চলারপথে রিপোর্ট :
সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক সংবাদপত্র সমতট বার্তা’র ৩৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক সমতট বার্তার আয়োজনে ৭ পর্বের সমতট উৎসবের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুধী সমাবেশ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
দৈনিক সমতট বার্তার উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও কবি জয়্দুল হোসেন। প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতাম তখন কুসুমকুমার চক্রবর্তী নামে একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি আমাকে কালো মেঘ ঔষধ খাওয়াতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে দিনে দিনে গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতো না। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ পার্কে আমার ফুফুর বাসায় রাত্রিযাপন করতে হতো। তখন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমি শুনতে পেতাম ঘরে ঘরে সুরের মূর্ছনা, ঝংকার। প্রায় সবার বাড়ি থেকে হারমোনিয়াম এর আওয়াজ ভেসে আসতো ওই সময়টাতে। এটি ছিল নিতান্তই তখন সুরের শহর। আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন নামে যেখানে আমরা আজকে দাঁড়িয়ে আছি এই বাড়িটি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ক্রয়কৃত বাড়ি। এ বাড়িটিতে তিনি নিজে এই সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগের যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা দেখেছি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন আর নেই। কিন্তু আমি আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে খুঁজে পেতে চাই। আমি যখন এখানে রাজনীতি করতে এসেছি তখন আমি এই শহরকে ভালোবাসি বলেই এসেছি। কারণ, সমৃদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণীজনদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিল অনেক উপরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আরও ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব শামসুল হুদা, মলয়া সংগীতের মনমোহন দত্ত, আফতাব উদ্দিন খাঁ, লব পাল এর মত অনেক গুণীজন। এখন আর সেই দিন নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে এসে এখানে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি সহমর্মিতা পেয়েছি। তাঁদের কথাতো আমি ভুলতে পারবো না। এরমধ্যে রয়েছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। আর সেই জন্যেই এখানে আসার ব্যাপারে তার যে আহ্বান সেটাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর এসব প্রচার যখন উপর মহলে যায় তখন আমরা অবহেলার শিকার হই। করোনাকালীন সময়ে একজন জনপ্রিয় মাওলানার মৃত্যুতে তাঁর জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। এটি নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে শফি নামে একজন আলেম সাহেবের মৃত্যু হয়। তার জানাজায়ও আরো অনেক বেশি মানুষ হয়েছিল। সেটিও ছিল করোনাকালেই। অথচ চট্টগ্রামের এ বিষয়টি নিয়ে কোন বিরূপ প্রচারণা কেউ করেনি। উপরন্ত চট্টগ্রামবাসীরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একজন মহিলা দু’দুবারে মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কথাটা কেউ বলে না। কিছু লোক সংঘবদ্ধ হয়ে, অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এই আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কিছু স্থানে বর্বর হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করলো, এ ব্যাপারে কেউ কিন্তু আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে এত এত সাংস্কৃতিক সংগঠন, বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন’ তারা কিন্তু এই তান্ডবের বিপক্ষে একটি মানববন্ধন করেননি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। এ সত্যেও এখানে কেউ আসেননি। আমি এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। তাও হলোনা। এখানেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে নেতিবাচকতা হয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বাড়ি, এমন সাংবাদিকও ওই ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে লিখেছেন। তাদের কেউ একবার এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, মিউনিসিপ্যালিটি সহ অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসরূপ দেখে যাননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা রয়েছে। এখানে রাজনীতিতে এসে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার এ প্রচেষ্টায় আমার পাশে আছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। এখানকার অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সমতট বার্তা কিছুটা ব্যতিক্রম। জেলার শিল্প সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রগতিশীল ভাবনাগুলোকে মর্যাদা দিয়ে তাঁরা পত্রিকাটি চালাচ্ছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ, একদিন অতীতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা অবশ্যই ফিরে পাবো। এ ব্যাপারে আমি আবারো আপনারা সকলের সহযোগিতা চাই।’ অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মুখ্য আলোচক বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দৈনিক সমতট বার্তা পাঠক ফোরাম এর সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিরউদ্দিন চৌধুরী রনি। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের জীবনচরিত ও কর্মকৃতি পাঠ করেন ফারিয়া বিনতে আলম ও ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা। সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নুসরাত জুহুরী প্রান্তি, পাপিয়া চৌধুরী, ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা, মায়া চক্রবর্তী। