অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা পঞ্চম দফা হরতালের প্রথম দিনে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকাসহ সারাদেশে ২১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ৩৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৮১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি কেনাবেচা চক্র। বিত্তবান কিডনি গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনি প্রতি ৫০ লাখ টাকা চুক্তি করলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন তারা। চক্রটি অবৈধ উপায়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকা থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব–১।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– চক্রের মূলহোতা আনিছুর রহমান ও তার চার সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন। তাদের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রের সদস্যরা। কখনও তারা বলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটির বেশি কিডনি দরকার নেই। কখনও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসার খরচ দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে যেতেন। টাকার লোভে কিডনি হারিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে অসহায় মানুষগুলো।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন টাঙ্গাইলের আনিছুর। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হন তিনি। পরে দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানে ভারতে অবস্থানরত কিডনি কেনাবেচা চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র গড়ে তোলেন। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জীবন বাঁচাতে কিডনি ক্রেতারা ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকার থেকে চার–পাঁচ লাখ টাকা পান ডোনার। আর দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্টসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ৫-১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ হয়।
‘চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। দ্বিতীয় গ্রুপ দেশে থাকা মূলহোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয় তদারকি করে।’
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ এবং তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হাতে প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসতেন। চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন।
সম্প্রতি সরকারি একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতারণার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এই প্রতারণার সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, না..। তাদের জড়িত থাকার এমন কোনো তথ্য পায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ঢাকার রিকশা’ ও ‘রিকশা চিত্র’।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জামদানি, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। গত বছর (২০২২) পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
বাংলাদেশের রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
এ স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ বাংলাদেশি কর্মী। আজ২৭ আগস্ট রবিবার রাতে তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
ওইদিন বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। পরে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ‘স্বল্পব্যয় ও বিনা খরচে প্রবাসে কর্মী প্রেরণ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল।
মালেশিয়ার রেডউড ফার্নিচার এসটিডি কোম্পানির সম্পূর্ণ খরচে ওই শ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন প্রথমবার ২০ কর্মী নিয়োগ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় বিএমইটির মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেন, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে। ওইসব দেশে বাংলাদেশের কর্মীরা কর্মদক্ষতা দিয়ে প্রশংসা অর্জন করছেন। শ্রমিক ভাইদের মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো বেশি করে শ্রম দিতে হবে। তাহলে তারা নিজ খরচে বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কেথারসিস গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিনসহ বিএমইটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরাসরি হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমিয়েছে সৌদি সরকার। ৫০০ জন থেকে ওই কোটা ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যেসব এজেন্সির হজযাত্রী ২৫০ জন হবে তারা এখন সরাসরি হজে লোক পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৭ জানুয়ারি শনিবার হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র দেয়। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে আগের মতো বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এ ক্ষুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি জনবল নিয়োগে পরীক্ষার নির্ধারিত ফির ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন পাবে মোবাইল অপারেটর টেলিটক। একই সঙ্গে এ কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হবে। কমিশন এবং এ ভ্যাট চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে কাটা হবে। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল নিয়োগে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপনে কমিশন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান না চাকরিপ্রার্থী– কার কাছ থেকে কাটা হবে স্পষ্ট করা হয়নি। তাতে ভ্যাটের কথাও উল্লেখ ছিল না। নতুন প্রজ্ঞাপনে সেটি স্পষ্ট করা হলো। তবে পরীক্ষা ফি আগের মতোই রাখা হয়েছে।
নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের (নন-ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার ফি ৬০০ টাকা, দশম গ্রেডে ৫০০ টাকা, ১১তম এবং ১২তম গ্রেডে ৩০০ টাকা, ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডে ২০০ টাকা এবং ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডে ১০০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নিয়োগ কর্তৃপক্ষ টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি নিতে পারবে। তারা পরীক্ষা ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে দিতে পারবে টেলিটককে। একই সঙ্গে কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডে পরীক্ষার ফি বাবদ নির্ধারিত ২০০ টাকার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ টাকা পর্যন্ত টেলিটককে কমিশন হিসেবে প্রদান করা যাবে এবং ওই ২০ টাকার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩ টাকা ভ্যাট হিসেবে আদায় করা যাবে। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ হবে ২২৩ টাকা।
টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ নেওয়ার পরবর্তী তিন কর্ম-দিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠান দ্রুত চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সে অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।
অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে নিতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারে অর্থ নিতে পারবে।
পরীক্ষা ফি বাবদ আদায় করা অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড-১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তা জমা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।