অনলাইন ডেস্ক :
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির যানের এ অংশের উদ্বোধন করা হয়।
তবে আজ উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল ৫ নভেম্বর রবিবার থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এ অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নগরবাসী ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন মাত্র ৩১ মিনিটে। এতে বাঁচবে ওই পথ ব্যবহারকারী মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এ সময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।
ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ২১.২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বরে চালু হয়। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রো লাইন নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।’
কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজ ৮ মার্চ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান শেখ হাসিনা এবং আজ বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, ঢাকা সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার করা হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ অংশটি আল জাজিরাতে আগামী ১১ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’
রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সাথে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বা শেষ ধাপে বুধবার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
উপজেলার ফলে দেখা গেছে, জয়ী প্রার্থী সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি উপজেলার ভোট গ্রহণ হয় চতুর্থ ধাপে। বাকি ২০টি উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
শেষ ধাপে ৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
কুমিল্লা : জেলার উত্তর জেলা মহিলা লীগের সদস্য রেহানা বেগম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট। রেহানা কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী।
নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ছুফু কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম গোলাম ফারুক দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের খায়রুল হুদা চপল জয়ী হয়েছেন। ৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৫৪ ভোট। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪১ জন। হিজড়া একজন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৭৮টি।
বরগুনা : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বরগুনার আমতলীতে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও তালতলীতে মনিরুজ্জামান মিন্টু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন, ১০ হাজার ৮৯১ ভোট। ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট বেশি পেয়ে গোলাম সরোয়ার ফোরকান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তালতলী উপজেলা পরিষদে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকততম প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট। এক হাজার ৯৮৩ ভোট বেশি পেয়ে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চাঁদপুর : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হিসেবে চিংড়ি প্রতীকের খাজে আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন। মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ ভোটারের মধ্যে শতকরা ২২.৩০ ভাগ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাজে আহমেদ মজুমদার ৬০৮৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিককটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমীর আজম রেজা ২০০২১ ভোট পেয়েছেন। দুই জনের ভোটের ব্যবধান ৪০৮৫৩ ভোট বেশি পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছে। এদেরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৭ জন। ১১৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৮৭৪টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া মোট ১১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজাহান কাপ-পিরিচ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫৮৪ ভোট।
রংপুর : চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।
ফেনী : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।
যশোর : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।
ভোলা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোলার দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মনপুরা উপজেলায় মো. জাকির হোসেন, চরফ্যাশন উপজেলায় জয়নাল আবেদীন আকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মনপুরা উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে মো. জাকির হোসেন ২১ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারিয়ার চৌধুরী দীপক পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৭৬ ভোট।
সিলেট : জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট।
জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ : কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।
রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট।
জামালপুর : সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তালেব উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৭ ভোট।
বরিশাল : বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ২৫ হাজার ১১৪ ভোট।
ময়মনসিংহ : জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।
গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪৫ ভোট।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮৭ ভোট।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।
ফরিদপুর : বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট।
কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৯ ভোট।
বগুড়া : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১ ভোট।
অন্যদিকে ধুনটে ৪০ হাজার ৬০ ভোটে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬২ ভোট।
দিনাজপুর : ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিল্টন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭ ভোট।
পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৭১ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৪ ভোট।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামুল হাসান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট।
হবিগঞ্জ : মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান ঘোড়া প্রতীকে ৬২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫২ ভোট।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান ঘোড়া প্রতীকে ৫২ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৬২ ভোট।
