অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
তিনি আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে এক মহাসমাবেশে সম্পন্ন হওয়া ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ অফিসের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বিএসটিআইয়ের খুলনা আঞ্চলিক অফিসের ১০তলা ভবন। ১০তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (সিভিল, স্যানিটারি ও ইলেকট্রিক্যাল) কাজ এবং দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৪ তলা বয়েজ হোস্টেল নির্মাণ।
শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ (ইইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক কাম ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি এলবিকে মহিলা ডিগ্রি কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, ৬ তলা তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা একাডেমিক ভবন, নজরুল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আগর ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, পাইকগাছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) খালিশপুর বিআইডিসি সড়কের ড্রেন, ফুটপাথ, রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। ডুমুরিয়া উপজেলাধীন বসুন্দিয়াডাঙ্গা বাজার-মুগুর খালি ইউপি অফিস সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর সেতু (৩১৫.৩০ মিটার) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ শেখেরটেক ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ৬ তলা নবনির্মিত খুলনা আঞ্চলিক অফিসের কাজ বাস্তবায়ন করেছে।
এছাড়া যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, ইইডির দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক এবং ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বিআইডব্লিউটিএর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় রাজা বোহয়ংতো রায়ের স্মৃতিসৌধ এবং এলজিইডির কুরুলিয়া নদী সেতু (৭৪৮.৯০ মিটার)। সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির নতুন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে যে কোনো যাত্রী সপ্তাহে যতবার খুশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। আগের নিয়ম ছিল, কেউ সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবে না।
সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কেনার বাধানিষেধ উঠে গেলেও, কোনো যাত্রী একই স্টেশন থেকে দিনে একবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
নতুন পদ্ধতির ব্যাখ্যায় রেল জানিয়েছে, কোনো যাত্রী ঢাকার কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট দিনে একবারই এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি কিনতে পারবেন। তিনি ওই দিন কমলাপুর থেকে আর কোনো ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। তবে চট্টগ্রাম থেকে একই দিনের ট্রেনের ফিরতি যাত্রার টিকিট কিনতে পারবে।
গত ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিয়ম বাস্তবায়নে এনআইডি দিয়ে আগাম নিবন্ধন করা যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। টিকিট পেতে হলে আগে অনলাইনে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই (ভেরিফাই) করতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সপ্তাহের দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে না পারার নিয়মের কারণে, যারা নিয়মিত ট্রেনে চড়েন তারা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাদের জন্য নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল।
নতুন নিয়মে আরেকজনের নামে কেনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যাবে না। যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কেনা হচ্ছে, তিনি আরও তিনজনকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তাকে অবশ্যই ট্রেনে থাকতে হবে। নয়ত চারজনকেই বিনা টিকিটের যাত্রী গণ্য করে জরিমানা করা হবে। টিকিটে থাকা নাম থাকা যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিতে ভ্রমণের এনআইডি বা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে সুনামধন্য কিছু কোম্পানির নামের মোড়ক ব্যবহার করে খাবার স্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, বিড়ি, গুলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর বাজারে ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল পণ্য জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের সামনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তার দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে একই অপরাধে এর আগেও একবার জরিমানা করা হয়েছিল।
অভিযানে র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারসহ পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সংবাদ পেয়ে আলামিন শেখ বাবুর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ও গোডাউন মালিক বাবু পালিয়ে যায়। পরে দোকানে থাকা দুই কর্মচারীর তথ্য অনুযায়ী গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ওরস্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, মশলা, চানাচুর, বিড়ি, গুলসহ অন্তত ৫০ প্রকারের খাবার ছিল। আমরা খাবারগুলোকে ধ্বংস করেছি। পলাতক মালিক আলামিন শেখ বাবুকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ভেজাল ও নকল খাদ্যের বিরুদ্ধে র্যাবের এই ধরনের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্ত্রীকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে খুন করেছেন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনু। স্থানীয় ইকোপার্কে আজ ১৫ মে সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই নৃশংস ঘটনায় অনুতপ্ত ছাত্রলীগ নেতা নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন। পুলিশ তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইমাম অনু স্ত্রীকে ঝালকাঠি শহরের ইকোপার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী প্রাণ হারান। এই নৃশংস খুনের বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতা নিজের ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে অনুতপ্ত হয়ে থানায় গিয়ে হাজির হয়ে স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে নিজেকে গ্রেফারের আর্জি ধরেন।’
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কি কারণে ছাত্রলীগ নেতা স্ত্রীকে হত্যার পথ বেঁচেনিলেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। বললেন, পরবর্তীতে সব সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা রাজশাহী ও রংপুরের আলোচিত একটি ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন, বাগেরহোট সদর উপজেলার পাতিলাখালী এলাকার নূর মোহাম্মাদের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধনিরগাতী এলাকার মোতালেবের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), একই জেলার কোতায়ালী উপজেলার হামিদপুর এলাকার মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২), ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী এলাকার ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী (২৮)।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আরিফুল হক প্রেস বিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং পূর্বে ডাকাতি করে আনা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ২৫ জুলাই রাজশাহীতে স্টোর ভেঙে ডাকাতি ও রংপুরের একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাজশাহী ও রংপুরে ডাকাতি ছাড়াও অন্য কোথায় কোথায় ডাকাতি করেছে তা জানা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরো চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। ইতোমধ্যে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়াসহ পুরনোদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে। নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করা হয়েছে লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে।
এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আরও ১৩ উপদেষ্টার সঙ্গে শপথ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আর লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শপথ নেন আজ।