স্পোর্টস ডেস্ক
প্রতিপক্ষের কান্না দেখার নির্মম সুখ ক্রীড়াঙ্গনে চূড়ান্তভাবে বৈধ। প্রতিপক্ষের উঠানে পা রেখে জিতলে তো কথাই নেই। প্যাট কামিন্স তাই বলেছিলেন, ‘ভরা গ্যালারি স্তব্ধ করার মতো আনন্দ আর নেই।’ আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেটাই করেছে অস্ট্রেলিয়া।
নীল জার্সিতে ছেয়ে যাওয়া গ্যালারিকে ঢেউহীন, গতিহীন, স্তব্ধ নীল জলের ‘প্রশান্ত সাগর’ বানিয়ে ছেড়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় জয়ে লিখেছে আহমেদাবাদ ট্রাজেডি। ষষ্ঠ শিরোপা তথা সম্পন্ন করেছে ‘মিশন হেক্সা’।
সূর্য ডুবতেই শিশিরের প্রভাব বাড়বে। সেটা জেনেই টস জিতে বোলিং নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। গ্রুপ পর্বের মতো ফাইনালেও বল হাতে ভারত শিবিরে ধাক্কা দেন বোলাররা। শুরুতে শুভমন গিলকে (৪) ফেরার মিশেল স্টার্ক। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক রোহিত ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে ফিরতেই ম্যাচের লাগাম হাতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১০.২ ওভারে ৮১ রানে ভারতের ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা।
ওই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। তারা ৬৭ রানের জুটি গড়েন। কোহলি ৬৩ বলে চারটি চারের শটে ৫৪ রান করে প্লেড অন হন। স্তব্ধ হয়ে যায় মোদি স্টেডিয়াম। আর প্রাণ ফেরেনি গ্যালারিতে। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। তারাই ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয়েছে ২৪০ রান করে। কেএল রাহুল উইকেট কামড়ে থাকার চেষ্টা করেও পারেননি। তিনি ১০৭ বলে মাত্র একটি চারের শটে ৬৬ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়াও। সপ্তম ওভারে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। একে একে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার (৭), মিশেল মার্শ (১৫) ও স্টিভ স্মিথ (৪)। তাদের ফিরিয়ে ভারত ‘ঘরের মাঠে নাহি দেব ছাড়’ বার্তা দিলেও ওপেনার ট্রাভিস হেড এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ম্যাচের বাকি অংশের চিত্রনাট্য লেখেন।
ইনজুরিতে গ্রুপ পর্বের অর্ধেক ম্যাচ মিস করা এই ব্যাটার খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫টি চার ও চারটি ছক্কার শট। দুর্দান্ত ইনিংসে হেড ম্যাচ সেরা হয়েছেন। মনে করিয়েছেন ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সেই ইনিংসকে।
তবে কৃতিত্ব দিতে হবে মার্নাস লাবুশানকে। তিনি শুরুতে উইকেট হারানোর পুরনো চাপটা কাঁধে তুলে নেন। হেডকে শট খেলার সাহস দিয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে খেলেন ১১০ বলে চারটি চারের শটে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস। এর আগে ভারতকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার। স্টার্ক নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও হ্যাজলউড।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বহুবার ২২ গজে একসঙ্গে দৌড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি। দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব সামলালেন তারা।
আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকেও রেখেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ হৃদয় ও শামীম ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। চাপ থেকে কামব্যাক দেখান তারা। জয়ের প্রান্তে গিয়ে হারায় তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্রেশ উইকেটে নতুন বলে সুবিধাও তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্যের পর অষ্টম ওভারে আফগানদের ৫২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিনি ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। নাজিব খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। পেসার ওমরজাই ১৮ বলে চারটি ছক্কার শটে ৩৩ রান করেন। আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দলও। ৩৯ রানে তৃতীয় ও ৬৪ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর হৃদয় ও শামীম দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন।
দলের রান ১৩৭ হলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ২৫ বলে তিনটি চারের শটে ৩৩ রান করেন। হৃদয় ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দলের রান ১৫৩ হতে একে একে ফিরে যান মেহেদি মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (০) ও নাসুম আহমেদ। এক বল থাকতে চার মেরে জেতান শরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেম ও সম্পর্কে বয়স যে কোনো বাধা নয়, এরই প্রমাণ অনেক তারকা দিয়েছেন। এবার প্রেমিকাকে নিয়ে রেড কার্পেটে হেঁটে ভক্ত-অনুরাগীদের চমকে দিলেন অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেতা শন পেন। তিন বার বৈবাহিক সম্পর্কে থেকেছেন শন। কিন্তু কোনোটিই স্থায়ী হয়নি। এবার নিজের অর্ধেক বয়সি বান্ধবীর সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে।
শন যে সম্পর্কে রয়েছেন, তা নিয়ে গুজব ছিলই। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্র উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা। সেখানেই বান্ধবীকে নিয়ে রেড কার্পেটে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। চমকের এখানেই শেষ নয়; এ অভিনেতার বয়স এখন ৬৪ বছর। কিন্তু তার বান্ধবী, পেশায় মডেল ভালেরিয়া নিকোভের বয়স ৩০ বছর। অসম বয়সের এই সম্পর্ক নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদে পাপারাজ্জিরা প্রথম অভিনেতা শন ও মডেল ভালেরিয়াকে ক্যামেরাবন্দি করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে শন কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে রেড কার্পেটে যুগলের একত্র উপস্থিতিতে ভক্ত-অনুরাগীরা সম্পর্কে সিলমোহর বলেই ধরে নিয়েছেন।
‘মিস্টিক রিভার’ ও ‘মিল্ক’ ছবির জন্য অস্কার জেতেন অভিনেতা শন। এর আগে তিনি তিন বার বিয়ে করেছেন। ১৯৮৫ সালে পপ তারকা ম্যাডোনাকে বিয়ে করেন তিনি। তবে চার বছর পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর অভিনেত্রী রবিন রাইট ও লাইলা জর্জকে বিয়ে করলেও, সম্পর্ক টেকেনি। এবার শনের সাথে ভালেরিয়ার সম্পর্ক আগামী দিনে কোন দিকে বাঁক নেয়, সেটিই দেখার বিষয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রযোজক ও ব্যবসায়ীদের নানাভাবে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উঠতি মডেল, অভিনেত্রী তাসনিয়া রহমানের নামে। কয়েকজন ভুক্তভোগী তার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক নেতা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা সাধারণ ডায়েরির একটি অংশে ঐ প্রযোজক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, তার সাবেক স্ত্রী অভিনয় করতে ইচ্ছুক তাসনিয়া নামের একটি মেয়েকে সিনেমার নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন মহলে নিয়ে যান। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ তথ্য আসার পর শোবিজ অঙ্গন বিশেষ করে এফডিসিতে কানাঘুষা শুরু হয় কে এই তাসনিয়া?
