চলারপথে রিপোর্ট :
সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক সংবাদপত্র সমতট বার্তা’র ৩৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক সমতট বার্তার আয়োজনে ৭ পর্বের সমতট উৎসবের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুধী সমাবেশ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
দৈনিক সমতট বার্তার উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও কবি জয়্দুল হোসেন। প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতাম তখন কুসুমকুমার চক্রবর্তী নামে একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি আমাকে কালো মেঘ ঔষধ খাওয়াতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে দিনে দিনে গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতো না। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ পার্কে আমার ফুফুর বাসায় রাত্রিযাপন করতে হতো। তখন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমি শুনতে পেতাম ঘরে ঘরে সুরের মূর্ছনা, ঝংকার। প্রায় সবার বাড়ি থেকে হারমোনিয়াম এর আওয়াজ ভেসে আসতো ওই সময়টাতে। এটি ছিল নিতান্তই তখন সুরের শহর। আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন নামে যেখানে আমরা আজকে দাঁড়িয়ে আছি এই বাড়িটি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ক্রয়কৃত বাড়ি। এ বাড়িটিতে তিনি নিজে এই সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগের যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা দেখেছি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন আর নেই। কিন্তু আমি আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে খুঁজে পেতে চাই। আমি যখন এখানে রাজনীতি করতে এসেছি তখন আমি এই শহরকে ভালোবাসি বলেই এসেছি। কারণ, সমৃদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণীজনদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিল অনেক উপরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আরও ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব শামসুল হুদা, মলয়া সংগীতের মনমোহন দত্ত, আফতাব উদ্দিন খাঁ, লব পাল এর মত অনেক গুণীজন। এখন আর সেই দিন নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে এসে এখানে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি সহমর্মিতা পেয়েছি। তাঁদের কথাতো আমি ভুলতে পারবো না। এরমধ্যে রয়েছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। আর সেই জন্যেই এখানে আসার ব্যাপারে তার যে আহ্বান সেটাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর এসব প্রচার যখন উপর মহলে যায় তখন আমরা অবহেলার শিকার হই। করোনাকালীন সময়ে একজন জনপ্রিয় মাওলানার মৃত্যুতে তাঁর জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। এটি নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে শফি নামে একজন আলেম সাহেবের মৃত্যু হয়। তার জানাজায়ও আরো অনেক বেশি মানুষ হয়েছিল। সেটিও ছিল করোনাকালেই। অথচ চট্টগ্রামের এ বিষয়টি নিয়ে কোন বিরূপ প্রচারণা কেউ করেনি। উপরন্ত চট্টগ্রামবাসীরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একজন মহিলা দু’দুবারে মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কথাটা কেউ বলে না। কিছু লোক সংঘবদ্ধ হয়ে, অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এই আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কিছু স্থানে বর্বর হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করলো, এ ব্যাপারে কেউ কিন্তু আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে এত এত সাংস্কৃতিক সংগঠন, বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন’ তারা কিন্তু এই তান্ডবের বিপক্ষে একটি মানববন্ধন করেননি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। এ সত্যেও এখানে কেউ আসেননি। আমি এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। তাও হলোনা। এখানেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে নেতিবাচকতা হয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বাড়ি, এমন সাংবাদিকও ওই ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে লিখেছেন। তাদের কেউ একবার এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, মিউনিসিপ্যালিটি সহ অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসরূপ দেখে যাননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা রয়েছে। এখানে রাজনীতিতে এসে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার এ প্রচেষ্টায় আমার পাশে আছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। এখানকার অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সমতট বার্তা কিছুটা ব্যতিক্রম। জেলার শিল্প সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রগতিশীল ভাবনাগুলোকে মর্যাদা দিয়ে তাঁরা পত্রিকাটি চালাচ্ছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ, একদিন অতীতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা অবশ্যই ফিরে পাবো। এ ব্যাপারে আমি আবারো আপনারা সকলের সহযোগিতা চাই।’ অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মুখ্য আলোচক বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দৈনিক সমতট বার্তা পাঠক ফোরাম এর সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিরউদ্দিন চৌধুরী রনি। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের জীবনচরিত ও কর্মকৃতি পাঠ করেন ফারিয়া বিনতে আলম ও ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা। সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নুসরাত জুহুরী প্রান্তি, পাপিয়া চৌধুরী, ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা, মায়া চক্রবর্তী। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক যে আমিন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগীত সংগঠক আনিসুল হক রিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “সর্বজনীন পেনশন স্কীম” সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সভায় বলা হয়, ২০১৫ সালে প্রনীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা হয় এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৪ নং আইন) প্রনয়ন করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে রয়েছে “প্রবাস” “প্রগতি” “সরক্ষা” ও “সমতা” নামের ৪টি ব্যবস্থা।
“প্রবাস” স্কীমে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে ফিরে আসার পর সম পরিমান টাকা দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা সহ প্রয়োজনে স্কীম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কীমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় টাকায় পেনশন পাবেন।
এই আইনের অধীনে চাঁদাদাতাগন অনলাইন প্লাটফরমে রেজিষ্ট্রেশন করে যে কোন একটি পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পারবেন।
“প্রগতি” স্কীমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্নিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার কর্মচারীগনের জন্য এই স্কীমে অংশ গ্রহনের ক্ষেত্রে স্কীমের চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকী ৫০% প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ গ্রহণ না করলেও উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সুরক্ষা” স্কীমে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমনঃ- কৃষক, শ্রমিক, রিকসা চালক, কামার, কুমার, জেলে তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগন নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সমতা” স্কীমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র সীমার নি¤েœ বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগন তফসিলে হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সমতা স্কীমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমান অর্থ জমা দিবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম। এটি সরকারের সর্বোত্তম কাজ। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। যারা সরকারি চাকুরী করেন বা অন্য কোন ভাবে সরকারি ভাতা ভোগ করেন তারা এই সর্বজনীন পেনশন স্কীম করতে পারবেন না। তবে যারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ভাতাভোগী তারা যদি নিজেদের ভাতা সরকারের কাছে সারেন্ডার করলে তাহলে ওইসব ব্যক্তি পেনশন স্কীমের অর্ন্তভুক্ত হতে পারবেন।
