চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা রটনা করছে আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। এটা একবারেই অপবাদ। আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, অন্যায় করে তাদেরকে আমি পছন্দ করিনা।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয় ও ভূমি অফিস ভাংচুর করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আমি মনে করি তারা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া পুলিশের কাজ। তিনি বলেন, আমার বিরোধ আলেম ওলামাদের সাথে নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের কারণে কিছু লোকের সাথে আমার বিরোধ আছে। তবে ওলামা হিসেবে কারো সাথে বিরোধ নেই। যারা মিথ্যা বলেন, তারা যদি তওবা করেন তাহলে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক রাখতে কোনো সমস্যা নাই। এই জেলায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি আলেম-ওলামা রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই আমার কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার জানাযা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে নাকি আমি মোবারকউল্লাহ হুজুরকে আসতে বাঁধা দিয়েছি। তবে আমি তাকে বাঁধা কেন, এ বিষয়ে কিছুই বলিনি। তানভীর ভূঁইয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা তার ভাগিনা পরিচালনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কলাপাতার পানির মধ্যে ধানের শীষ দেখা গেছে, এই রাজনীতি আবারো শুরু হতে পারে। তিনি এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান।
তিনি জেলার প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবার সময় মাদক, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বয়ান করার জন্য ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখরা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ৩ শতাধিক আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। খেজুরের প্যাকেটে এর জাত ও মূল্য না থাকায় ওই ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, খেজুরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার কোর্ট রোড, মসজিদ রোড ও থানা রোডের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কয়েকটি দোকানে জাত ও দাম না লেখা এবং ক্রয় রশিদ না থাকার বিষয় পরিলক্ষিত হয়। অভিযানের সময় খোলা খেজুর ডেকে বিক্রি করার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগ করেন, রাতে রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক তোলা ছিল। তাই রিকশা বিনা বাধায় ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর স্বামী নিহত হন ও এক মেয়ে আহত হয়। লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে গেটম্যান সুমন মিয়া জানিয়েছেন, লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো ছিল। ওই যাত্রীরা নিজেরা প্রতিরোধক উঠিয়ে লেবেল ক্রসিং এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা যান।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিং এলাকায় গেটম্যান গেট ফেলেননি। আমাদের পরিদর্শক সেখানে গিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করব। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বিভাগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। এ ছাড়া নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ এলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের নদী ও জলাশয় রক্ষায় একমাত্র সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বলে মত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। তারা আরো বলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ প্রয়োজন। আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সুরসম্রাট আলাউদ্দিন মিউজিক হলে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের আওতায় আয়োজিত ‘নদী ও জলাশয় সুরক্ষা: প্রত্যাশা এবং সুপারিশ’ শীর্ষক এই আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দদূষণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, বাল্যবিবাহ এবং মাদক সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠছে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এম এ এফ (MAF) সভাপতি এ বি এম মোমিনুল হক। সভায় তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমাদের প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে যেন তারা ভবিষ্যতে পরিবেশের জন্য আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়।’
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সমস্যাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই, জ্যাম এবং নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত। তরুণদের এই সকল সমস্যার কথা তুলে ধরতে হবে’। এই দায়িত্ব পালনে সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
‘তরী বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক শামীম আহমেদ-এর সঞ্চালনায় ‘নদী ও জলাশয় সুরক্ষাঃ প্রত্যাশা ও সুপারিশ’ শীর্ষক একটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েও খাল খনন প্রক্রিয়া চলমান জানিয়ে বলেন, নদী-র নাব্যতা বজায় রাখতে বোরো মৌসুমে কৃষকের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিএডিসি। তিনি নদী ও জলাশয় রক্ষার বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার উপর জোর দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালিদ ইবনে সাদিক জানান, গৃহস্থালী বর্জ্যের কারণে নদীর স্বাভাবিক অবস্থা দূষিত হচ্ছে। নদী দখলদার এবং অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।কারেন্ট জাল এবং চায়না জালের কারণে নদীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তবে, নিয়মিত যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও প্রকৃত জেলেরা অজ্ঞতার কারণে নিবন্ধিত হচ্ছে না বরং এই সুবিধা প্রভাবশালী লোকেরা নিয়ে নিচ্ছে, এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন তার বক্তব্যে তিতাস নদীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ্য এর কারণে সৃষ্ট সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে মূল্যবান মতামত দেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ছাড়াও ’নেতা আসছে’ শিরোনামে একটি মঞ্চনাটক পরিবেশিত হয়। এই মঞ্চনাটকের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের জন্য সহজে ক্ষুদ্র ঋণ, পাবলিক টয়েলেট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি দাবীগুলো amiojittechai.com ওয়েবে প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। মঞ্চনাটক শেষে কুইজ প্রতিযোগিতা, এবং ক্যাম্পেইনের রিল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।ইউএসএআইডির স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে পরিচালিত ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনটির অধীনে স্থানীয় জনগণকে তাদের মতামত ও দাবি তুলে ধরার জন্য উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম www.amiojittechai.com এর মাধ্যমে অভিমত প্রদান করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ. রোডে সংঘর্ষের সময় মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে গতকাল ২৩ আগস্ট শুক্রবার এ মামলাটি দায়ের করেন। নিহত হোসাইন আহাম্মদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দের বাসিন্দা।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান (এম.এ.এইচ মাহবুব আলম), জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-সংসদের সাবেক ভিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম রানা, ঠিকাদার হামদু মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনশ’ লোককে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় তানিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির চলাকালে ২৭ মার্চ সকাল ১০টায় হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে পরের দিন হরতালের সমর্থনে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিলটি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে গিয়ে আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হোসাইন আহাম্মদ মাথার ডানপাশে গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। এমনকি পুলিশের চাপে তখন নিহতের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় স্থানীয় ইউনাইটেড কলেজ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এফ জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডাঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মোস্তাকের অনুসারীরা সব সময় ঘাপটি মেরে থাকে। ১৯৭১ সালেও এই মোস্তাক ছিলো কিন্তু সে সময় কেউ তাকে চিনতে পারেনি। সেই মোস্তাক ১৯৭৫ সালে তার প্রকৃত চরিত্রের বহিঃ প্রকাশ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রক্তের ঋণ শোধ করব।