চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু।
৫ নভেম্বর রবিবার রাত সোয়া ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৬ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ পেয়েছেন। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ থাকায় ভোট বাতিল হয়েছে ১৩০৮টি।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জয়লাভ করলো। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর সরাইল-আশুগঞ্জ নিয়ে গঠিত এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। তাহের উদ্দিন ঠাকুরের পর ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। পরবর্তীতে একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল হুদা ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করেন।
১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুমায়ুন কবির লাঙল প্রতীকে জয়লাভ করেন। বিএনপিতে যোগদান করলে ১৯৯১, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৯৬-এর ১২ জুন নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফজলুল হক আমিনী জয়লাভ করেন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয়পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা জয় পান।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ফের বিজয়ী হন। এরপর তিনি জাতীয় সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কলারছড়ি প্রতীকে উকিল আব্দুস সাত্তার আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে রোববার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করলেন।
৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করায় উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর খণ্ডখণ্ড আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আমরা নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘদিন পর এ আসনে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। এতে দলের সবাই আনন্দিত-উৎফুল্ল। আমরা দীর্ঘদিন পর নৌকা উদ্ধার করতে পেরেছি।
জয়ের পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি বলেছিলাম দীর্ঘদিন আমরা যে বঞ্চনার শিকার হয়েছি, এর থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবের সফল যেন হতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার বিকালে সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম। বক্তব্যে তিনি বলেন, সব নিয়ম কানুন মেনে উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ১১ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে জমা দেন। পরদিন জেলা রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভূয়া স্বাক্ষর ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
আইনগত প্রক্রিয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সমর্থন দিয়ে বলেন, আমার দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার বাবাও জাতীয়পার্টি করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে আমার পদ পদবী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। আগামীতে জাতীয় পার্টির পদ-পদবী নেওয়ার চেষ্টা করে পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইব।
এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোজেট আব্দুক হামিদ খান ভাসানীসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে যাছাই বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র পদে সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, এনপিপি’র রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এই ৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া এর প্রার্থীতা অবৈধ বলে ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের মতো ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন প্রবীণ ভোটাররাও। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতির কোলে করে আসেন ৯০ বছর বয়সী কাশেম মিয়া। নাতির কোল থেকে নেমে দাঁড়ানোটাই অসাধ্য কিন্তু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ধরে রাখতে পারেননি এই বৃদ্ধ। কথা হলে কাশেম মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতাম আইসি।’
এ ছাড়া যেন আর কোনো কথাই মুখে ফুটছে না। এ সময় নাতি ইদ্রিস বলেন, সকাল থেকেই ভোট দিতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন। বয়স হয়ে গেছে, তারপরও ভোট দিতে এসেছেন। দাদাকে কোলে নিয়ে ভোট দেওয়াটা হয়ত একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭০ বছরের ওসমান গণি বলেন, ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। এই বয়সে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কষ্ট হত। কিন্তু তা হয়নি বলে বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কথা হয় প্রবীণ নাগরিক রহিমার সঙ্গে। প্রায় ৯০ বছরের এই নাগরিক ভোট দিতে এসেছেন ছেলের স্ত্রী সাকেরা বেগমের হাত ধরে।
রহিমা বেগম বাড়িউড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে আইসি। কবে মরে যাই কইতে পারি না।’
অন্যান্য ভোটকেন্দ্রগুলোতেও প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই বয়স্ক ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তারা সরাসরি ভোট দিয়েছেন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, নাতির কোলে করে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়াকে আমি নিজে ভোট দিতে সাহায্য করেছি। তাছাড়া পুলিং অফিসারদের বলা ছিল এ সমস্ত ভোটারদের যেন আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রিসাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রবীণ ভোটাররা যে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন এটাই সৌভাগ্য। ভোট দিতে এসে তারা যেন হেনস্তা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান (মোটর সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী মো. শের আলম মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী হানিফ আহমেদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকের রোকেয়া বেগম বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচনে বিজয়ী হলেন। আজ ৮ মে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বে- সরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে জাল ভোট দেয়া ও ভোটারদের প্ররোচিত করার দায়ে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এবং উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম পৃথক ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের মোড়াহাটির রজব আলীর ছেলে শাকির মিয়া (৩৯) একই গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৮), ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৪) এবং উপজেলা সদরের রুসমত আলীর ছেলে তামিম মিয়া (২৬)।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বুধবার দুপুরে কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় শাকির মিয়াকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
শাকির ভোট কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। একই কেন্দ্রে অপর পুলিং এজেন্ট মোঃ হৃদয় মিয়াকে ভোটারদের ভোট প্রদানের জন্য প্ররোচিত করার সময় আটক করা হয় এবং একই কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় মোঃ রাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাকির মিয়াকে ১৫ দিন, হৃদয় মিয়াকে ১০ দিন ও রাকিব হোসেনকে ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর দিকে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, বুধবার দুপুরে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় তামিম মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
তামিম মিয়া আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির জাল ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্র আটক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার ১৭৭ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এবং শতভাগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, ৬ প্লাটুন বিজিবিসহ আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।