তিনি বলেন ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানে শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদাদাতা স্কীমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতে প্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে। প্রবাসী স্কীমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
অবহিতকরণ সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনীতিবিদ, জেলার ৯টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগণ, ৯টি উপজেলার ইউএনওগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত ‘৭৫তম প্লাটিনাম জুবিলী বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্স-২০২৩’-এ যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) ভারত গেছেন।
ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজিক্যাল এর মেম্বার ডা. মতিনকে বার্ষিক এই কনফারেন্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই)।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের কলকাতার আইটিসি রয়্যালে শুরু হওয়া এ বার্ষিক কনফারেন্স শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। কনফারেন্সে যোগ দিতে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০২২ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডা. মতিন।
এবারের কনফারেন্সে ইউরোপীয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির সদস্যসহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার কার্ডিলওজিস্ট অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
বার্ষিক কনফারেন্সে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিকবিজ্ঞানের নবতম সংযোজন, সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার, হৃদরোগের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হৃদরোগের সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা চিকিৎসকগণ লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে হৃদরোগীদেরকে বিশ্বমানের সেবাদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং এতে রোগীরাও আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হন। কনফারেন্স উপলক্ষে চিকিৎসকদের আগমণ ও অবস্থান প্রতিবছর কার্ডিওলজিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম)। আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার দারুল উলুম হাফেজিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুর রহিমের ৫ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ মোহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) নিজের দক্ষতায় রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ডোপিং কন্ট্রোল টিমে একমাত্র বাংলাদেশি ‘ডোপিং কন্ট্রোল চ্যাপেরন’ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন সৌভাগ্যবান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। তিনি রাশিয়ার রুস্তভ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও ক্লিনিক্যাল অরডিনাটুরা কোর্স সম্পন্ন করেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরেরই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ওয়েস্টার্ন স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে। একই শহরের পাত্রোভ্সকায়া এলাকার সিটি হসপিটালে কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই বছর। এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন নিজের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টে দেশের পতাকাকে তুলে ধরেছেন নানাভাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ফিফা ও অর্গানাইজেশন কমিটির বিভিন্ন অডিশনে অংশ নেন এবং রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডোপিং কন্ট্রোল’ টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) বলেন, ২০২২ সনে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কনফারেন্সে বিশ্বের নামি-দামি কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি, কনফারেন্স থেকে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের হৃদরোগীদেরকে আরও সহজভাবে মানসম্মত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংকল্প’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের দানবীর লোকনাথ রায় ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে দিনব্যাপী (২০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের) ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদলকে ২-০ গোলে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল জয়ী হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মাদক থেকে বিরত রাখতে তারেক রহমানের নির্দেশে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের এই সংকটকালে বিশৃঙ্খলা চলছে। তারেক রহমান বারবার বলেছেন অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার যতো শক্তিশালী হোক চাইলেই তারা সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। তাই দ্রুত নির্বাচিত দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, গত ষোল বছরের আন্দোলনের ফলই ৫ আগস্টের অর্জন হয়েছে। ৫ আগস্টের অর্জন কারো একার নয়, কোন দলের নয়। ৫ আগস্টের বিজয় সমগ্র জাতির অর্জনের ফসল। কেউ যদি মনে করে এই অর্জন কোন ব্যক্তির কিংবা কোন একটি সংগঠনের তাহলে সেটা ভুল ধারণা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির পাঁচশত লোক নিহত হয়েছে শুধুমাত্র এই ৫আগস্টের আন্দোলনে। এছাড়া গত ষোল বছরে বিএনপির কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল, সদর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে। সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খেলা চলে। সেমিফাইনালে সদর উপজেলা ছাত্রদলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলকে হারিয়ে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজুয়ানুল হক শীষ। খেলায় ধারাভাষ্য বর্ণনা করেন সাবেক ফুটবলার ওমর ফারুক আজাদ, সোহেল রানা ও মিজানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন চপল, নিয়ামুল হক, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মঈন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, জেলা শ্রমিক দলের নেতা আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম চৌধুরী, রাশেদ কবির আখন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর, আশিকুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, দুলাল আহমেদ, হাফিজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ হাফিজুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক ফোজায়েল চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম দিদার, সাঈদ আহমেদ সানী, ডিকন রিজুয়ানুল হক শীষ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কলেজের সামনে সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল। কলেজ শাখার সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ খান শ্রাবনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন – জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আরাফাত হাসান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা উৎস, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, রাব্বি রায়হান, ইয়াদুল হাসান, কাজী মেহেদী, জুয়েল রানা, তাজিম , শাহিদুল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান এবং এই ইসুতে কেন্দ্রীয় যে কোন নির্দেশনায় মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।