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক যে আমিন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগীত সংগঠক আনিসুল হক রিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি বিল ইজারা নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে মাসুদ হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাসুদ হায়দার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামের মৃত আবু নাসেরের ছেলে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৬ মার্চ একই অভিযোগে মাসুদ হায়দারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার গ্রামের সরকারি চামাউড়া বিল (জলাশয়) মাছ চাষের জন্যে জোনাকি মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেয় প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে এই বিলের জমিতে কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি মাসুদ হায়দার শুকনো মৌসুরেম দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাটি অবৈধ ভাবে ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাসুদ হায়দারকে আটক করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও সে আর মাটি কাটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে।
এ ঘটনার পর মাসুদ হায়দার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিলের কৃষি জমি ও পাশ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি অব্যাহত রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার উজানিসার এলাকায় বিলের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় মাসুদ হায়দারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত তার ভেকুটি জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আজ ১৭ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগীতায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেরা সোবহান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুল ও নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়।
রানার আপ হয়েছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তানজিয়া আক্তার শোভা।
প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো জুলফিকার হোসেন।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মানবর্ধন পাল।
বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও বাচিক শিল্পী মনির হোসেন প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়নও রানার আপ দলকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ছাড়াও শ্রেষ্ঠ বক্তা সহ সকল প্রতিযোগীকে বই প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,নির্বাচন আসলেই যারা নানান অজুহাতে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তাদের আওয়ামী লীগ করবার দরকার নেই। তারা আল্লাহর ওয়াস্তে স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলে খুব ভালো হয়। তবে গত নির্বাচনে যারা আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিয়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শক্রমে আমরা একক প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করবো। তিনি আওয়ামী লীগকে উপজেলা ও পৌর এলাকার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে গতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সম্মেলন করার প্রতি তাগিদ প্রদান করেন। তিনি বলেন,সংগঠন শক্তিশালী ও উজ্জীবিত রাখতে সম্মেলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন,আমরা দলীয় কর্মসূচী ও নির্বাচন নিয়ে মাঠ দখলে রাখতে চাই,অন্য কাউকে মাঠ দখল করতে দেয়া হবেনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা তানজিন আহমেদ, মহসিন মিয়া, কাজী মোরশেদ কামাল,বাবুল মিয়া, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
সভায় সদ্য প্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবু হোসেন এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসী ও তাদেও পরিবারের সদস্যদের আইনী সেবা দিতে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক চালু করেছে জেলা পুলিশ।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। প্রবাসী এবং তাদের স্বজনরা স্বশরীরে এসে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হটলাইন নম্বরে ফোন কল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারবেন। দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টাই সহায়তা ডেস্কেও সেবা নিতে পারবেন প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর আগে জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রেঞ্জ ডিআইজি। এতে তিনজন প্রবাসী সিআইপিকে সম্মাননা জানানো হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবাস বিষয়ক পরামর্শক মোঃ এজাজ মাহমুদ, জেলার প্রবাসী সিআইপি আহমেদ মোত্তাকি, মোঃ তৌফিকুজ্জামান ও মোঃ কাশেম মিয়া। ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রবাসে নিজেদের সমস্যার পাশাপাশি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সমস্যায় দুশ্চিন্তায় থাকেন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের এসব সমস্যা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের জন্য পুলিশের সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে। পুলিশের সাথে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে তাদের আর হয়রাণি হতে হবে না। মূলত পুলিশ ও প্রবাসীদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন রচনা করতেই বাংলাদেশ পুলিশ এই উদ্যোগকে আরো জোরদার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাঁজাসহ দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে শহরের ডাকবাংলো মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, লাকি বেগম (২৫) ও শান্তা আক্তার (১৮)।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, ডাকবাংলো মোড় এলাকায় মাদক কেনা বেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৬টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।