সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম; আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই’।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ৫ বারের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খান, আকবর আলী, আবুল কালাম, আলী আজগর ভূঁইয়া, সামছু মিয়া মেম্বার, জালাল উদ্দিন, মোকলেছুর রহমান, মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।
তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র থেকে আমি শুরু করেছিলাম, আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আবার আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি যেন আপনাদের বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। এ দেশের সবার মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কারও কারও সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশকে কেউই আর দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফিরোজুর। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তী সময়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোজুর রহমান।
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে ইসি। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে ৩৬ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তিনি জানান, শেখ হাসিনার পতনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। বিএনপির কর্মীরা এখনো আন্দোলনের পথে রয়েছে। বিএনপির এই নেতার মতে বর্তমান সরকার তাদের সমর্থিত, তবে যদি সরকার নিরপেক্ষতা এবং জনগণের আস্থা হারায়, এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে পৌর মুক্তমঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, বিএনপির লড়াই সংগ্রামে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের কোনো প্রত্যাশা নেই, কারণ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার ছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা সম্ভব নয়। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে আসবে, যেমনটা বিএনপির সময় ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে তা দেখা যায়নি।
বিশাল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম ভুইয়া, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: বিএনপির এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সকাল থেকেই দলে দলে মিছির সহকারে লোকজন সমাবেশে যোগ দেয়। এসময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং দেশের উন্নয়নে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই বলে দাবী করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।
তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত।