অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনাকালে ইসরায়েলের আরো এক সেনা নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স)। এতে স্থল অভিযানে বাহিনীটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজায় রাতভর লড়াইকালে নতুন করে যে কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন তার নাম শ্লোমো বেন নুন। তার বয়স ২২ বছর। বেন নুন প্যারাট্রুপ ব্রিগেডের ২০২তম ব্যাটালিয়নে কোম্পানির ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।
তাছাড়া উত্তর গাজা উপত্যকায় লড়াইয়ে ৭৫তম ব্যাটালিয়ন, ৭তম ব্রিগেড ও ৯২১৫ তম ব্যাটালিয়ন ও ২০৫তম ব্রিগেডে একজন করে সংরক্ষিত সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, যে সব সদস্য আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের পরিবারকেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর তাৎক্ষণিক পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষের অপেক্ষা নয়, এখনই সরে দাঁড়াতে হবে নেতানিয়াহুকে।
গতকাল ১৫ নভেম্বর ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল এন১২’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহুর অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত। আমাদের পরিবর্তন দরকার, নেতানিয়াহু আর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা কখনই যেন ফিরতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে আমেরিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুনী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। এই বিএনপি-জামাত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারো উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্যে বিএনপি জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামাত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে মাথা উঁচু করে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলতে হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান কারণ, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যেন বাংলাদেশ কোন সংকটে না পড়ে।
দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোন চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বাড়ি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ লোককে বাড়ি দিয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন লোককে বিনামূল্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ লক্ষে আরো ৬০ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অন্ষ্ঠুান পরিচালনা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মক্কার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো পবিত্র রমজান মাসে রমজানের দ্বিতীয় জুমার তারাবির নামাজে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তারাবির নামাজে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ার কারণে কাবার গ্র্যান্ড মসজিদ পেরিয়ে নামাজের কাতার গিয়েছিল সাড়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরের মাআলা এলাকায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যায় মাআলা এলাকায় মুসল্লিদের ভিড়ের দৃশ্য। সাথে সাথে ড্রোন থেকে তোলা ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।
পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় করেন।
এছাড়া রমজান মাস ওমরা পালনের জন্য আদর্শ মৌসুম এবং এ মাসেই রয়েছে ইতিকাফ করার সুযোগ। এজন্য রমজান মাস জুড়ে মক্কা মদিনায় ভিড় লেগেই থাকে। সূত্র: গালফ নিউজ
চলারপথে ডেস্ক :
কুয়েত ঢাকা রুটে যাতায়তকারী প্রবাসীদের জন্য সু খবর দিল বিমান বাাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যান্য ব্যবসার মতো বর্তমান এয়ারলাইন্সের ব্যবসায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার কুয়েত প্রবাসীদের জন্য অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও মূল্যহ্রাসের সুখবর নিয়ে এলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১০ মে হতে ৫কেজি ১৪ কুয়েতি দিনার, ১০ কেজি ব্যাগেজ ১৯ কুয়েতি দিনার, ২৩ কেজি ব্যাগেজ ৩২ কুয়েতি দিনার এবং সাথে ১ দিনার সার্ভিস চার্জ যাত্রীরা নিতে পারবে। ইকনোমিক ক্লাসে ৫০ কেজি ব্যাগেজ ও ০৭ কেজি হাতে এবং বিজনেস ক্লাসে ৬০ কেজি ব্যাগেজ ও ৭ কেজি হাতে নিতে পারে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাসের খবরে উচ্ছ্বাসিত কুয়েত প্রবাসীরা।
চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ব্যাগেজে দাম কমানো আমরা অনেক খুশি। আমারা পরিবার ও প্রিয়জনদেন জন্য জিনিস নিয়ে যেতে পারবো । নির্ধারিত ওজনে বেশি হলে এবং ওজন চার্জ বেশি বেশি হওয়ার কারণে মালপত্র পেলে যেতে হতো।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে আমাদের একটা অনুরোধ বিমানে শিডিউল ঠিক রাখে এবং আগের মতো কুয়েত চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু করে।
স্কাই টাচ এবং বদুর ট্রাভেল এজেন্সি সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসনে মোবারক ও সেলিম হাওলাদার বলেন, আমরা র্দীঘদিন এই ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সাথে জড়িত গ্রাহকের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নানা অভিযোগ ও আবদার জানায়। আমরাও চেষ্টা করি গ্রাহকে আবদার ও অভিযোগ গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষে কাজে পৌছেয়ে দিতে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাস সময় উপযোগী গ্রাহকের চাহিদা ছিল। এতে কুয়েত বাংলাদেশ বিমানের প্রবাসী যাত্রী যাতায়ত বাড়বে লাভবান হবে বিমান এবং বাড়বে দেশের রেমিট্রান্স। কুয়েত থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম রুটে বিমানে আরো ফ্লাইট বাড়ানো জরুরী বলেন মনে করেন এই কর্মকর্তারা।
কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ এবং চাহিদা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজে মুল্যহ্রাস করেছি।বহিঃবিশ্বে লাল সবুজ পতাকা বাহী বাংলাদেশের বিমানআমাদের নিজেদের বিমান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের কর্ষ্টজিত আয়ে প্রবাসীদের নিয়মিত বাংলাদেশ বিমানে যাত্রায়তের আহ্বান করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৩৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করে ইতালির দক্ষিণের বন্দর ব্রিন্ডিসিতে নিয়ে এসেছে মানবিক সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স (এমএফএস) পরিচালিত জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। অভিবাসীরা সিরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, সোমালিয়া ও শ্রীলংকার নাগরিক বলে জানিয়েছেন এমএফএস। শুক্রবার সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ভূমধ্যসাগরে ১১ ঘণ্টার অভিযান শেষে মোট ৪৪০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে জাহাজটি। এই অভিবাসীরা ছোট ছোট নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালি পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে নেয়। বাকিদের ব্রিন্ডিসিতে পৌঁছে দেয় জিও ব্যারেন্টস।
অভিবাসীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বেনগাজি থেকে কাঠের নৌকায় করে তারা পহেলা এপ্রিল রওনা করেন। উদ্ধারের আগে চারদিন তারা সমুদ্রে ভেসেছেন। এর মধ্যে শেষ দু’দিন তাদের কাছে খাবার ছিল না।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, উপকূলে পৌঁছানোর আগে এক ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে মাল্টায় নেয়া হয়। তিনি পানিশূন্যতা জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও পুড়ে যাওয়া এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় প্রতিবছর বিপুল অভিবাসী বিপজ্জনক উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে চলতি বছর এই সংখ্যা ১৮ হাজারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চারগুণ বেশি। ইটালিতে আসা এই অভিবাসীরা মূলত লিবিয়া ও টিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ছোট নৌকায় রওনা দেন, যা উত্তাল সমুদ্রে যাতায়াতের উপযুক্ত নয়। যে কারণে প্রায়ই নৌকা ডুবে প্রাণহানি বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। সূত্র : ডয়চে ভেল
অনলাইন ডেস্ক :
কি পরিমাণ দুর্নীতি হলে একটি সেতু বাতাসেরে ধাক্কায় ধসে পড়তে পারে। হা ঘটনা সত্য সামান্য বাতাসের ধাক্কায় নির্মাণাধীন আস্ত একটা সেতু ধসে পড়েছে। আবার শুনলে আবাক হওয়ার মত। এই সেতু নির্মান চলছে প্রায় আট বছর ধরে। এখন কি হবে?
জানা যায়, ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে রাতে একটু ঝড়ো বাতাসেই ধসে পড়েছে ৮ বছর ধরে নির্মাণাধীন সেতু। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অর্ধ-শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ এদিক-সেদিক হলেই তার নিচে চাপা পড়তেন তারা।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। সোমবার দিবাগত রাতে তেলেঙ্গানা রাজ্যের পেদ্দাপল্লী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতে তেলেঙ্গানার পেড্ডাপল্লি জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দুটি পিলারের মধ্যে পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। বাকি তিনিটি শিগগিরই ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে সেতুটি থেকে ৬০০ মিটার দূরে ওদেদু গ্রামের সরপঞ্চ সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও বলেন, সৌভাগ্যক্রমে একটি ৬৫ জনের একটি বিয়ের বাস মাত্র এক মিনিট আগে অতিক্রম করে কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
জানা যায়, ২০১৬ সালে তৎকালীন তেলেঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার এস মধুসূদন চারী এবং স্থানীয় বিধায়ক পুট্টা মধু মানাইর নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন এবং এর জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। কাজটি এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল এবং তিনটি শহর মন্থনী, পরাকাল এবং জাম্মিকুন্টার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনার কথা ছিল। সেতুটি ভূপালপল্লীর টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপাল্লু থেকে পেড্ডাপল্লীর ওডেডেডুকে সংযুক্ত করার কথা ছিল।
সাংবাদকিদের স্থানীয়রা জানান, কমিশনের জন্য চাপ থাকায় এবং সরকার তার বকেয়া পরিশোধ না করায় ঠিকাদার এক বা দুই বছরের মধ্যে কাজ বন্ধ করে দেন। ওই একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন যা ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যায়। গ্রামবাসীরা গত পাঁচ বছর ধরে সেতুর নীচে কাঁচা রাস্তা তৈরি করে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও বলেন, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছিল এবং গত বছর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না করেই আরও ১১ কোটি টাকা খরচ যোগ করা হয়েছিল।