চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দমকা হাওয়ায় টাঙ্গাইলের বাসাইলে গাছের ডাল পড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বাসাইল উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম আব্দুর রাজ্জাক। তার বাড়ি উপজেলার মিরিকপুর গ্রামে। তিনি বাসাইলে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর তিনি তার বাসাইল পূর্বপাড়ার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। বাসাইল উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনে মোটরসাইকেলে দাঁড়িয়ে তিনি একজনের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় দমকা হাওয়ায় উপর থেকে মেহগনি গাছের একটি ডাল পড়ে তার ওপর। তার মাথা ফেটে যায়। পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বাসাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের পাশে আছি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে জেলা এইড অফিসারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে অসহায় সাধারণ বিচারপ্রার্থীকে আইনি পরামর্শ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলায় আর্থিক সহায়তা সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে ৩২ হাজার ৫৫৪ জনকে মামলা দায়েরের জন্য আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সংসদের বৈঠকের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার মাধ্যমেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে, তাই এ পর্যায়ে প্রচলিত আইন সংশোধনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ কমিয়ে আনার জন্য আইনানুগ কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে ছাড়পত্র প্রদানের বিধান করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আনিসুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সারাদেশের দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ‘দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।
সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশের ভূমিব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু ভূমিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের আরো ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
৩৪ জেলার মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মনোয়ার মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিট পরিচালক মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসি উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াকফর প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুর জেলায় পদায়ন করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিভাগের সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমাতুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্ত্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইল, সেতু বিভাগের উপসচিব শরিফা হককে নীলফামারী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার নুসরাত সুলতানাকে কুড়িগ্রাম, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক এইচ এম রকিব হায়দারকে লালমনিরহাট জেলার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত ফারজানাকে ঠাকুরগাঁও, জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীকে নরসিংদী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোবাশশেরুল ইসলামকে দিনাজপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার শুরু হয়। গত ২০ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৫ ডিসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ওইদিন এক আদেশে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা, গোপালগঞ্জ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁদপুর জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমারা বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলি, মায়ের ভাষায় কথা বলি। বাংলা একাডেমি আমাদের অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের ভাষা আন্দোলনের মাস। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির সত্তা জাগ্রত হয়। এই পথ বেয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমারা বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলি, মায়ের ভাষায় কথা বলি। এই অধিকারটাও আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে।
বই হাতে নিয়ে পড়ার আনন্দ আলাদা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও এখন আমাদের যুগ হয়ে গেছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যুগ। তবু বই প্রকাশ অবশ্যই থাকবে, এটা যাবে না। কারণ, হাতে নিয়ে বই পড়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। তবে আজকালকার ছেলে-মেয়েরা ট্যাবে বই পড়ে, আবার ল্যাপটপেও পড়ে।
এসময় নিজের স্কুল-কলেজ জীবনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বেশ আফসোস করে বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বইমেলায় আসায় কোনো মজা নেই। কারণ, স্বাধীনতা নেই। ডানে তাকাব নিরাপত্তা, বাঁয়েও নিরাপত্তা, পেছনে গেলে নিরাপত্তা, সামনে নিরাপত্তা; এই নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতাটাই হারিয়ে গেছে। এখানে আসলে মনে পড়ে স্কুল জীবনের কথা, ছোটবেলার কথা। এই প্রাঙ্গণের সঙ্গে সবকিছুই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখন সেই স্বাধীনতাটা নেই। জানি না কবে আবার স্বাধীনতা পাব।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর যখন জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিল, তিনি কিন্তু তখন সেখানে গিয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষায় ভাষণ অর্থাৎ বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আমার বাবার পথ অনুসরণ করে এই পর্যন্ত যতবার ভাষণ দিয়েছি, বাংলায় ভাষণ দিয়েছি।
ভাষা-সাহিত্য সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা উচিত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকাশকদের অনুরোধ করে বলব— শুধু কাগজে প্রকাশ করলে হবে না, ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রকাশক হতে হবে। ডিজিটাল প্রকাশক হলে এটা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পৌঁছাবে। মনমানসিকতা পরিবর্তন করে আধুনিক প্রযুক্তিও রপ্ত করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে আমার এগিয়ে যাব।
অনুবাদ সাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একসময় দাবি উঠেছিল— অনুবাদ করা যাবে না। কিন্তু আমি অনুবাদের পক্ষে। অনুবাদ যদি না হয় পৃথিবীর এত ভাষা আমরা কোথা থেকে জানব। একটা দেশকে, তার সংস্কৃতিকে জানতে হলে তার ভাষার মধ্য দিয়ে জানতে হবে।
এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বরাবরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন।
মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান।
বইমেলার সময়সূচি
এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক
ট্রাফিক পুলিশের হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীর গাবতলীতে মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিক। অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে মিরপুর সড়কে যান চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবরোধের কারণে গাবতলীর উভয় পাশে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। তা বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সাভারের আমিনবাজার থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অফিস মুখো যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে আশিক মিয়া নামের এক পিকআপ চালকের গাড়ির কাগজপত্র চেক করার বিষয় নিয়ে প্রথমে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
তাদের অভিযোগ, ফিটনেস,রুট পারমিটসহ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই পিকআপ ভ্যানের লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা থাকায় ২০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এ সময় চালক ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাফিক সার্জেন্ট জহিরসহ দুই পুলিশ তাকে মারধর করেন।
এর প্রতিবাদে পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করলে সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়। সূত্র : যায়যায়দিন
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে পিটুনি দেয় প্রেমিকার বাবা ও চাচা। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকটি মারা যায়। ছেলের মারা যাওয়ার ঘটনা শুনে যুবকের বাবাও মারা যান।
নিহত যুবকের নাম মাহিন মিয়া (২০) ও তার বাবা হিরন মিয়া (৫০)।
নিহতের ছোট ভাই আলম জনান, তার বড় ভাই মাহিনের সাথে প্রতিবেশী তন্বী আক্তারের ১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গেল বৃহস্পতিবার রাতে মাহিনকে তন্বীর বাবা মুজা মিয়া ও চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মাহিনকে বেদম পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাহিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আজ ৭মে রবিবার সকালে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে মাহিনকে ছাড় দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১১ টায় বাড়ির সামনে মাথাঘুরে পড়ে যায় মাহিন। পরে আবারও তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ছেলের মৃত্যুর ঘটনা শুনে বাবা হিরন মিয়া বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন হিরন মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর প্রেমিকার বাবা ও চাচাসহ স্বজনরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন জানান, এই পরিবারটি গ্রামের অত্যন্ত নিরীহ পরিবার। নিহত ছেলেটির টাইলসের কাজের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ভাতের হোটেলের ব্যবসা করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ডেকে নিয়ে ছেলেটিকে পিটিয়ে আহত করে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল ও চাচা জাহাঙ্গীর। এরপর থেকে ছেলেটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সকালে মৃত্যুর খবর শুনে হামলাকারীরা বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে।
মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে যান কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
বিকেলে ঘটনাস্থলে যান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হাসান।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় নিহত ছেলেটির মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে দোষীদের গ্রেফতারি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।