টাঙ্গাইল : জেলার গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কেএম গিয়াস উদ্দিন, মির্জাপুরে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও সখীপুরে মুহাম্মদ আবু সাইদ মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী অলিদ ইসলাম পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চার উপজেলার ৩৬৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসব উপজেলায় ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গোপালপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আগেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মোজাহিরুল ইসলাম মনির কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।
মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়া আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সানোয়ার হোসেন সজিব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪১ ভোট।
কাজী অলিদ ইসলাম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহা. শহীদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ ভোট।
রাজশাহী : জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের মো. রোকনুজ্জামান রেন্টু পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট।
এছাড়া চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী মাহমুদুল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ : রেজাউল হক কাজল আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রকিবুল হাসান শিবলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট।
আবুল মনসুর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৬ ভোট।
কুলিয়ারচর একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হোসেন লিটন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
খুলনা : জেলার দাকোপ উপজেলায় আবুল হোসেন ৩৬ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় মো. মোতাহার হোসেন ৩৩ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া রূপসা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এতে সাবেক তিন মন্ত্রী, এক এমপিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক তিন মন্ত্রী হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।
২৯ আগস্ট বুধবার রাতে সুহিলপুর ইউনিয়নের হারিয়া গ্রামের বাবুল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আসামিদের মধ্যে সবাই জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। তা ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হয়েছিল।
তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিসিক এলাকায় আন্দোলনে যোগ দেন বাবুল মিয়ার ভাই জহিরুল ইসলাম। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলি ও বোমা বর্ষণে জহিরুল মারা যান। মামলায় সাবেক এমপি মাইনুদ্দিনকেও আসামি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মুদি দোকানীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় মুদি দোকানী বিলাস কুমার ঘোষের ৪ হাজার টাকা, সুজিত কুমার মন্ডলের ৪ হাজার টাকা ও রঞ্জন চন্দ্রের ২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই জয় দাস তার সঙ্গে ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশের কর্মীদের অনেকই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে গিয়ে কাজ পাচ্ছে না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন দেশে সর্বনিম্ন কত বেতনে বাংলাদেশি কর্মীরা যাবে, সেটির একটি চাহিদাপত্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর যৌথভাবে আয়োজন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইওএম ও ব্র্যাক।
ইমরান আহমদ বলেন, এ বছর (২০২২ সাল) আমাদের বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১১ লাখ হয়ে গেছে। অর্থবছর হিসেব করলে এবং মালয়েশিয়ায় ভালোভাবে যাওয়া শুরু হয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মী হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে, কোন কোন দেশে মিনিমাম কত স্যালারি হলে ডিমান্ড নোট গ্রহণ করব। আমরা একটা ফিগারে আসব।
এ সময় মন্ত্রী সৌদিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অন্য দেশের কর্মীদের বেতনের যে পার্থক্য তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সৌদিতে আমাদের ওয়ার্কাররা পায় ৮০০ রিয়াল আর অন্যান্য দেশের ওয়ার্করা পায় ১ হাজার থেকে ১২শ রিয়াল। এখানে একটা বিষয়ে আমাদের গুরত্ব দেওয়া দরকার। আমাদের ওয়ার্কারদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে, এটা বিরাট দায়িত্ব।
অভিবাসন ব্যয় প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনটা ওয়ান ওয়ে প্রসেস না। দু’পক্ষ থেকে এটা হয়। কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা যে দেশে কর্মী পাঠাচ্ছি, সেদেশে কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আমাদের লক্ষ্য মানুষ পাঠানো, অনেক ক্ষেত্রে রিজেনেভল না হলেও আমাদের হজম করে নিতে হয়। তাহলে কী সরকার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় মেনে নিচ্ছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন, বাধ্য হয়ে না। এটা ওই দেশের যে সিস্টেম আছে, সেটা আমাদের এগ্রি করতে হচ্ছে। এর মধ্যেই অন্যায় যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
মন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মালয়েশিয়াতে আমাদের এমওইউ মোতাবেক খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি শুনতেছি, মালয়েশিয়ায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিচ্ছে। মালয়েশিয়ায় যে পরিমাণ কর্মী যাচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ২০ গুন কর্মীকে ভুয়া মেডিকেল করানো হচ্ছে- এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না?, জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে যেসব রিক্রুট এজেন্সি ভুয়া মেডিকেল ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি সব লাইসেন্স বন্ধ করে দেব।
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন ড. ব্রেন্ড স্পেনিয়ের বলেন, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। তবে আমরা নিরাপদ অভিবাসন প্রত্যাশা করি। সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, প্রবাসীদের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কোভিড-১৯ কালেও প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের বিদেশের যাওয়ার পাশাপাশি ফিরে আসার পরেও কাজে যুক্ত করতে চাই আমরা। প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্র্যাকের অনেক উদ্যোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার ইসব বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রত্যাশা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সহযোগিতা করছে বলে আমরা ধন্যবাদ জানাই।