চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই জামানত হারাচ্ছেন।
৫ নভেম্বর রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপ-নির্বাচনেও যারা এক ভাগের কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপ-নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ১৩ হাজার ৫৪৪ ভোটের বেশি। তাই জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে ৩ হাজার ১৮৬, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫৫১ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন জামাতা ও শ্বশুর। তবে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের নাম বেশি চাউর হচ্ছে।
এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এখানকার প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তাঁর শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা বলছেন, রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। একই আসনে তাঁর শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান। রেজাউল তখন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন রেজাউল। তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনেও জিয়াউল হক অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ৩৯ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ও জনপ্রিয়তার কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মঈন উদ্দিন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে, যার একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। আশা করি, আওয়ামী লীগের সভাপতির আদেশ এখানে পালিত হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হতাশ করবেন না।’
জাপার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘কে নির্বাচন করল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি এ জনপদে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর কোনো চাপ নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী মো. রুবেলের ছুরিকাঘাতে হৃদয় খান (২৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুবেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সেলিম, সৈয়দ হোসেন মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাক্কি, আরিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির ও আবু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় খানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
নিহতের পিতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল ও সেলিম। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রুবেল ও মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান আছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ২১ কেজি গাঁজা এবং ১ টি পিকআপ আটক করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ৭ অক্টোবর সোমবার ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এসআই (নিরস্ত্র) মো. মহিউদ্দিন শেখ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। বগইর এস আলম এগ্রো ফুড-এর দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার বাম পাশ থেকে একটি পিকআপের অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের এর ফেলে যাওয়া ২১ কেজি গাঁজাসহ পিকআপটি উদ্ধার করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থানায় জব্দকৃত পিকআপ অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
দোয়া, সহযোগিতা ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাঁচ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আয়েশা খাতুন (৩৪) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় এনা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক আয়েশা খাতুন ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দলেশ্বরী কলেজ রোড এলাকার সাব্বির মিয়ার স্ত্রী।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিল্লাল হোসাইন জানান, প্রতিদিনের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা এলাকায় থানার এসআই মো. ইসাহাক মিঞার নেতৃত্বে পুলিশের অভিযান চলছিল। অভিযানকালে এনা সার্ভিসের ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্টো-ব-১৫-৩৪৯৩) তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এ নারীকে আটক করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা গ্রামের সাদেম হোসেনের ছেলে মাসুদ (৩৫) পালিয়ে যায়। আটক আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই মাদক কারবারের সাথে জড়িত বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আটক নারী এবং পালিয়ে যাওয়া যুবকসহ দু’জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া আয়েশাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।