চলারপথে রিপোর্ট :
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করেছে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সোমবার রাতে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫জন নারী ও ২৩জন পুরুষ।
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করেন সদর মডেল থানার এস.আই শওকত এবং একটি মামলা দায়ের করেন জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারী মোঃ খায়রুল।
পুলিশের পক্ষে ১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় ৭৩জনকে আসামী করা হয়। অপর দিকে খায়রুলের মামলায় ১২৩জনকে আসামী করা হয়।
১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জন আসামী হলেন, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরজু মিয়া, সাবেক মেম্বার মোঃ কামাল খাঁ, সাবেক মেম্বার আবদুল কুদ্দুস, ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির হোসেন, মজিবুর রহমান, বেদন মিয়া, সফিকুল ইসলাম, হোসেন মিয়া, নূরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, বাদল মিয়া, মহিউদ্দিন মিয়া, বাছির মিয়া, মনিরুল ইসলাম, তাজু মিয়া, ইদন মিয়া, সিরাজ মিয়া, খায়ের আলী, মোঃ শামীম, আম্বিয়া খাতুন, আসমা বেগম, ববি বেগম, শিখা বেগম, লাভলী বেগম, রেখা আক্তার, রীমা বেগম, পারুল বেগম, পারভীন বেগম, নাদিয়া আক্তার, সাফিয়া খাতুন, নাহিয়া ইসলাম অন্তু, সেলিনা বেগম, রেবেকা সুলতানা ও রিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলমের গ্রুপে আছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়ার অনুসারীরা।
অপরদিকে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ূমের অনুসারীরা।
গত কয়েকদিন আগে মোঃ শাহআলম গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকতের ছেলে মিল্লাতকে মারধোর করে বাবুল মিয়ার অনুসারীরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। গত রবিবার রাতে পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকত এবং তার ছেলে মিল্লাতকে আবারো মারধোর করে বাবুলের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সোমবার সকালে উভয়পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়।
এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও উভয়পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিপেটা, ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক দুইজন চেয়ারম্যান, বর্তমান একজন ইউপি সদস্য, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে শহরের শেখ হাসিনা সড়কে তিতাস সেতু থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ সহ দৌড়বিদরা অংশ গ্রহণ করেন।
আয়োজক ও অংশ গ্রহণকারিরা জানান, সুস্থ দেহ এবং সবল মনের জীবন গড়তে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে আরো বৃহৎ প্রতিযোগীতার কথা জানান আয়োজক সহ সংশ্লিষ্টরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জৈষ্ঠের প্রচন্ড দাবদাহে ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই শুরু হয় ম্যরাথন।
শহরের শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতু থেকে দৌড় শুরু করেন প্রতিযোগীরা। পরে মনিপুর সেতু ঘুরে আবারো তিতাস সেতুতে এসে ১০ কিলোমিটার দৌড় শেষ করেন অংশ গ্রহণকারিরা। সুস্থ, দেহ সবল মনের জন্যে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া শাহআলম পাটোয়ারি জানান, আমি সরকারী কলেজের ছাত্র। আজ এই প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে আমি অনেকটাই খুশি। আমি মনে করি প্রত্যেকের জীবন সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন আমরা সবাই প্রতিদিন দৌড়াই।
অপর প্রতিযোগী আমির হোসেন জানান, আমি পাঁচ কিলোমিটার প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেছি বেশ ভাল লেগেছে। এমন আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক অলি আহাদ রতন জানান, ” আমরা সুস্থ দেহ সবল মনের জন্য এবং মাদক থেকে দূরে রাখার জন্যে এবং সুস্থ দেহ সবল মনের জন্যেই এই আয়োজন। আমরা আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করব।
দৌড় প্রতিযোগীতাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা প্রফেসর দিলারা আক্তার, জানান, আমরা বেশ কয়েকবার এমন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। মূলত যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে আর্ন্তজাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন কবর। গতবার ৪ টি দেশের দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেছিলো। আমরা আশা করি এবার আরো বেশি দেশের মানুষ আমাদের আয়োজনে অংশ নিবে।
ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় মোট দুটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বয়সী ১৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার পুরস্কার তুলে দেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চান ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষনা করেন। সংবাদ সম্মেলন আশীষ কুমার চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ২০০২ সালে মিশন হাসপাতালে কাজ করার সময় থেকেই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ঢাকাস্থ ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকাস্থ সরাইল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ আমার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- (সরাইল-আশুগঞ্জ)সহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে আসছি।
মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে বিজয়ানন্দ এবং বৈশাখী সংগীত উৎসব সহ সর্বশেষ ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো ৭ মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট ছিল দেশের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আরেক বিপ্লব। সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই নেতৃত্ব দিয়েছি আমি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমার বাড়ি সরাইলে উদযাপিত হয়ে আসছে আমার প্রয়াত বাবার নামে “আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষা বৃত্তি”। বৃত্তিটি এই অঞ্চলের – ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি গভীর মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেছে। এই বৃত্তিতে প্রতিবছরই সরাইল ও আশুগঞ্জের সেরা স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন ক্রেস্ট, মেডেল, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়।
ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিলে অবহেলিত এলাকার আমূল পরিবর্তন আসবে বলে বিশ্বাস করি। সকল শ্রেণির মানুষের মানোনয়ন হবে বলে আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, সরাইলের ত্রিতাল সংগঠনের সঞ্জিব দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে সপ্তাহের ৫দিনই গণশুনানির ব্যবস্থা করছেন অফিসের উপ-পরিচালক শামীম আহমদ। সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি এ গণশুনানি পরিচালনা করেন।
এ সময় জেলার দূরদূরান্ত থেকে আগত সেবাপ্রার্থীরা যেমন হয়রানিমুক্তভাবে কার্যক্রম করতে পারছেন, তেমনি পাসপোর্ট করতে আসা অনেকের নানা সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে হয়রানি কমেছে।
৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঘুরে দেখা গেছে, অফিসের প্রায় সবগুলো কক্ষেই কর্মব্যস্ততা। শামীম আহমদ এই অফিসে যোগদানের পর থেকেই অনেকটা কমে এসেছে আগের যত অভিযোগ। পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভোগান্তি লাঘবে সরকার সপ্তাহের একদিন (মঙ্গলবার) গণশুনানির দিন ধার্য করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-পরিচালক শামীম আহমদ সপ্তাহের ৫ দিনই গণশুনানি করছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সেবাপ্রার্থীরা নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে এ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তিনি দ্রুত গতিতে এসব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন অফিসে প্রায় ৩৫০টি পাসপোর্টের আবেদন পড়ে। পাসপোর্ট তৈরি হওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়। আবেদনের পর এগুলো যাচাই-বাছাই করে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। প্রায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করতে হয়। আবেদনগুলোতে ভুল বা অসঙ্গতির ফলে নানা সমস্যায় পড়তে হয় কর্মকর্তাদের। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে অনেকেই পাসপোর্টের আবেদন করছেন। ফলে আগের চেয়ে ভুল-অসঙ্গতি অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সমস্যার সমাধান পেয়েছেন জেলার নবীনগরের সোবহান মিয়া। তিনি বলেন, আমার পাসপোর্টে নামের মধ্যে সমস্যা ছিল। উপ-পরিচালক এ সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। আগে কখনোই এতো কম সময়ে সমস্যার সমাধান হয়নি বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেননি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাজ করাতে হয়েছে। তবে এবারের ছুটিতে দেশে এসে আমার পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নামের সমস্যার সমাধান করতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে যেন নতুনভাবে দেখছি। আন্তরিক সেবা দেওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
একইভাবে প্রশংসায় ভাসান সদর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের আল মামুন। তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। কারও সহযোগিতা ছাড়াই তিনি পাসপোর্টের আবেদন করার পর সেটি হাতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাসপোর্ট অফিস সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা শুনলেও আমি তাদের কাছ থেকে আন্তরিক সেবা পেয়েছি। কাউকে কোনো উৎকোচ বা ঘুষ দিতে হয়নি।
এই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শামীম আহমদ জানান, সমসাময়িক অনেক কিছু না জানার কারণে পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা আবেদন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রায়ই ভুল করে বসেন। গণশুনানির ফলে সেবাগ্রহীতারা যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি অফিসের কাজের গতিও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে পাসপোর্ট সেক্টরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার নির্ধারিত একদিনের বদলে সপ্তাহের ৫ দিনই গণশুনানির মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দিচ্ছি। এ গণশুনানি চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই শতাধিক রিক্সা চালক ও পথচারীর মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছে “আমরা বন্ধু” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই ইফতার বিতরণ করা হয়। পরে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বন্ধুদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে. ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রামকানাই হাই একাডেমী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৬,১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালের এসএসসি ব্যাচ নিয়ে আমরা বন্ধু নামের গঠনটি গঠন করা হয়। এই সংগঠনের সদস্যরা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন স্থানে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এই সংগঠনে রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশত বন্ধু।
সংগঠনের সদস্য মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা প্রতি বছরেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। আজ দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনে সকলেই সমান। এই সংগঠনে কোন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নেই।
সংগঠনের সদস্য সিকদার আশা বলেন, আমি দুবাই থাকি। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ-উল ফিতর উদযাপনের জন্য কিছুদিন আগে দেশে এসেছি। আজ বন্ধুরা মিলে দুইশতাধিক পথচারী ও রিক্সা চলককে ইফতার করাতে পেরে ও সকল বন্ধুরা একসাথে ইফতার করতে পেরে ভালো লাগছে।