চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের সংস্কার কাজ, ড্রেন নির্মান ও বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে শহরের পুরাতন জেলখানার মোড় থেকে মেড্ডা পীরবাড়ি পর্যন্ত (বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হুদা সড়ক), বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দিঘীর চতুরপাশের সড়ক, মেড্ডা তিতাসপাড়া সড়ক, পৌর শিশু মেলার বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ, শহরের কে.দাস মোড় থেকে আনন্দ বাজার খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, শহীদ পলু সড়ক (কোর্ট রোড), নব-নির্মিত মসজিদ রোডের উন্নয়ন কাজ, শিমরাইলকান্দি প্রধান রাস্তা ও উন্নয়ন কাজ, ফুলবাড়িয়া প্রধান সড়ক ও আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজ, ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ, ভাদুঘর দারোগা বাড়ি রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পূর্ব পাইকপাড়া ধোপা বাড়ি, গগনসাহা বাড়ি, ননি সাহা বাড়ি, অধ্যাপক হরলাল রায় রোড ও কুসুম দাস সড়কের উন্নয়ন কাজ ও ড্রেন নির্মান, উত্তর পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দাড়িয়াপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, আমিনপুর থেকে চন্ডালখিল-নয়নপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন ও মেয়র নায়ার কবির সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে পৌরসভার মিলনায়তনে মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর সভার কর্মকর্তাগন, পৌর কাউন্সিলরগন, ঠিকাদারগন ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আজ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। চলতি মাসে আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার হবে। তিনি ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুনগত মান বজায় রেখে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবেন। উন্নয়ন কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তা বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। পরে তিনি ফিতা কেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, প্রকল্পগুলোর প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, পৌর সভার সকল রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে। চলতি মাসেই আরো কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের (অনুর্ধ্ব ১৫) চূড়ান্ত পর্বে খেলবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিলেটের জলটোপ ফুটবল একাডেমির সাথে টুর্ণামেন্টের প্রথম ম্যাচে অংশ নেবে দলটি। এ উপলক্ষে অনুশীলনে ব্যস্ততম সময় পার করছে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির খেলোয়ার ও সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দেশের ১৯ জেলার ২৪টি জোনে ১৭০টি দল গ্রুপভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট অংশ নেয়। ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি নকআউট পর্বে অংশ নিয়ে ১২টি একাডেমি চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১২টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেবে। ৪ গ্রুপের বিজয়ীদের নিয়ে দুটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুটি দল ফাইনাল ম্যাচ খেলবে।
বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহন উপলক্ষে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। প্রেস ব্রিফিং এ ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাত্র এক বছর আগে আশুগঞ্জে কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষানুরাগী হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া ও তার ছেলে প্রয়াত প্রভাষক কামাল হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাদের একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অল্প সময়ের মধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে দলটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি এক তারকা একাডেমির মর্যাদা অর্জন করেছে। এ টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে তাদের মেধাবী ফুটবলাররা এলিট একাডেমিতে জায়গা করে নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস।
প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন, ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেনের, প্রধান কোচ রিয়াদ মেহেদী, সহকারি কোচ শাহীদ হোসেন, পরিচালক আতিকুর রহমান, গোল কিপার কোচ মুহাম্মদ আমিন ও দলের ক্যাপ্টেন অন্তর মিয়া প্রমুখ।
ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেন জানান, তাদের একাডেমিকে পৃষ্টপোষকতা করছেন, আশুগঞ্জ লাভিডা হাসপাতাল, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাইফুর রহমান মনি, হেনা মটরস, কামরুল হাসান, ডাক্তার ফাইজুর রহমান, মামুন রশিদ ও রাজভর ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, পুলিশের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, কারণ পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করে নাই। কমান্ডিং থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত সবাই অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। একটা দলের আজ্ঞাবাহ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। সবকিছুতে পুলিশ টাকা নিয়েছে বলে একটা দুর্নাম ছিলো। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ নেই।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন,‘সরকার আমাদেরকে যে বেতন দিচ্ছে, সেটা চলার জন্য যথেষ্ট। মাসিক কল্যাণ সভায় বলে দিয়েছি এতে কারো না পোষালে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।’
নবাগত পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন, ‘পুলিশে অনেক আবর্জনা আছে। এগুলো দূর করতে হবে। পুলিশের মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে এমন কোনো বিষয় নেই। সেই পুলিশের মনোবল ভাঙবে যে অসৎ। আর যে পেশাদারিত্বে থাকবে তার মনোবল ভাঙার কোনো কারণ নেই। তবে এটা ঠিক যে নানা কারণে পুলিশের কার্যক্রমে ধীরগতি আছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। সদর দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদেরকে যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সব কিছু এখনই করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ত্রুটি ছিলো। সেই ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করবো। আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আপনারাও সুযোগ দিবেন। কেউ পুলিশকে ঘুষখোর বললে আমারও খারাপ লাগে। আমরা এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। তিনি এর জন্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিয়ম সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাসহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, ইব্রাহিম খান সাদাত ও মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মোঃ শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব নদী দিবসে তরী বাংলাদেশ এর র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর বর্ণাঢ্য র্যালি দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের সকল নদ-নদী দখল-দূষণ, নাব্যতা সংকটসহ নদীর বালু লুন্ঠনের মহোৎসব এখনই থামানো না গেলে বাংলাদেশের নদ নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। যার জলন্ত উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া আকস্মিক বন্যার প্রকোপ। তিনি আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন পরিবেশ কর্মী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ নদী-প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করছেন। আমরা আশা করি তিনি নদী সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হবেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের কার্যকরী কমিটির সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, সিনিয়র সাংবাদিক কাউসার ইমরান, কমরেড নজরুল ইসলাম, নারী নেত্রী ফজিলাতুন নাহার প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাংবাদিক হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর শহরের অংশে সব ক’টি বাজারের বর্জ্য সরাসরি নদীতে যাচ্ছে এছাড়াও নদীর সাথে যুক্ত খালগুলো বিশেষ করে টাউনখাল দখল দূষণে বিলীন প্রায়।
পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকা ও আংশিক উচ্ছেদ অভিযান হলেও দীর্ঘদিন তদারকি না থাকায় দখলদারেরা পুনঃদখলের পাঁয়তারা করছে।
তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি থাকে মেড্ডা পর্যন্ত দখলদারদের চিহ্নিত করলেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। অনুরূপ লালপুর সড়কের পাশে থাকা প্রায় ১৪ কিলোমিটার খালে দখলদারদের চিহ্নিত করা হলেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
বিরাশার মোড়ে সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে টিনশেড মার্কেট নির্মাণের ফলে বারোমাস জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে মারাত্বক জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও সমাধান পাওয়া যায়নি। পানি উন্নউন বোর্ড কর্তৃক তিতাস নদী খননের কথা শোনা গেলেও মূলতঃ নদী থেকে বালু উত্তোলন আর বালুর ব্যবসা হয়েছে। নদীর বালু দিয়ে বিল ভরাট করা হয়েছে। উপশহরের নামে বিল লুণ্ঠনের পরিকল্পনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। পৌরসভার পরিধি বৃদ্ধির জন্য শহরের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও তিতাস নদীর পূর্বপাড় বিলের জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। নদী রক্ষায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, সঠিক খনন ও নৌপথ সচল রাখার গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। তাঁরা আরো বলেন বিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগর সড়কের পাশে ফসলী জমি প্লট হিসেবে বেচাকেনা হচ্ছে এবং চটকদার বিজ্ঞাপন নানা মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও প্লট ভরাটের কার্যক্রমও চলছে। যা পরিবেশ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিশেষে বক্তারা জেলা নদী রক্ষা কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক হিসাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবদুল মতিন শিপন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম. মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।