চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার পরিচিতি সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসজিদ রোডে অবস্থিত ক্বারী চাইনিজ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে এ অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির সভাপতি ডাঃ মোঃ মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. এম. নাঈমুর রহমান ও কার্যকরি সদস্য মোহাম্মদ জামাল হোসেন পান্নার যৌথ সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খান সাদাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির উপদেষ্টা এড. কামরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন রানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বনামধন্য ডাঃ মেরাজুল ইসলাম অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ মাও. নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মুমিনুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য ডাঃ ফাতেমা তোজ্জোখরা প্রমুখ।
বক্তাগণ গত ২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল-২০২৩ পাস করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও হোমিওপ্যাথিক বোর্ড চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও বক্তগণ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের এক্য ও কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মুফতী সাইফুল ইসলাম শাওন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে খেলাপী হ্রাস ও ঝুঁকি নিরসনে বিএম’র করণীয় শীর্ষক কর্মশালা আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় আশার সকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আশার হবিগঞ্জ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ফ্যাসিলিটেটর সহায়ক একে.এম তারেক, সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্মশালায় খেলাপী বৃদ্ধকরণ, ঝুঁকিমুক্ত ঋণ বিতরণে করনীয়, ব্রাঞ্চ টেকসই উন্নতিকরণ, মানি লন্ডারিং, সার্বিক উন্নতি করণীয় ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ছয় মাসের শিশু নুসরাত জাহান তিথি। পাশের খাটে ঘুমিয়ে ছিল বাবা। গভীর রাত, দরজা-জানালা বন্ধ। এরমধ্যে বিছানায় নেই শিশু তিথি। বাবা-মায়ের দাবি, জিন-ভূত এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন মা স্বপ্না বেগম।
জানা গেছে, গত ৩০ জুন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ১ জুলাই রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ আজ ২ জুলাই মঙ্গলবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল তিথি। পাশের খাটে শুয়ে ছিল তার বাবা। তিথি রাতে কান্নাকাটি শুরু করলে বিরক্ত হয় তার মা স্বপ্না বেগম। এক পর্যায়ে স্বপ্না বেগম তিথির মুখে কাপড় চেপে মেরে ফেলে। এরপর তিথির বাবাকে ডেকে তার লাশ ফেলে দিতে বলে। স্ত্রীর কথা মতো লাশ খালে ফেলে দিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ে জিল্লুর রহমান। সকালে উঠে জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না দম্পতি সন্তান নিখোঁজ হওয়ার কথা বলতে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে মা-বাবার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। তারা এসে সন্তান নিখোঁজের কথা বলে থানায় জিডি করে। এ দম্পত্তির দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। ১০ বছরের তাদেরকে আরেকটি মেয়ে রয়েছে।’
১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য তাদেরকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ু মুখ ক্যান্সারের টিকা দেয়া হবে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বলেন, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একটি করে ডোজ দেয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেয়া হবে।
এ সময় আরো বলা হয়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শোভন চন্দ্র সাহা।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।