অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।
এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।
তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে দ্বারে দ্বারে গিয়ে জনগণকে নৌকায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কারণ, একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল বুধবার আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারটি পড়ুন এবং ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যান এবং নৌকায় ভোট চান।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে দলের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ছয়টি নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর যাত্রা ২০২৬ সালে শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে ক্ষমতায় আসলে সেই অগ্রযাত্রাটা ধরে রাখতে। সেকারণে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবেন। আপনারা ভোট চাইবেন। জনগণ ভোট দিয়ে যেন আমাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আর একটি কথা এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে তাই নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয়, প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
তিনি এ সময় বিএনপিকে রাজনৈতিক দল নয়, বরং সন্ত্রাসি সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসি দল আর একটি দল (জামায়াত) হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। আর এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ^াস করি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসি দল তারা নির্বাচনে বিশ^াসও করে না মানুষ খুন ছাড়া আর দুনীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সেই করণেই আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। এখানে একটি অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাতো আমাদেরই শ্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সে কথাটা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার যেমন প্রার্থীর আছে তেমনি ভোট দেওয়ার অধিকার জনগণের। এখানে কেউ কারো ওপর কোন বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। কোন সংঘাত সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। সকলের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে, সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কাজেই যারাই গোলমাল করবেন, ছবি কিন্তু উঠে আসবে। আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে কেউ কিন্তু রেহাই পাবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। আর জনগণ ভোট দেবে তাদের সেই ভোট দেওয়ার সুন্দর পরিবেশ তেরি করে দিতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে হবে এবং যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে, জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। সেটাই আমাদের আকাঙ্খা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপির-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট মিলে মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। এরপর থেকেই বিএনপি নির্বাচন বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য ২০১৩ সাল থেকে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে। তাদের দেওয়া আগুনে কত মানুষ অগ্নিদগন্ধ হয়েছে তার হিসেব নেই।
‘জিয়াউর রহমান যেমন ক্ষমতায় এসে হত্যা, গুম, খুন শুরু করে খালেদা জিয়াও একইভাবে ক্ষমতায় এসে একই কর্মকা- করেছে’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর আরও এক ধাপ অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন ধর্ষণ, হামলা, নির্যাতন-এমন কোনো বিষয় নেই যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন করেনি। এই কারণেই বিএনপিকে ২০০৮ সালে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। আবারো ২০১৩-১৪ সালের মতো বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে নির্বাচন বানচালের নামে। তিনি বলেন, একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। এদেশের অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, এছাড়া অন্য কোনো দলের হাতে হয় না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলাম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করেছে। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যপট উন্নয়ন অগ্রগতিতে পরিবর্তন হয়েছে, ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশের মাধ্যমে দলের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আগামীকাল তিনি বরিশাল যাবেন এবং ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন এবং গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তেজগাঁও দলীয় কার্যালয় প্রান্তে এবং শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে আবারও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘বিপদ আসতে পারে, সতর্ক থাকুন।’
আজ ০১ মার্চ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সতর্কতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন- জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য নিদের্শনা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আমনের ফলন ভালো হয়েছে এবার। বোরো উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনোভাবেই যেন জমি পতিত ফেলে রাখা না হয় আবারও সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এতো দিন খুব ভালোভাবেই চলেছে, বাকি যে সময়টা আছে সেটাও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রমনা কালী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এ নিশ্চয়তা জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উৎসবমুখর সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারছেন, তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু ঢাকাতেই না, ঢাকার বাইরে সব জায়গায় আমাদের লোকজন মোতায়েন আছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। সমাজের সকলকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশিশ্লষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় সাধারণ নিরস্ত্র ৬ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর খ ধারানুসারে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১-৭ নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করিবার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগের উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মারুফ হোসেন, মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেক্সিমকো লিমিটেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মেজর (অব.) আরিফ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনতাজউদ্দিন মন্ডল, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সাবের আহমেদ সজীব, ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেনসহ ৭০ জন।