চলারপথে রিপোর্ট :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ পুকুরে স্কুলভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে দুপুরে এ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপে বিভিন্ন ক্লাসের ১০০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
জেলা ক্রীড়া অফিসার কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন-লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরিন জাহান, ক্রীড়া সংগঠক দিলীপ চক্রবর্তীসহ অনেকে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচীর আওতায় এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের শরীর গঠনসহ মানসিক দিক ভালো থাকে। খেলার মাধ্যমে দেশের সুনাম অর্জিত হয়। দেশের গৌরব অর্জিত হয়। এখান থেকে ক্ষুদে সাঁতারুরাও ভালো কিছু অর্জন করবে এমন প্রত্যাশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অ্যাক্রোবেটিকে মোহাচ্ছন্ন অবস্থায় দু’ঘণ্টা সময় কেটে গেল। সমাপ্তি ঘোষণার পর তন্ময় দর্শক মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে এমন প্রদর্শনী নিয়মিত দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নির্মল চিত্ত বিনোদনের এই শৈল্পিক মাধ্যম আরো প্রচার প্রসার হওয়া প্রয়োজন বলেও দর্শকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামে দেশব্যাপী আক্রোবেটিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এই প্রদার্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন।
অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীতে নানা কসরত প্রদর্শন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক বিভাগের শিশু ও প্রবীণ সদস্যরা। চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীর চোখ ধাঁধানো নৈপুন্য শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন বয়সের দর্শকের হৃদয় কেড়ে নেয়। মঞ্চের উজ্জ্বল আলোয় মুখে গাড় মেকআপ আর যন্ত্র সংগীতের সুরের মুর্ছনায় শিল্পীরা কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফসল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুঁটিয়ে তুলেছিলেন। সেই সাথে মুগ্ধ দর্শক মুর্হুমুহু করতালি দিয়ে শিল্পীদের উৎসাহ ও প্রেরণা যোগান।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলম বলেন, এ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) শিল্প এদেশের মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে সুস্থ্য ও শৈল্পিক বিনোদন দিয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে এই শিল্প বিলুপ্ত হতে চলেছে। এই শিল্প ও শিল্পীদের রক্ষায় শিল্পকলা একাডেমি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়ে ২টি অ্যাক্রোবেটিক দল গঠন করেছে। শিল্পীরা কাজের নিশ্চয়তা পেয়েছেন। তারাই সারাদেশে বছরব্যাপী সুস্থ ও শৈল্পিক বিনোদন প্রদর্শন করে দেশবাসীর প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। এ্যাক্রোবেটিক দল ২টির সদস্যদের এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী আমাদের হৃদয় কেড়েছে। এই জন্য প্রদর্শনী টিমের সদস্যদের গোপালগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে আকাশ (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়।
আকাশ গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামের কুমার পাড়ার রহিদুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় করমদী ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে আকাশ তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এক সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক দেয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ না হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনায় ২০২৩-২৪ আর্থিক সালে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর সদিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তর আযয়োজিত অনুষ্ঠিত জনসচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাওয়াল বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ, অর্থ সম্পাদক হিরোক হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।
বক্তারা ২২ দিন মা’ ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরার বন্ধের আদেশ মানার নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। ২২ দিন বন্ধের ফলে সাগর, নদী ও খালে মাছের প্রজনন প্রচুর হারে বাড়বে। তাই সরকারের নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন বক্তারা। এ সময় স্থানীয় মৎস্যজীবীবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাদের নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘ্ন প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা এবং কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ৭ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ ব্যক্ত করে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল যাতে সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও কেবল সংবিধান এবং আইনের অধীন। বর্তমান ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা পুননির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবনন্ধনসহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে।
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে সিদ্ধান্ত সংসদকে অবহিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা করে নির্বাচনে তারা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দেবে ইসি।
এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরে জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ আর ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আগামীকাল থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রবিবার।