সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইল উপজেলায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ (বিলেরপাড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মানিক মিয়া ওই এলাকার মৃত এলেম মিয়ার ছেলে।
নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম জানান, ৬ বছর আগে একই বাড়ির বাদলের স্ত্রী শামসুন্নাহারকে এক লাখ টাকা ধার দেন মানিক মিয়া। সেই টাকা ফেরত চাইলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই বাগবিতন্ডা হতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজলের স্ত্রী শিরিনা বেগম টাকা দেওয়ার কথা বলে মানিককে ফোন করে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। মানিক বাদলদের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে আবারো বাগবিতন্ডা হয়।
তিনি বলেন, এ সময় আসমত আলী, শিরিন ও শামসুন্নাহার নামে আরও এক নারী মানিকের ওপর হামলা করেন। মানিককে তারা মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে দেওয়ালের সঙ্গে চেপে ধরলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পরিবারসহ পলাতক আছেন। তাদের কারোর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নিহত মানিকের স্ত্রী সামিনা বেগম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে রাত ১টায় সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে মানিক মিয়াকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তার পরিবার। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সবকিছু প্রকাশ হবে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে আজবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আজবপুর এলাকার মৃত আসিদ মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জান্নাতুল ফেরদৌসের জন্মের আগেই তার বাবা আসিদ মিয়া মারা যায়। তারপর মোর্শেদা বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বড় করেন। সকালে মোর্শেদা বেগম বাজারে গেলে এ সুযোগে জান্নাতুল ফেরদৌস ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। তবে কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও প্রকৃতির সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ সরাইল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার উদ্যোগে সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার নিজ দপ্তরের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লিফলেট বিতরণী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুকের পরিচালক মোমিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোতাহার হোসেন, লেখক ও গবেষক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, তরী সরাইল শাখার আহবায়ক ও সরাইল মহিলা কলেজের আহবায়ক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদস্য সচিব শাহগীর মৃধা, সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান, সাংবাদিক জুলকার নাইন, তরীর সদস্য মোছা: নাজমা বেগম, মো: জুনায়েদ আহমেদ, শাহীন শাহ, সৈয়দ নাদির হোসেন, আনিসুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, শাকিল আহমেদ, দীপক কুমার দেবনাথ, মজিদ বক্স, মো: পারভেজ প্রমুখ। এ সময় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক কন্যা নবজাতকের লাশ পাওয়া গেছে ডোবায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যার প্র্বূ মূহুর্তে সরাইল সদরের ছোট দেওয়ান পাড়া আলিমুন্নেছা টাপয়ার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের ডোবা থেকে ওই লাশটি প্রথমে উঠিয়ে এনেছে এক শিশু। পরে দেখতে পায় মৃত নবজাতকটি কন্যা। স্থানীয়দের প্রশ্ন হচ্ছে এটা কী খুন? নাকি পাপের ফসল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, রবিবার আছরের পর খেলতে এসে এক কিশোর দেখতে পায় ডোবায় সাদা কাপড়ে মুড়ানো কী যেন পড়ে আছে। কৌতূহল বশত কাছে গিয়ে দেখার চেষ্টা করে। কিশোর সাদা কাপড়ের ভেতরে নবজাতককে দেখতে প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। পরে লোকজম আসলে কিশোর কাপড় সহ উপরে নিয়ে আসে। খালি গায়ে কন্যা নবজাতকটি মৃত। জন্মের পর মাথাও মুড়ানো হয়নি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সদ্য জন্ম গ্রহন করা এই কন্যা শিশুটির তো কোন শত্রু নেই। ফেরেশতা সমতুল্য শিশুটিকে কেনই বা খুন করবে? এটা হয়ত কারো পাপের ফসল। যেকোন নারী পুরুষের পাপ ধামাচাপা দিতে নিস্পাপ এই শিশুটিকে দুনিয়াতে আসতে না আসতেই জীবন দিতে হয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আমি বিশেষ কাজে এলাকার বাহিরে আছি। তদন্ত কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।