চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে থানা পুলিশের এক এএসআইসহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই অভিযুক্ত দুই পুলিশ মিলে আন্ত:নগর ট্রেনে করে আখাউড়া থেকে ময়মনসিংহে গাঁজা পাচার করছিলেন।
এরা হলেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল রানা (২৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় কর্মরত এএসআই তারেক আলী। এরমধ্যে সোহেল রানার কাছ থেকে তিন কেজি নয়শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর সে জানায়, তারেক আলীর কাছ থেকে সে গাঁজা বুঝে নেয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, তারেক আলীকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে কি কারণে বরখাস্ত হয়েছে সেটি আমি জানি না। গাঁজা পাচারের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টিও আমার জানা নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সন্ধ্যায় আখাউড়া পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে আবার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদল,সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ বহু নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়।
মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।আতশবাজির মুহুর্মুহ শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি এলাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আখাউড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা একজন, মাদক কারবারি একজন ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত চারজন রয়েছে। এসময় এক মাদক কারবারির কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলা ধরখার ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঘোলখার গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে রানা হাজারী, মোগড়া এলাকার মো. খুরশিদ মিয়া, উত্তর ইউনিয়নের চানপুর এলাকার হৃদয় চন্দ্র দাস, ভবানীপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার, পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. সজীব মিয়া ও হাসিমপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, পুলিশের অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, আজ দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাভোগ শেষে নারীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে তাঁরা দেশে ফেরেন। ভারতের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার সাথী আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পেয়ারাকান্দির মো. মাসুদ মাহাদী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দে, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম, ৪২ বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার প্রশান্ত কুমার, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খাইরুল আলম, আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শাহআলম এবং ভারত থেকে ফেরত আসা দের পরিবারের সদস্যরা।
মো. মাসুদ মাহাদী জানান, গত একবছর আগে আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সীমানা অতিক্রম করে ফেলেন। ঘুরাঘুরি করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে আদালত তাকে একমাসের সাজা দেয়। সাজা ভোগ শেষে তিনি সেদেশে সেইভ হোমে ছিলেন এক বছর। এক বছর পর তিনি দেশে ফিরলেন।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দে বলেন, দুজন বাংলাদেশিকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছি। তারা পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। সেখানে তারা সাজা ভোগ করেন। সাজা শেষে ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন। পরে দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আড়াই বছর পর ভারতে ফিরে গেছে এক কিশোরী। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থলবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার দমদমা গ্রামের আব্দুল হাসেমের মেয়ে শাহীনা আক্তার (১৫) ২০২২ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাকে জেলে যেতে হয়।
প্রায় আড়াই বছর গাজীপুরের পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে পাঠানো হয়।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শাহীনা। তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-৭ এক আদেশে ওই ভারতীয় শিশুকে গাজীপুরের শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।