চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ ৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
তবে, আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলে ৮ নভেম্বর বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীনসহ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বক্তব্য শুনতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
তবে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সাবেক নেতারা ক্ষোভে রাজপথে নেমে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান মিয়া, বিএনপি নেতা মো. হোসেন মিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য প্রকাশিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক-২ নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানিনা, মানাবো না। বিএনপি’র এ কমিটিকে পারিবারিক, অরাজনৈতিক, চুর, ডাকাতে ভরা। আপনারা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন, দীর্ঘদিন কারা বরণ করে এ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কে বাঁচানোর জন্য আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে এই বাংলা থেকে বিতরিত করেছি। সেই ভাবে আনিছ ঠাকুর ও তপুর অবৈধ কমিটিকে সরাইল থেকে বিতরিত করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আনিসুল হক ঠাকুর ও অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই অনুমোদিত কমিটি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ করে বর্তমান উপজেলা কমিটি। এরপর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ঠাকুরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই দাবিতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাঘের এই হাড় কাঁপানো শীতে মাঝে মধ্যেই থমকে যাচ্ছে জনজীবন। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোন রকমে শীত নিবারণ করছেন। অসহায় দরিদ্র লোকজনের অবস্থা খুবই করূন। তীব্র এই শীতে ভবঘুরে ও ছিন্নমূল মানুষদের দিনরাত যাচ্ছে সীমাহীন কষ্টে। আর সেই শীতার্থ মানুষদের পাশে কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সরাইলের ইউএনও মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়া। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইউএনও কম্বল নিয়ে নেমে পড়েন সরাইল সদরের বিভিন্ন সড়কে ও মহল্লায়। ঘুরে ফিরে তিনি দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূল নারী পুরূষদের পড়িয়ে দেন কম্বল। সড়ক বা মার্কেটের সামনে স্বামী স্ত্রী আদরের সন্তানদের জড়িয়ে ধরে ঘুমুচ্ছে। ঘুমের মধ্যেই হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে সকলেই। এমন অনেক পরিবারের সদস্যদের কম্বল পড়িয়ে দিয়েছেন। শীতে জবুতবু লোকজন কম্বলের উষ্ণতায় আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন।
এক বৃদ্ধ জানতে চান কম্বল কে দিয়েছে? ইউএনও বলেন, কম্বল দিয়েছেন সরকার।
আমি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে আপনাদের মাঝে বিতরণ করছি। আল্লাহ বলে ওই বৃদ্ধ হাসিনা ও ইউএনও’র জন্য দোয়া করতে থাকেন। এভাবে কুট্টাপাড়া মোড়, হাসপাতালের মোড় ও কালিকচ্ছ এলাকায় রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ঘুরে শীতার্ত মানুষদের কম্বল দিয়েছেন। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়া বলেন, এটা দরিদ্র অসহায় শীতার্থ মানুষদের জন্য সরকারের একটা প্রচেষ্টা। কেউ শীতে কষ্ট করবেন না। আমাদের প্রচেষ্টা আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪। গতকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় এমপি’র প্রতিনিধিরা, উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরাইল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সরাইল প্রেসক্লাব, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সরাইল উপজেলার সকল স্কুল কলেজ, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহ ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৮টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট এন্ড গার্ল ইন স্কাউট, কাবদল সহ বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ, ডিসপ্লে, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল। বেলা ২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে দেয়া হয় সংবর্ধনা।
ইউএনও’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-সরকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রকিবুল হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন,সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রাশেদ, মহিলা কলেজের সভাপতি মো. মাহফুজ আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. বাবুল হোসেন। একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” বিষয়ক আলোচনা সভা। হাসপাতাল ও এতিমখানায় পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার।
মসজিদ মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বীর মুকিযোদ্ধাদের কন্ঠে গণহত্যার স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা ও শহিদদের স্বরণে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।