তিনি আরো জানান, তার সঙ্গে তাসনিয়া রহমানের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। সে কৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও তুলে রাখে। পরে তাকে সেগুলো দেখিয়ে একের পর টাকা আদায় করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে তিনি বেশ কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপরও তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তিনি।
আরেকটি মাধ্যম জানাচ্ছে, এফবিসিসিআই-এর এক সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন এ মডেল-অভিনেত্রী। তবে আদালতে দাখিল করা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী নির্দোষ প্রমাণিত হন। মামলায় জিততে না পেরে তাসনিয়া তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই নিজের সঙ্গে তার ছবি ফেসবুকের কাভারে ব্যবহার করছেন বলে ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে। ওই ব্যবসায়ী এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নেবেন বলেও জানা গেছে।
আরো একটি অভিযোগ উঠেছে তাসনিয়ার বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে তাসনিয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন এক আইটি ব্যবসায়ী। কিছুদিন ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একই বাসায় থেকে ছিলেন তাসনিয়া। পরে বিবাহিত ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী গণমাধ্যমে নানা তথ্য প্রমাণ পাঠিয়ে জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তাসনিয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে পারিবারিক চাপে তাকে ছাড়তে রাজি হন ওই ব্যবসায়ী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসনিয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাচ্ছে। অন্যথায় মিডিয়ার কাছে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছেন।
আরেকজন উপস্থাপিকা তার স্বামীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাসনিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে বেশ কিছু কল রেকর্ড, কথোপকথনের স্ক্রিনশট গণমাধ্যমে এসেছে।
বিষয়গুলো নিয়ে তাসনিয়া রহমান বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যে। কেউ যদি প্রমাণ দেখাতে পারে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাহলে অভিযোগগুলো মাথা পেতে নেব। কারণ কেউ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারব না যে কারো এক টাকা মেরে দিছি। আমি মুদি দোকানেও বাকি রাখি না, কারণ আল্লাহ না করুক যে কোনও সময় আমি মারা যেতে পারি। এভাবে যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে আমি শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলবো।
প্রসঙ্গত, অভিনয়ের নতুন মুখ তাসনিয়া রহমান। কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করা হয়েছে তার। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপাতত নাটক থেকে বিদায় নেয়ার কথা জানিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী ফারিয়া জানান, তাকে আর নাটকে দেখা যাবে না। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত থাকায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিনেত্রী শাহরিন ফেসবুকে লেখেন, ‘যারা মাঝখানে আমাকে ফোন করেছিলেন, মেসেজ করেছিলেন কাজের জন্য, সরি আমি কারও ফোন ধরতে পারিনি, মেসেজের রিপ্লাইও দিতে পারিনি। কারণ, ওই ফোনটাই আমি অনেক দিন ইউজ করিনি। সো সবার রিপ্লাই একসাথে দিচ্ছি, আপাতত নাটকে কাজ করছি না। কবে করব এটাও জানি না কিন্তু ভালো টিভিসি হলে করব। ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে বিনোদন জগতে অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন পা রাখেন। এরপর বিজ্ঞাপনে মডেল ও নাটকে অভিনয়ে নিজের জায়গা গড়ে তোলেন। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি নাটকে তার কাজ দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গেল বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৮২ জন বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমী তাদের প্রিয় দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে। এই ছবিগুলো নিয়েই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে জার্সি পরিহিতদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। আর এতেই হয়ে যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও প্রথম আলো ডটকম।
ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা আর উন্মাদনা আরো একবার বিশ্বদরবারে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেকর্ড গড়ার জন্য দেশজুড়ে থাকা ফুটবল অনুরাগীরা ফিফা এবং প্রিয় দলের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে ছবি তুলে ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে আপলোড দেন। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা পর্যন্ত। গিনেস কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুসরণ করে এ রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশের অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। নানা যাচাই-বাছাইয়ের পর সম্প্রতি গিনেস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের, যেখানে ৫ হাজার ২৯৭ ব্যক্তি দেশটির ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল) এর বিভিন্ন দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন। যা দিয়ে তৈরি হয় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। এই লিংকে দেখা যাবে বাংলাদেশের করা রেকর্ডটি।