স্পোর্টস ডেস্ক :
এই বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো ভারত। ব্যাটিংয়ে খারাপ দিনটা কি ফাইনালের জন্যই জমা ছিল? অস্ট্রেলিয়া যে ভারতীয় ব্যাটারদের সেভাবে দাঁড়াতেই দিলো না আজ।
ম্যাচে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল লড়াকু ফিফটি করলেন। না হয়, আরও বড় বিপদে পড়তে হতো ভারতকে। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেললেও ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস। ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা মানেই ভারতের ঝোড়ো সূচনা। ব্যত্যয় ঘটেনি ফাইনালেও। শুরুতে ওপেনার শুভমান গিলের (৭ বলে ৪) উইকেট হারিয়ে ফেললেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছে ভারত।
রোহিত মারকুটে ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তবে ৩১ বলে ৪৭ করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপরই ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া।
১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল। এরপর টানা ১৬ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশেষে ২৭তম ওভারে এসে সেই বাউন্ডারিখরা কাটান লোকেশ রাহুল।
এর আগে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। পেস বোলিংয়ে কাজ না হওয়ায় তিনি দ্রুতই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। তিনি এসেই সাফল্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ১০ম ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। সাজঘরে ফিরিয়েছেন রোহিত শর্মাকে।
ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি রোহিত। শট খেলতে গেলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় অফসাইডে। ট্রাভিস হেড কভার অঞ্চল থেকে পেছনে গিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি বাউন্ডারি মেরে তিনিও ফিরে গেলেন। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আয়ার। ৮১ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট।
৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল খোলসে ঢুকে পড়েন। দলকে এগিয়ে নিতে দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বল খেলে তারা ধীরগতিতে যোগ করেন ৬৭ রান।
অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে কোহলির দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৫৪ রানের।
রবীন্দ্র জাদেজা সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন লোকেশ রাহুল। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক।
৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ১০৭ বলের ইনিংসে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও (৬) সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।
অনলাইন ডেস্ক :
মানিকগঞ্জে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় ১৫ গুণী শিল্পীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১২ জুলাই শুক্রবার দুপুরের দিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভা শেষে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ২০১৮, ১৯ ও ২০ সালে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলার ১৫ জন গুণী শিল্পীকে এই বিশেষ সম্মাননা, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
গুণী শিল্পীরা হলেন- লোক সংস্কৃতিতে সামগ্রিক অবদানের জন্য মো. আবুল বাশার আব্বাসী (২০১৮), কণ্ঠ সংগীতের জন্য বিউটি আক্তার (২০১৮), যাত্রা শিল্পী গোকুল ঘোষ (২০১৮), চারুকলা পরিমল চন্দ্র অধিকারী (২০১৮), নাট্যকলা হরিপদ সূত্রধর (২০১৮), কণ্ঠ সংগীত রতন কুমার সাহা (২০১৯), সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল ইসলাম শিকদার (২০১৯), চারুকলায় গোপাল চন্দ্র পাল (২০১৯), যাত্রা শিল্পী তাপস সরকার (২০১৯), যন্ত্র সংগীত মো. তসলিম উদ্দীন (২০১৯) সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক বিপ্লবী সংঘ (২০২০), চারুকলা মো. খোরশিদ আলম (২০২০), কণ্ঠ সংগীত রুমানা ইসলাম (২০২০), যন্ত্র সংগীতে গোবিন্দ চন্দ্র রায় (২০২০) ও লোক সাংস্কৃতিক মো. হাকিম উদ্দীন (২০২০)।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পরিচালক অরুনা বিশ্বাসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় এক যুবক নিহতের ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে।
ধানমন্ডি এলাকায় শুভ নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার আদালতে অভিযোগ করেন তার মা রেনু। অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দা।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কামাল আহমেদ মজুমদার, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাদেক খান, ফেরদৌস আহমেদ, গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাবিনা আক্তার তুহিন, নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুলক হক খান দোলন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই ধানমন্ডি থানার ৩ নম্বর রোডে গুলিবিদ্ধ হন শুভ। পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অনলাইন ডেস্ক :
এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। জোড়া গোল করে আলো ছড়িয়েছেন দরিয়েলতন গোমেজ। কিংসের অন্য দুটি গোল রাকিব হোসেন ও রবসন রোবিনহোর।
ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে লিগ শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। পুলিশের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আজ কিংসের কাছেও বড় ব্যবধানে হারল চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের গতিপথ বুঝে ওঠার আগেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে কিংস।
ঘড়ির কাটায় দুই মিনিট পেরোনোর আগেই দরিয়েলতন গোমেজের গোল। মধ্যমাঠের খানিকটা ওপর থেকে টুটুল হোসেন বাদশার ক্রস গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের মাথায়, দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। এবারের মৌসুমে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
দশম মিনিটেই পেয়ে যায় ম্যাচে ফেরার গোল। ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ছয় গজ বক্সে বাদশা ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পান ডেভিড ওজুকু, তাঁর ছোট পাসেই জোরাল শটে বল জালে পাঠান আজিজ আবোলাজি।
সময় বাড়ার সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নেয় কিংস। কেন তারা সেরা, সেটির প্রমাণ রাখে দ্রুতই। ২৮ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মধ্যমাঠ থেকে রবসন রোবিনহোর বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। প্রথমার্ধেই ব্যবধান ৩-০ করে কিংস। নিজের দ্বিতীয় এবং কিংসের তৃতীয় গোলটি করেন দরিয়েলতন। গোললাইনের ওপর থেকে রফিকুলের কাটব্যাক গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের পায়ে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি। আগের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন দরিয়েলতন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের পায়েই বল ছিল বেশিক্ষণ। সুযোগও আসে একাধিক কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিল না। হ্যাটট্রিকের সুযোগও নষ্ট করেন দরিয়েলতন। ৮৫ মিনিটে বক্সে মাসুক মিয়া জনিকে ফেলে দেন রায়হান হাসান। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি, সফল স্পট কিকে জয়ের ব্যবধান আরো বাড়ান রোবিনহো। এক বছরেরও বেশি সময় পর এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন কিংসের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। গত মৌসুমের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। অস্ত্রোপচারের পর পুর্নাবসন প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মাঠে ফিরলেন তিনি।