাদ উদ্দিন ঠাকুর চয়ন প্রমুখ।
মাঘ মাসের এই হাড় কাঁপানো শীতে এমপি’র হাত থেকে কম্বল পেয়ে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন শীতার্ত লোকজন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি মঈন উদ্দিনের জন্য দোয়া করেন।
মঈন উদ্দিন মঈন এমপি বলেন, আমি আপনাদের ভোটে কামলা নিযুক্ত হয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এর সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সুখে দু:খে পাশে থেকে কাজ করাই আমার অঙ্গীকার। আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয়। আমি সকলের। সকলেই আমার।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সেবক হিসেবে আমৃত্যু আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এ জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।