চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আজ ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু (নৌকা প্রতীক) ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক) পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ফলাফল ঘোষনা করেননি। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, শাহজাহান আলম সাজুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করায় আমি সংসদীয় আসনের ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলাবাহিনী সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দিলেও তারা জয়লাভ করতে পারেননি । নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুগঞ্জ রেলগেইট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মাওলানা আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শোয়েব আহমেদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আরমান হোসাইন, মাওলানা মাহামুদুল হাসান, মাওলানা ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনকে বাংলাদেশে অচিরেই নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এদেশের ছাত্র-জনতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আমাদের আবেদন যেন দ্রুত এই জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষির উন্নয়েনে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র অর্থায়নে ফ্রিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) এবিএম রকিবুল হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণের ফলে মোবারক মিয়া (৩২) নামে এক রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার সকালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ভেতরের এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোবারক ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার কলদবাড়ি এলাকার হাবির মিয়ার ছেলে। দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, ‘আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড’-এর বাউন্ডারির ভেতরে প্রকল্পের ড্রেন ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সেখানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে আসছিলেন মোবারক মিয়া।
রবিবার সকালেও তিনি কাজে আসেন। সেখানে কাজের মাঝে পাওয়ার স্টেশনের উপকেন্দ্রের কিশোরগঞ্জ ১৩২ কেবি কিশোরগঞ্জ ফিডারের ঈঞচঞ বেজ-এর মাঝামাঝি স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান মোবারক। সেখানে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে মারা যান।
তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের বিভিন্ন ড্রায়ার মিলের কালো ধোঁয়া, ছাই ও রাইস ব্রানে (চালের উপরের স্বচ্চ পাতলা আবরণ) মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অযোগ্য হয়ে পড়ছে ঘরবাড়িতে বসবাস, ব্যহত হচ্ছে মানুষের দৈনদিন চলাফেরা।
প্রতিনিয়ত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ চোখের রোগে। বার বার এসব বিষয়ে মিল মালিকদের অবগত করা হলেও কোনো তোয়াক্কা করছেন না তারা। পরিবেশ নষ্ট হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে অধিকাংশ মিলের। এসব বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ লোকজন। তাই আশুগঞ্জের কয়েকটি এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে পরিবেশের পাশাপাশি জনজীবন হুমকিতে পড়বে। চোখ হারাবে এই পথে চলাচলকারীরা। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বার বার বলা হলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না মিল মালিকরা। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন বলছেন এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে অবস্থিত ধানের হাটে। এই হাট থেকে ধান সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে চাল রুপান্তর করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে ওঠে অসংখ্য চাতালকল। এখানে উৎপাদিত চাল ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অন্তত লক্ষাধিক মণ চাল সরবরাহ করে থাকে। এতে এলাকার অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকলেও গত ৪-৫ বছরে উপজেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে ৪৫টি ড্রায়ার মিল। এদের মধ্যে আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠে খান অটো-১ ও ২, আওলাদ এগ্রোফুড, শাহজালাল অটো, একতা অটো, কামরুল অটো, উন্দা মিয়া অটো, আলমনগর এলাকায় মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ,ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল, সরকার অটো রাইস মিলসহ অধিকাংশ ড্রায়ার মিল থেকেই কালো ধোঁয়া, ধুলা ও ছাইয়ে এলাকাবাসীর জীবন-যাপন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রায়ার মিলগুলো। ঘরবাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মুক্তি মিলছে না। ছাই ও কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ি। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন চোখে-মুখে পড়ছে এসব ছাই ধুলা। লোকজন বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও এলার্জিজনিত নানা রোগে।
ডায়ারগুলিতে বর্জ্য শোধনাগার না থাকা, কম উচ্চতায় চিমনি ব্যবহার, চিমনিতে ধুলা নিরোধক নিরাপত্তা জাল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা, তুষের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার এবং পরিবেশ সুরক্ষা আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এমনটি হচ্ছে জানান তারা। ড্রায়ার মালিকদের বার বার মৌখিকভাবে এসব অভিযোগ জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। প্রতিটি বাড়িঘরের ছাদ-চালা-উঠান ছাই আর ধুলার স্তূপ পড়ে গেছে। একটু দাঁড়ালে গায়ে উড়ে পড়ছে ছাই ও ধুলার কনা। রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চোখ খোলা রেখে চললেই চোখে পড়ছে রাইস ব্রান। যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চোখে পড়লেই বিপদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার আলমনগর যাত্রাপুর মোড়ের একজন বাসিন্দা বলেন, ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল ও সরকার অটো রাইস মিলের কারণে এখানে বসবাস করার কোনো পরিবেশ আর নাই। তাদের বললেও কোনো কাজ হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা পরিবেশের ওপর এই অত্যাচার চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলমনগর এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি ড্রায়ার মিল স্থাপনের কাজ চলমান। এর মধ্যে মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ এর চিমনি দিয়ে দেদারসে বের হচ্ছে কাল ধোঁয়া।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানের ৫ মালিকের মধ্যে একজন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম। কথা হয় আরেকজন মালিক মো.আবু বকর সিদ্দিক এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। মাঝে মাঝে কালো ধোঁয়া বের হলেও সেটা যেনো না বের হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আল মদিনা অটো রাইস মিলের ম্যানেজার বজলু মিয়া বলেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে আমাদের মিল থেকে কোনো ধুলা, কালো ধোঁয়া ও রাইসব্রান বের হয় না। আমাদের ময়লাগুলো নিজস্ব পুকুরেই যাচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
জেলা চালকল ও ড্রায়ার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, আমরা ধুলা ও ছাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করে অনেকগুলো ড্রায়ারে স্থাপন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূপুর সাহা বলেন, বিভিন্ন সময়ে চোখে রাইস ব্রান নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসে। তাদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। বিভিন্ন চোখের ড্রপ ব্যবহারের পরামর্শ দেই। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এবং চোখে এই রাইসব্রান পড়তে থাকলে একসময়ে চোখ হারাতে হতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়া ও এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়েও আমাদের এখানে লোকজন আসেন। এসবের মূল কারন হল ড্রায়ারের কাল ধোয়া ও রাইস ব্রান। দ্রুত এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল চক্রবর্তী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সচল ১৫৫টি মিলের বিপরীতে মাত্র ৮৫টি মিলের পরিবেশের ছাড়পত্র আছে। বাকিগুলোও নজরদারির মধ্যে আছে। রাইস ব্রানসহ ধোঁয়া ছাইয়ের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ড্রায়ার মিলগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’