অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু হচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর। এই পথে পর্যটকসহ সব যাত্রী সর্বনিম্ন ১৮৮ টাকায় যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেল সচিব হুমায়ুন কবির।
আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে শনিবারের উদ্বোধনী প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গণমাধ্যমে এ তথ্য দেন তিনি।
রেল সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ১ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব। আর সেই ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া যেটি ধরা হয়েছে, সেটি হচ্ছে ১৮৮ টাকা। আর এটি নন এসি মেইল ট্রেন। সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে, সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ১ ডিসেম্বর শুধু আন্তনগর ট্রেন চালু হবে। পরে কমিউটার ও মেইল ট্রেনও চালু হবে।
ভবিষ্যতে এই রুটে পর্যটক কোচ চালু করা হবে। শুধু ঢাকা নয়, উত্তরাঞ্চল ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকেও কক্সবাজারে রেলপথে আসা যাবে। এতে করে যোগাযোগের নতুন পথ উন্মোচন হবে।
১ ডিসেম্বর রেল চালু হলেও কক্সবাজারের আইকনিক ঝিনুক স্টেশনে সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে রেল সচিব বলেন, পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধা চালু হবে।
বাংলাদেশ রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানান, ঢাকা থেকে একটি মেইল ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে, কক্সবাজারে পৌঁছাবে ৬টা ৩০ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে এই রুটে ট্রেন বাড়ানো হবে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার।
অনলাইন ডেস্ক :
২১ জুলাই শুক্রবার একাদশ দিনের মতো আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে যেয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে দাবি আদায় করতে গিয়ে রক্ত দেব, জীবন দেব।
আন্দোলন করতে যেয়ে মারা গেলে আপনারা আমার লাশটা বাড়ির স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া এসব কথা বলেন।
সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ চাই’ মিছিলে স্লোগানে মুখরিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।
সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে।
আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবি পূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে অব্যাহত রয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ওপর শিক্ষক সমাজের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। তিনি শিক্ষকদের মন্ত্রী নন। এ কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। শিক্ষকরা সাড়ে চার বছরে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়ে বৈঠক করেছেন। কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন। অথচ কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ নেই। আসলে তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরাও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কোনো বাছবিচার ছাড়াই বলে দিলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। এমনকি এও বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের সাফ কথা, ৬ শ স্কুল-কলেজ এই সরকার যার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করেছে, সেটিই হবে এমপিওভুক্ত সাড়ে ৯ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মানদণ্ড।
সমাবেশস্থলে বক্তৃতা শেষে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। একজন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক চাকরির শুরুতে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সরকারি স্কুলে দেওয়া হয় ১৬ হাজার। তারা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব-ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়) বা বোনাস পেলেও বেসরকারিতে দেওয়া হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সব চাকরিজীবী এমনকি এনজিও কর্মীদেরও শতভাগ উৎসব-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসা ভাতা এক মাসে ৫০০ টাকা পান তারা। যেখানে একজন ডাক্তারের ভিজিট সর্বনিম্ন ৬০০, ৮০০ বা ১০০০ টাকা, সেখানে একটি পরিবারকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দেওয়া হয় দেড় হাজার। আবার বাড়িভাড়া বাবদ এক মাসে এক হাজার টাকা পান। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪৫-৫০ শতাংশ দেওয়া হয়।
সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরো অনেক ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছেন। তাদের কোনো বদলি নেই। অনেকে পরিবার এবং বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু দূরে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু বদলি হয়ে নিজ এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এককালীন অবসর-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি জীবনে অবসর খাতে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ খাতে ৪ শতাংশ মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। অথচ অবসরে গেলে এককালীন কিছু টাকা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই টাকা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর সময়মতো অবসরের টাকা না পেয়ে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না।
অবসরে গিয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। অনেকে পেনশনের টাকা ভোগ না করেই মারা যান।
শিক্ষকরা আরো জানান, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এসব কষ্ট বা দুর্দশার কথা আমলে নেয়নি। তাই এখন লাখ লাখ শিক্ষক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান করছে। এখন একটাই দাবি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ করলে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি কোনো বৈষম্য আর থাকবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল-আজহা উপলক্ষে এক কোটি ৫১ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারীর প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল পাবেন। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৫১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের আসন্ন পবিত্র ঈদুল-আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪ জেলায় ৪৯২ উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৯টি এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১টিসহ সর্বমোট এক কোটি ৫১ হাজার ৫০০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি হারে এক লাখ ৫১৫ মে. টন ভিজিএফ চাল শর্তাবলী অনুসরণ করে বিভাজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলো।
বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফ চাল ২০ জুনের মধ্যে উত্তোলনসহ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলেও চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া বরাদ্দের শর্তে বলা হয়, এসব ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ এর তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ডধারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। www.bbs.gov.bd ওয়েবসাইটে লগইন করে জনসংখ্যার তথ্য পাওয়া যাবে। দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সম্প্রতি বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতি-দরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তবে, নিচের শর্তাবলীর মধ্যে কমপক্ষে চারটি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি ও পরিবার, সহায়তা পাওয়ার জন্য গণ্য হবে-
১. যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই।
২. যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
৩. যে পরিবার নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল।
৪. যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই।
৫. যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়।
৬. যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই।
৭. যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা নারী।
৮. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা।
৯. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী।
১০. যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্র ঋণ প্রাপ্ত হয়নি।
১১. যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য অর্থ সংকটে পড়েছে।
১২. যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুই বেলা খাবার পায় না।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই। আজ ২৯ জুলাই সোমবার কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা) তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে আরও একটিতে ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও এই আসনের উপনির্বাচনের (একাদশ সংসদ) ভোট বন্ধ করেছিল ইসি।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান। কী কারণে এই আসনের ভোট বন্ধ করা হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক)।
অন্য প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল), বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও এনপিপির ফারুক মিয়া (আম)। আর ভোটের চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার।
এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট বন্ধ করে ইসি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বৈধ প্রার্থী মারা গেলে তা বাতিল করা হবে।
এনিয়ে দুটি আসনের নির্বাচন বন্ধ করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৮ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।