চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা বিশিষ্ট প্রফেসর ফাহিমা খাতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে এ একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই মাসুদ।
সুলতানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ হেদায়েত হোসেন মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (পিপি) মাহবুবুল আলম চৌধুরী খোকন, বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি গাজী শাহীন আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সামগ্রিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ একটি দেশ, একটি জাতি তখনি উন্নতি করতে পারে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে যখন সেই জাতি শিক্ষা-দিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে অগ্রসর থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ইচ্ছে ছিল তাদের সন্তানদেরকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার। তাদের এই ইচ্ছাই তোমরা পূরণ করবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, চারদিকে মাদকের যেভাবে বিস্তার লাভ করছে বিস্তারের কারণে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই মাদক থেকে রক্ষা করার উপায় হল শিক্ষাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সাথে সাথে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির কর্মকান্ডের সাথে বেগমান করা ও বৃদ্ধি করা। তাহলে তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। মাদকের যে কূ প্রভাব আছে তা থেকে দূরে থাকতে তিনি সকল যুবকদের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি অর্থায়নে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এই একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রী শ্রী শীতলা পূজা উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ঋষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির আয়োজনে ১৭ জুন শনিবার সকালে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় তিনি ঋষিপাড়া মন্দিরের জন্যে তিনলাখ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন ও ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশের যে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি, অতীতের কোন সরকার এই ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা ভোটের জন্য রাজনীতি করিনা। জনগনের কল্যানে কাজ করছি। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনাদের কাছে বসন্তের কোকিলরা ছলছাতুরি ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভোট চাইতে আসবে। আপনারা তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকবেন।
পরে তিনি দুপুর ১২টার দিকে শহরের মেড্ডা এলাকার তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত নাথ সম্প্রদায়ের সমাধি মন্দিরে শ্রী শ্রী মহাদেব দেবতার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মোঃ মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোঃ মহসিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এই সমাধি মন্দিরের উন্নয়নে আমি আগেও আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামী দিনেও যে কোনো উন্নয়নে পাশে থাকবো। তিনি মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।