অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যানের পর এবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ঘোষিত তফসিলকে ‘একতরফা’ দাবি করে এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) সারাদেশে হরতাল পালন করবে দলটি।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন দাবি জানায় বিএনপি।
এদিকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিএনপির টানা পঞ্চম দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এ দফার দুদিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পর দিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়, যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা গ্রেফতারও হন। তাদের কেউ কেউ বর্তমানে কারাগারে।
এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫-৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮-৯ নভেম্বর সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। ১০ ও ১১ নভেম্বর দুদিন বিরতি দিয়ে ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় আরও দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় দলটি। মাঝে দুদিন বিরতি দিয়ে পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আরও দুদিনের অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটগুলোও টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদানরা একটি নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব শুধু তড়িঘরি করে নির্বাচন ডেকে দেয়া নয়। বরং নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্বাচন পদ্ধতির জঞ্জাল শতভাগ সংস্কার করে জনগণের বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া উচিত। তবে যেকোনো ধরণের পক্ষপাত ঠেকাতে এবং বিতর্কমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ও নন হ্যাকেবল পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে।
আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৈরতলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্র দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়না। তাই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে ইসলামি দল ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ও সাম্য গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সংলাপের বিকল্প নেই। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যে জাতীয় সংলাপ হচ্ছে সেখানে সবার আগে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় জেলা জাকের পার্টির সভাপতি মোঃ সেলিম কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত মহাসচিব মাহাবুবুর রহমান হায়দার, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর, কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৃষক মহীউদ্দীন, শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাস্তুহারা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, তালাবা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতী কাউসার আহমেদ চাঁদপুরী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদসহ নয়জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের কাছে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এদিকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীরা হচ্ছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কাজী মাসুদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের জাসদ প্রার্থী আক্তার হোসেন সাঈদ এবং জেলার ছয়টি আসনের জাকের পার্টির ছয়জন প্রার্থী।
জাকের পার্টির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা জানালেও জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ জন প্রবীণতম নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৩ জুন রবিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জমকালো ও বর্ণাঢ্য এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সম্মাননাপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ, মুসলিম মিয়া, আবুল কালাম ভূঞা, অ্যাড. হামিদুর রহমান, গোলাম ইসহাক, হেবজুল বারী, নিয়াজ মুহাম্মদ খান, আলী আকবর, আবদুল মতিন দারু, কাজী হারিছুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন, আবদুল হাই মাস্টার, কার্তিক চন্দ্র দাস, ফুল মিয়া ভূঞা, মিসেস মিনারা আলম, মিসেস মমতাজ বাশার, মিসেস রেহেনা বেগম রানী, অ্যাড. মকবুল হোসেন তালুকদার, ডা. রাফি উদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. আজিজুর রহমান, অসীম কুমার পাল, নজির শাহ, মফিজ উদ্দিন, মো. আবদুর রহিম খান, হাজি মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সত্তরোর্ধ নেতাদের ফুলের তোড়া, মেডেল, ক্রেস্ট ও শাল উপহার প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হাজি মুজিবুর রহমান বলেন, ৭৫ এর পর আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। আজ আজীবন সম্মাননা পেয়ে মনে হচ্ছে তখনকার বাড়ি পোড়ানো আজ সম্মান আর মর্যাদা এনে দিয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ডা. রাফি উদ্দিন বলেন, জীবনভর আওয়ামী লীগ করে বয়সের শেষ সময়ে এসে যে সম্মান জেলা আওয়ামী লীগ দেখালো তা আমৃত্যু প্রেরণা যোগাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জেলা আওয়ামী লীগ ২৫ জন নেতাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা বুঝতে পারবে দলের প্রতি সবসময় অনুগত থাকলে, অবিচল আস্থা রেখে দলের কাজ করলে একসময় না একসময় সম্মান আসে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই-সংগ্রাম আর এগিয়ে চলার ইতিহাস। আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় স্ফীংসের মতো আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অগ্রসর চিন্তার আরেক নাম। তাই যতোদিন বৈষম্যহীন সমাজ, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে ততোদিন আওয়ামী লীগের সংগ্রামশীলতা চলবে। তিনি আরো বলেন, প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই তেমনি আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আজীবন সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৬ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি ছিল। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এসেছে আজকে তারাই গণতন্ত্রের ছবক দেয়!
তিনি বলেন, শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে গিয়েও নালিশ করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে দেশের বাহিরে থেকে এসে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।
২৭ মার্চ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল- এদেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, চিকিৎসা পায়, উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য। তিনি চেয়েছিলেন তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। আর এসব কারণেই তিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধটা একটি জনযুদ্ধ ছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এদেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নালিশ করে তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতায় যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি আজম, এবিএম মমিনুল হক প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাক-ঢোল বাজিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। পুরো অনুষ্ঠানস্থল ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত।