অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার। মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে এক হাজার ৭৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
এর মধ্যে সরাসরি ১০৬০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এতে দলটির আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আপনি হয়তো অনেক আলোচনা শুনে থাকবেন অথবা এ নিয়ে নানান খবরাখবরও দেখে থাকবেন গণমাধ্যমে।
কিন্তু এই দিনটা আসলে কী জন্য? এর গুরুত্ব আসলে কোথায়? নারীদের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও কী আছে? চলুন জানা যাক।
এটা কিভাবে শুরু হয়?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরুটা হয় শ্রমিক আন্দোলন থেকে, যা একসময় জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত বাৎসরিক দিবস হয়ে উঠে।
আর এসব কিছুর শুরুটা হয় ১৯০৮ সালে, যখন এক সাথে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে। এর এক বছর পর সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা প্রথম জাতীয় নারী দিবসের ঘোষণা দেয়।
এখন এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।
তিনি তার এই চিন্তাটা জানান ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে নারী শ্রমিকদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেখানে ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে তার এই প্রস্তাব মেনে নেন।
তবে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইটজারল্যান্ডে। আর এই দিবসের শতবর্ষ উদযাপিত হয় ২০১১ সালে।
এই দিবসের সব কিছু আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ১৯৭৫ সালে, যখন জাতিসংঘ এটা উদযাপন করতে শুরু করে। আর প্রথমবার এই দিবসের একটা প্রতিপাদ্য ঠিক হয় ১৯৯৬ সালে। জাতিসংঘ সেবার দিবসটি পালন করে ‘অতীতের উদযাপন, ভবিষ্যত ঘিরে পরিকল্পনা’ এই স্লোগান নিয়ে।
প্রতি বছর এখন এই দিবসে উঠে আসে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতোটা এগিয়েছে সেই বিষয়টা। একই সাথে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিকভাবে নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় এ দিনটি ঘিরে।
৮ মার্চ কেন? ক্লারা জেটকিন যখন এই দিনটি প্রস্তাব করেন তখন তিনি কোনও নির্দিষ্ট তারিখের কথা বলেননি।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই তারিখটিও নির্দিষ্ট ছিল না, সেবার যুদ্ধের সময় রাশিয়ান নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে এক আন্দোলন শুরু করে – টানা চার দিন ধরে চলা সেই আন্দোলনে অবশেষে সেখানে জার শাসনের অবসান ঘটে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার নারীদের ভোটের অধিকার মেনে নেয়।
যে দিন এই আন্দোলন শুরু হয় রাশিয়াতে সেদিন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী (কারণ তখন রাশিয়াতে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলা হত) ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রোববার। আর এই দিনটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ছিল ৮ই মার্চ – তারপর থেকেই এই দিনটা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
এদিন বেগুনি রং কেন পরা হয়? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট বলছে এদিনের রং হল বেগুনি, সবুজ এবং সাদা।
‘বেগুনি রং ন্যায় বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। সবুজ দিয়ে বোঝায় আশা এবং সাদা মানে পবিত্রতা, যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই রংগুলো এসেছে ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন্স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) থেকে’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কোনো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কি আছে? অবশ্যই আছে, আর সেটা ১৯ নভেম্বর। কিন্তু এটা অনেক পরে, ১৯৯০ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এখনও এই দিবসটি জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পায়নি। তবে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
এ দিনটি পালনের লক্ষ্য থাকে, ‘পুরুষ তাদের পরিবার, সমাজ ও এই বিশ্বে যে ইতিবাচকতা আনে সেটায় নজর দেয়া।’
এর আয়োজকরা বলেন একই সাথে এ দিবসের উদ্দেশ্য হল আদর্শ রোল মডেল তুলে ধরা, পুরুষদের সুস্থতার দিকে নজর দেয়া এবং লিঙ্গ সম্পর্কে উন্নতি আনা।
নারী দিবস কিভাবে পালিত হয়ে থাকে? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি ছুটি থাকে, রাশিয়াতেও এদিন সরকারি ছুটি এবং ৮ মার্চ ঘিরে তিন বা চারদিন ধরে ফুল বিক্রি দ্বিগুণ হয়ে যায়। চীনে স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক নারীই ৮ মার্চ অর্ধদিবস ছুটি পেয়ে থাকেন। ইতালিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে বলা হয় লা ফেস্তা দেলা দোনা, লজ্জাবতী ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। এই রীতির উৎপত্তি কীভাবে তা পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় রোমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এর চল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মার্চ মাসকেই নারীদের ইতিহাসের মাস হিসেবে দেখা হয়। প্রতি বছর এ সময় প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটা ইশতেহার বের করা হয় বছর জুড়ে আমেরিকান নারীদের অর্জনগুলোকে সম্মান জানাতে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য কী? এ বছর নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হল “নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন”। এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
“সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে”, বলা হয়েছে এই দিবসটি ঘিরে।
জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে বিশ্ব জুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবেলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে।
তবে অন্যান্য কিছু প্রতিপাদ্যও আছে। নারী দিবসের ওয়েবসাইট বেছে নিয়েছে “অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ” এই প্রতিপাদ্য, আয়োজকদের লক্ষ্য “সকল বাধা ভেঙে ফেলা, প্রচলিত ভুল ধ্যান ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এমন পরিবেশ তৈরি যেখানে সমস্ত নারী সম্মান ও মর্যাদা পায়।”
আমাদের কেন এই দিনটি দরকার? গত বছর আফগানিস্তান, ইরান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের নারীরা যুদ্ধ, সহিংসতা বা নীতি পরিবর্তনের কারণে তাদের অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছে।
সবশেষ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা গাজায় নারী ও শিশুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমন কী ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ-সহ পেয়েছেন।
একই সঙ্গে ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় হামাসের দ্বারা ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের অঙ্গ কর্তনের প্রমাণও পেয়েছে বিবিসি।
এই সংঘাতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেটার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নারীদের। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এক পরিসংখ্যান আগামী মাসের মধ্যেই গাজায় অন্তত ৫৫০০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন কোনও রকম ন্যূনতম চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই।
আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাইমারি স্কুলের বয়সসীমা পার হলেই তারা স্কুলে নিষিদ্ধ হয়েছে তালিবানদের দ্বারা, যা মেয়েদের সমশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
সুদানে সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘাতেরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে সেখানকার নারীদের উপর।
জাতিসংঘ বলছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায়ই নারী ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার খবর আসছে, যেখানে তাদের জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে এবং মুক্তিপণের দাবি করা হচ্ছে।
১২ লাখেরও বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দশ জনে নয় জনই নারী ও শিশু।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মারা যাওয়ার এক বছর হয়েছে, যিনি ইরানের হিজাব পরার কড়া নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপর অনেক নারী এই নিয়মের প্রতিবাদ করেন, যার মধ্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি-সহ অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘ কারাগারবাস ভোগ করছেন।
তবে গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনার কংগ্রেস অলিম্পিয়া আইন পাশ করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে আর্জেন্টিনার প্রতি তিনজনে একজন নারী অনলাইনে সহিংসতার শিকার হন।
নেটফ্লিক্সের এক সিরিজ থেকে তাইওয়ানে প্রচুর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে এবং স্থানীয়ভাবে একটা ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
যা থেকে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি যৌন হয়রানি আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়, যাতে সমস্ত কাজের জায়গায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়।
যার মধ্যে আছে যে কোনও ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা থাকা – যা আগে ছোট ব্যবসাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না থাকলেও নতুই আইনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই সাথে নিয়োগদাতাকে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সেটার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু স্পেনের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় উদযাপন ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সাবেক ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেসের এক চুমু কান্ডে; বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খান তিনি।
হারমোসো বলেন তার অনুমতি ছাড়াই তাকে চুমু দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে আইনিভাবে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
রুবিয়ালেস তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু তিনি কোনও অন্যায় করেছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল মাঠে ও মাঠের বাইরে যৌনতার সংস্কৃতির আলোচনা উস্কে দেয়।
বিবিসি ১০০ নারী প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করে। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ট্রেনের অনলাইন টিকিট পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করা হবে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছেন।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রেল উপদেষ্টা বলেন, আজ একটা প্রেজেন্টেশন হয়েছে। সেখান আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। রেলের টিকিটিং পদ্ধতি নিয়ে একটা ডায়াগনস্টিক (কিছু সমস্যা চিহ্নিতকরণ) হয়েছে। প্রেজেন্টেশনে দেখা গেল, কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন সেখানে নেই। কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নেই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। তবে, সেটির কী অবস্থা তা জানা যাচ্ছে না। যাত্রী যেন এখন থেকে এটা দেখতে পান কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকিট আছে। ‘সহজ’ বলেছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক হবে। না হলে আপনারা অভিযোগ করবেন। তিনি বলেন, রেলে অনেকেই কর্মকর্তা আছেন। এখানে কাজ করেন। কিন্তু এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। এটা জনগণের সম্পত্তি।
রেলের সচিব, মন্ত্রীর জরুরি কাজ আছে বলে অন্যদের নেই এমন তো না। আমরা দেশটাকে সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে এখন থেকে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটি এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। সেটাও ‘সহজ’কে বলা হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু কালোবাজারে ২০০ বা ৩০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায়। এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। যারা কালোবাজারি করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা রেলের লোক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেবো। আমরা সমস্যার গোড়ায় যেতে চাই। সবাই বলে এই সরকার কিছু করে না। কিন্তু এটা সময় লাগবে। আমরা গত একমাসে সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, আমাদের যথেষ্ট লোকোমোটিভ কোচ নাই। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।যেখানে যাত্রী নেই সেখানে ট্রেন যাচ্ছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেন নেই। প্রবাসীরা যেসব জায়গা যায় যেমন, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম এসব রুটে আলাদা ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, রেলের প্রকল্পগুলো নিয়ে রিভিউ চলছে। অনেক প্রকল্প আগে হয়েছে যেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ। সামনে রেলের প্রকল্প নিয়ে আমরা আরও বেশি সতর্ক আছি। আমরা সামনে বসবো। কোন প্রকল্প কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা জানাব। ঠিকাদারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন আর আগের মতো পরিবেশ নেই। যে কেউ বিড করতে পারে। সেই সুযোগ তৈরি করতে হবে। এখন গিয়ে দেখি- দুই-তিনজন ঘুরেফিরে কাজ পাচ্ছে। এটা আর হবে না। সবাই কাজ পাবে। রেল ও সড়ককে সেই সুযোগ তৈরি করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে একমত বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদ। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি। আনিসুল হক বলেন, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক, দুই লাখের অধিক বাংলাদেশি বাহরাইনে চাকরি করে। কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন সেখানকার রাজা কোনো পার্থক্য করেননি বাহরাইনি ও বাঙালির মধ্যে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায়, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক আছে। তিনি আরো বলেন, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবো বলেই আজকের আলাপ-আলোচনায় একমত হয়েছি আমরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি ১৫ নভেম্বর এমপি হিসেবে শপথ নেন। একইদিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাই শপথ নেওয়ার পরও তিনি সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে ঢাকাগামী ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৬৩০ জন যাত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৫ টাকা ভাড়া ও জরিমানা আদায় করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ব্লক চেকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে রাজশাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে এই অভিযান চালানো হয়। ব্লক চেকিংয়ের রেলওয়ে স্টেশনগুলো হলো রাজশাহী, ঈশ্বরদী বাইপাস, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম, বড়াল ব্রিজ, উল্লাপাড়া, নাটোর এবং সান্তাহার।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারের নেতৃত্বে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কে এম নুরুল ইসলাম, ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষক আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু, গোলাম মুস্তফা, প্রবীর কুমার, কামরুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হাসানসহ ট্রেনগুলোর পরিচালক (গার্ড) এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসব অভিযানে অংশ নেন।
অসীম কুমার তালুকদার বলেছেন, সরকারি ছুটির দিনে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকে। অনেকে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চড়ে বসেন। আমরা সাধারণত আন্তঃনগর ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের শাস্তি হিসেবে পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু, রেল ভ্রমণ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের হওয়ায় তারা নামতে চান না। অনেকেই ভাড়াসহ জরিমানা দিয়েই গন্তব্য পথে যেতে চান।
তিনি জানান, আন্তঃনগর ছয়টি ট্রেনে মধ্যবর্তী স্টেশনে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে ৬৩০ জন যাত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাড়া ৯৫ হাজার ১৪৫ টাকা এবং জরিমানা ৩১ হাজার ৭১০ টাকা। অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেনে অভিযান অব্যাহত আছে।