চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে ঝুমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
২০ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঝুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবু লাল মিয়ার মেয়ে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ বছর আগে ঝুমা আক্তারকে নবীনগরের শিবপুর গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী ইয়াকুব মিয়া কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় তারা থাকেন। তাদের সংসারে জাকারিয়া নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একাধিকবার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ আফরোজার হাতে মার খেতে হয়েছে। দু’দিন আগেও ঝুমাকে মারধর করেছে তারা৷ এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে সোমবার রাতে জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।
ঝুমার বাবা আবু লাল মিয়ার অভিযোগ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ ঝুমাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে দুপুরে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে অবৈধ অস্ত্র, মাদক পাচারকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৯ অক্টোবর বুধবার গভীর রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে মোঃ আলী আকবর (৫৫) এবং মোঃ মতি মিয়া (৪৫) নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সম্মিলিত যৌথ বাহিনী।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি রামদা, ২টি চাকু, ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। পরে তাদেরকে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর নবীনগর ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরী জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোসলেম সরকার (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোসলেম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ধনাশী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নাফ সরকার এর ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ধনাশী এলাকায় নবীনগর টু রাধিকা সড়ক পারাপার হওয়ার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি সিএনজি মোসলেম সরকারকে ধাক্কা দিলে সে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নবীনগর থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে সংঘর্ষে নবম শ্রেণির ছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ০১ মার্চ বুধবার বিকালে শ্রীতারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে রাত্রি চৌধুরী (১৫) নামে একজনের পরিচয় জানা গেছে। সে নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের প্রহল্লাহের মেয়ে। সে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃত্যুর সংবাদে নিহত ছাত্রীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীরা ভিড় করছেন।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শ্রীতারামপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মাঝে তিতাস নদীতে নির্মিত ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি তলিয়ে যায়। এতে দুইজন মারা যায়।
নিহত রাত্রির মা সন্ধ্যা রানী বলেন, রাত্রি স্কুল ছুটি নিয়ে দাদার বাড়ি বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। নৌকায় ২০-২৫ জন লোক ছিল।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজন মারা গেছে। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।