অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপের পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় খেলতে গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লোহার দোলনার আঘাত পেয়ে শাহাদৎ হোসেন নামে এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুরে উপজেলার কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার কিসামত চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদৎ হোসেন উপজেলার কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুরে বিদ্যালয়ের লোহার দোলনায় খেলতে গিয়ে আঘাত পান দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র শাহাদৎ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যান। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার ও আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনায় কারো গাফিলতি ছিল কিনা তার তদন্ত করে দেখা হবে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিশুর পরিবারসহ সকলের সাথে কথা বলছি। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, ঘটনাস্থলে এসে অভিভাবকদের সাথে কথা বলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। মোট ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলে আমি মনে করি। সুতারাং নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যপারে আমরা অবিচল, অটল। আমাদের ওপর নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জনগণ যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য বিএনপি ও তার দোসররা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। যত সন্ত্রাস তার করতে যাক। খুবই রহস্যময় কিছু প্রোগ্রাম, আমরা অবাক হচ্ছি ৪ তারিখ তারা লিফলেট বিতরণ করছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার দিকে ভয়ঙ্করভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। সেজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নীরবতা দেখানো হলেও সশস্ত্র হয়ে উঠবে এমন খবর আমরা পাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০১৩ শুরু করে ১৪, ১৮ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তাদের যে ভ‚মিকা যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সারা বাংলাদেশজুড়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর, রাস্তা কেটে ফেলা, রাস্তায় আগুন দেওয়া, ৫ শর বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। এবারও তারা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ তারা জানে আন্দোলনে তারা সফল হয়নি, নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশি। পরিকল্পনা, প্রস্তুত সব কিছুই সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন যাতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত। আমি এক কথায় বলব, সন্তোষজনক।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোনো মামলা নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা অপরাধ করেছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে গণভবনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আজকে (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি, বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কীসের মামলা? …অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।
তিনি বলেন, তারা তিন হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ, রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কী হবে? ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা তো পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা, তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে, ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা তারা ঘটালো, নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদের কি মানুষ পূজা করবে?
এসব মামলার বিচারকাজ আরও দ্রুত শেষ করে জড়িতদের শাস্তি দিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ নয় বিধায় বিএনপি এখনো কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না দেখে তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।
বিরোধী দলে থাকার সময়কার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসে তো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।
সারাদেশের জেলের সব অপরাধীই বিএনপির দলীয় কি না, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে ৬০ লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার, ৬০ লাখ তো আমাদের জেলের ধারণক্ষমতাও নেই। তারপরও যতটুকু ধারণক্ষমতা আছে, সবই বিএনপির লোক- এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।
তিনি বলেন, কান্নাকাটি করে সব জায়গায় বলছে এত লক্ষ লোক তাদের গ্রেপ্তার। আমাদের সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেখানে যে ধারণক্ষমতা, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার বলছে, সব লোক যদি তাদের ধরা থাকে, তাহলে তো জেলে অন্য কোনো অপরাধী আর নেই। যত অপরাধী আছে জেলে, সব অপরাধীই বিএনপির। সেখানে চুরি, ডাকাতিসহ যা আছে, ওদের হিসেবে সব অপরাধী হচ্ছে বিএনপির। ওরাই সব, এটাই তো বলতে চাচ্ছে।
বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে তারা চিৎকার করে তাদের ওপর অত্যাচার… কী অত্যাচার হচ্ছে তাদের ওপর? তারা যে অত্যাচার করেছে, সেই জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচারের যে স্টিম রোলার চালিয়েছিল, যেভাবে হত্যা করেছিল, খালেদা জিয়া আসার পরে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ঘরে থাকতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ধরে নিয়ে যেভাবে অত্যাচার এবং আমাদের কতগুলো নেতাকে মেরে ফেলে দিল, আহসান উল্লাহ মাস্টার থেকে শুরু করে আমাদের বহু নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। …ওরা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ওরা মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
১৯৭২ সালের এই দিনে (১৯ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ু মুখ ক্যান্সারের টিকা দেয়া হবে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বলেন, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একটি করে ডোজ দেয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেয়া হবে।
এ সময় আরো বলা হয়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শোভন চন্দ্র সাহা।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজশাহীকে নবনির্মিত কারা প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি নির্মাণে ৯৪ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ দশমিক ৬৯ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পৌনে ১১ টার দিকে ফলক উন্মোচন ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সরকার কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করছে। রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি চালু হলে সেখানে আগতরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ দেখতে পাবে, জানতে পারবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কারা সদস্যদেরকে আধুনিক, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের কারাগারসমূহে আগত বিপথগামী লোকদের সংশোধন এবং পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনবল দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কারা প্রশিক্ষণ অধিদফতর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নবনির্মিত রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, প্রশাসন ও একাডেমিক ভবন, এম আই ইউনিট ভবন, পুরুষ স্টাফ ও প্রশিক্ষণার্থী ব্যারাক, মহিলা স্টাফ ও প্রশিক্ষণার্থী ব্যারাক, অফিসার্স মেস, কমান্ড্যান্ট, ডেপুটি কমান্ড্যান্টের বাসভবনসহ অফিসার্স কোয়ার্টার, ১০০০ বর্গফুটের অফিসার্স কোয়ার্টার, গার্ড ভবন, মসজিদ, পাওয়ার হাউস, পাম্প হাউস, ট্রেনিং সেড, ক্যাফেটেরিয়া, পোডিয়াম, প্যারেড গ্রাউন্ড ও সুইমিং পুল আছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর উত্তর তীরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় ১৯৯৫ সালে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৫ সালের ৯ জুন কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহীর নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গণপূর্ত অধিদফতর এ বছরের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ করে।