অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যানের পর এবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ঘোষিত তফসিলকে ‘একতরফা’ দাবি করে এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) সারাদেশে হরতাল পালন করবে দলটি।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন দাবি জানায় বিএনপি।
এদিকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিএনপির টানা পঞ্চম দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এ দফার দুদিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পর দিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়, যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা গ্রেফতারও হন। তাদের কেউ কেউ বর্তমানে কারাগারে।
এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫-৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮-৯ নভেম্বর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। ১০ ও ১১ নভেম্বর দুদিন বিরতি দিয়ে ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় আরও দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় দলটি। মাঝে দুদিন বিরতি দিয়ে পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আরও দুদিনের অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটগুলোও টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যতটুকু আমি জানি আজকে কিছুক্ষণ আগ থেকে, খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার লাগানের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা আসেনি, আমি সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেব না।
প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে দেখেছেন বলেই খালেদা জিয়া বাসায় থেকে ওনার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজা স্থগিত রেখে ওনার মুক্তির নির্বাহী আদেশটি একটা আইনের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। সেই আইনে তাকে এখন বিদেশে যেতে দেয়া যায় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।
সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।
বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।
বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে- ক্ষমতাসীনদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেই নির্বাচন কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। আর এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের মহিলা, শিশুসহ কোন মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না, গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে এবং ভোটের অধিকার চলে যাবে।’
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ‘মহিলা সমাবেশে’ এ কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর চলমান আন্দোলনে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতেই এককভাবে মহিলা সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালন করে দলটি। দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলের মহিলা দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও গাড়িতে করে অনেক নেতাকর্মী আসেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার বিকেলে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়েছেন নারী নেতাকর্মীরা। তবে আকাশ মেঘলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে সমাবেশের কার্যক্রম শেষ করে আয়োজক সংগঠক মহিলা দল।
সমাবেশে নারী নেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন তারা। তাদেরকে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে একটি নতুন ইসি গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই দেশের একমাত্র এই সংকট থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্রও নিরাপদ নয়। বিশেষ করে এদেশে এখন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আর দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মহিলাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে না। আজকে সমস্ত দেশ বিপদগ্রস্ত হয়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল ও লবণসহ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মা-বোনদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে। সেই দাম কেউ মানছে না।’
নারীনেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সরকার জোর করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আপনারা কি সেটা দেবেন? সরকারকে কি আবার ক্ষসতায় থাকতে দেবেন? এরা কাউকেই ছাড় দেয়নি। মা-বোনদেরকে গ্রেপ্তার করে তারা কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। বিএনপির অংসখ্য নারী নেত্রীর ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। এই সরকার অত্যাচারের সরকারে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী সমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ নারীদের অধিকার অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানকে খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এজন্য আজ দেশের নারী সমাজ জাগ্রত হয়েছে। কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা খান রিতা, জেবা খান, নার্গিস আলী, নাজমুন নাহার বেবি, নুরজাহান মাহবুব, নেওয়াজ হালিমা আরলী, নিলোফার চৌধুরী মনি, রোজিনা ইসলাম, জাহান পান্না, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আক্তার, নায়েবা ইউসুফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম; আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই’।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ৫ বারের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খান, আকবর আলী, আবুল কালাম, আলী আজগর ভূঁইয়া, সামছু মিয়া মেম্বার, জালাল উদ্দিন, মোকলেছুর রহমান, মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।
তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র থেকে আমি শুরু করেছিলাম, আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আবার আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি যেন আপনাদের বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বড় বড় কথা বলে। তাদের আন্দোলন ভুয়া। বিএনপিতে এখন আতঙ্কের নাম তারেক রহমান। লন্ডনে বসে মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচি দেয়। ফরমান আকারে নতুন নেতৃত্ব পাঠায়। লন্ডনে বসে নেতা বানায়, কর্মসূচি দেয়। এই মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচি মানে কী? খেলা কিন্তু হবে, বিএনপিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
আজ ২৯ জুন শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মধ্যরাতে টেমস নদীর পার থেকে ফরমান আসে। একজন গেল, আরেকজন এলো, মধ্যরাতের ফরমান। তারেক রহমানের এ ফরমানে ফখরুল ইসলাম, গয়েশ্বর বাবু কোথায় যান? কেউ জানে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। ৭৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের বয়স। দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন, ঝড়, অন্ধকার, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ।
তিনি আরো বলেন, আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই। আমাদের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের জন্ম জনতার মাঝ থেকে। আমরা অস্ত্র উঁচিয়ে শেষ রাতে ক্ষমতা দখলকারী দল নই। জনগণের মাঝে জনগণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলেছিলাম, বছরব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। গণমাধ্যমে খবর হয়, আমরা নাকি পাল্টাপাল্টি করছি। গতকাল আমরা সাইকেল র্যালি করেছি, বিএনপির কি কিছু ছিল? তাহলে কেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দিচ্ছেন? আমরা সারাবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।