চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর বড় বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ইয়াকুব আলী (৪৮)। তিনি শ্রীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ভূইয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর। সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া তার ছেলে সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া, জাহিদ হাসান ভুঁইয়া ও স্ত্রী জোসনা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা করে ইয়াকুবের ওপর। এক পর্যায়ে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া (৪৮) মারা যান।
ওসি মো. রাজু আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট:
বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তৌফিক (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল বুধবার দুপুরের দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক (২৬) উপজেলার আদমপুর গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পত্তন ইউপির আদমপুর বাজারের পাশে সিএনজি অটোরিক্সা ও পিকআপভ্যান রেখে দুই ড্রাইভার দোকানে নাস্তা করতে যায়। এ সময় তৌফিক অটোরিক্সা ও পিকআপের ড্রাইভারকে গাড়ি সরাতে বলে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তৌফিকের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপ চালক ও অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর চালায়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. এর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলত বাড়ি দরবার শরিফের পীর সৈয়দ নাঈম হুজুর ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌঁছলে তাবলীগ জামায়াত নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থনে ওই গ্রামের লোকজন তাতে বাঁধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধোর করে। এরই জের ধরে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা চালায়।
এসময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরাগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে অংশ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের সহশ্রাধিক লোকজন রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৫ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাছুম মিয়া জানান, হাসপাতালে ৩০ জনের উপরে চিকিৎসা নিয়েছেন। গেরাগাঁও গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, জশনে জুলুসের র্যালী নিয়ে ঈদে মিলাদুন নবী সা. এর দিনের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহষ্পতিবার ফের সংঘর্ষ হয়। সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় আমার ঘরসহ অনেকের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। বিজয়নগর থানার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধ কল্পে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ২৫০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার দিনব্যাপী উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের শিবির, লক্ষীপুর, লক্ষীমুড়া, মনিপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১২টি এক্কাইট্টা, ৪০টি বল্লম, ৮টি টেটা ও ১৯০টি বাঁশের লাঠি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, অনেক সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট-খাটো ঝগড়া-ফ্যাসাদ হয়। অনেক সময় তা আবার বড় আকারও ধারন করে।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে আমার দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধকল্পে বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ২৫০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিজয়নগরে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার চান্দুরা ইউনিয়নের দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আবদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যেমন জুলুম নির্যাতন করে জনগণ বিহীন পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বার বার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকেছে। এক সময় ছাত্র জনতার গণ-অভ্যূত্থানে তাদের দেশ ছাড়া করেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণকে গুরুত্ব না দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে, জনগণ বিহীন ভোট, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের জেল জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে নিজেদের স্বৈরাচারী রূপে অবতীর্ণ করেছে। যার জন্য তারা জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনের সফলতা আসলেও দীর্ঘ ১৬ বছর বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সেই সফলতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তাই সেই সফলতা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে আগামীর সরকার বিএনপি গঠন করবে বলে তিনি আশীবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, মাইনুল হোসেন চপল, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জমির উদ্দীন দস্তগীর, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনির হোসেন, নিয়ামুল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, জেলা শ্রমিক দলের নেতা আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম চৌধুরী, রাশেদ কবির আখন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর, আশিকুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, দুলাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ফোজায়েল চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম দিদার, সাঈদ হাসান সানী প্রমুখ।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নুরুল হক নিয়াজ, মো. মিলন মৃধা জেলা সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম সোহানসহ জেলা, উপজেলা ও চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।