অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও প্রায় চার হাজার।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ১২৮ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানায়, “নিহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০ জনেরও বেশি শিশু এবং ৩ হাজার ৯২০ জন নারী রয়েছে।“
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজারও ভবন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা চার দিনের বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আজই ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৩৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করে ইতালির দক্ষিণের বন্দর ব্রিন্ডিসিতে নিয়ে এসেছে মানবিক সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স (এমএফএস) পরিচালিত জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। অভিবাসীরা সিরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, সোমালিয়া ও শ্রীলংকার নাগরিক বলে জানিয়েছেন এমএফএস। শুক্রবার সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ভূমধ্যসাগরে ১১ ঘণ্টার অভিযান শেষে মোট ৪৪০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে জাহাজটি। এই অভিবাসীরা ছোট ছোট নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালি পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে নেয়। বাকিদের ব্রিন্ডিসিতে পৌঁছে দেয় জিও ব্যারেন্টস।
অভিবাসীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বেনগাজি থেকে কাঠের নৌকায় করে তারা পহেলা এপ্রিল রওনা করেন। উদ্ধারের আগে চারদিন তারা সমুদ্রে ভেসেছেন। এর মধ্যে শেষ দু’দিন তাদের কাছে খাবার ছিল না।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, উপকূলে পৌঁছানোর আগে এক ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে মাল্টায় নেয়া হয়। তিনি পানিশূন্যতা জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও পুড়ে যাওয়া এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় প্রতিবছর বিপুল অভিবাসী বিপজ্জনক উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে চলতি বছর এই সংখ্যা ১৮ হাজারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চারগুণ বেশি। ইটালিতে আসা এই অভিবাসীরা মূলত লিবিয়া ও টিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ছোট নৌকায় রওনা দেন, যা উত্তাল সমুদ্রে যাতায়াতের উপযুক্ত নয়। যে কারণে প্রায়ই নৌকা ডুবে প্রাণহানি বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। সূত্র : ডয়চে ভেল
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ মো. সাকিব (১৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় ভারতের এক নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা এলাকায়। নিহত মো. সাকিব (১৮) বায়েক ইউনিয়নের মাদলার নন্দননগর পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. মোতালেবের ছেলে। আহত ভারতীয় নাগরিক ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মঙ্গল বর্মণের ছেলে সুজন বর্মণ (৩৫)। তাকে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিহত সাবিকের লাশ গ্রামের বাড়ি মাদলায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
এর আগে গতকাল ৪ মে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত হন সাকিব ও সুজন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে ভারতীয় যুবক সুজনের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল আনার জন্য মাদলা সীমান্তে যায় সাকিব। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সুজন ও সাকিব।
পরে সাকিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কসবায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আর ভারতীয় এক নাগরিক আহত আছেন। গুলিবিদ্ধ সাকিবকে উদ্ধার করে তাঁর স্বজনেরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি পথে মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চল নাইজার রাজ্যে জ্বালানি বহনকারী ট্যাংকারের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষ ৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ট্রাকে করে গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার সময় ট্যাংকারের সাথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি
দুর্ঘটনায় মরদেহগুলো পুড়ে যাওয়ায় নিহতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে গণকবরে তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।
নাইজার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক আবদুল্লাহি বাবা-আরব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে- দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকে যাত্রী ও পশু ছিল। এতে অন্তত ৫০টি গবাদিপশু মারা গেছে।
এ ঘটনায় নাইজারের গভর্ণর মোহাম্মদ উমায়ু বাগো চালকদের সতর্ক হয়ে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার-টেকনাফের বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে একের পর এক অর্ধগলিত মৃতদেহ ভেসে আসছে।
আজ ১৬ জুন শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টির ইউপিরস্থ দক্ষিণ পাড়া এলাকায় জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো অর্ধগলিত আরেকটি মরদেহ। বিষয়টি ‘যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গেল তিন দিনে টেকনাফ সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন ও উখিয়া ইনানী সমুদ্রসৈকতের পাটোয়ারটেক পয়েন্টসহ মোট ৪ জনের অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সমুদ্র সৈকত ও সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ থেকে আরও দু’নারীর মৃতদের উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, আজ সকালে সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে আরেকটি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ১৪ জুন বুধবার সকালে সাবরাং ইউপির মুন্ডার ডেইল এলাকার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত ও ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার পাশ্ববর্তী নাফ নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়- গেল কয়েকদিন আগে গভীর রাতে অতি বৃষ্টি ভারী বাতাসের ফলে বঙ্গোবসাগর উত্তাল থাকায় অবৈধভাবে সাগরপথে ট্রলার নিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে যায়। ওই ঘটনায় নিহত হয়ে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় ভাসছে মৃতদেহ।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি- দ্রুত দেশ ও জাতির সূত্র অবৈধ মানবপাচারকারী ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, দিনের পর দিন এভাবে বঙ্গোপসাগরের লাশের মিছিল চলবে। তাই দালাল সিন্ডিকেটদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন লোকজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মাছ ও অন্যান্য পণ্যবাহী ২৪ টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে প্রবেশ করেছে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারও ছিল স্বাভাবিক।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেলা ২টা পর্যন্ত আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ৬৯ জন পর্যটক ভারতে গেছে। এরমধ্যে ৪৭ জন ভারতীয় এবং বাংলাদেশী নাগরিক ২২ জন। একই সময় আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫১ জন। অপরদিকে ১৩টি ট্রাকে করে ১২০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এছাড়াও তোশক, মশারি, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্যের ১১টি ট্রাক ভারতে গেছে।
সরজমিনে দুপুরে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা যায়, ২-৪ জন যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করছেন। ইমিগ্রেশন অফিস অনেকটা ফাঁকা। দুইজন বাংলাদেশী নাগরিক ভারত থেকে ফিরেছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশী নাগরিক সঞ্জয় সাহা বলেন, আমি ২২ নভেম্বর ত্রিপুরায় গিয়েছিলাম। আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। আমার কোন সমস্যা হয়নি। আজ ফেরার সময় কোন অসুবিধা হয়নি। সড়কে কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলনা।
আখাউড়া আর্ন্তজাতিক ইমিগ্রেশন চোকপোস্টের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানান, সকাল থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম রয়েছে। তবে বাংলাদেশী যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, মাছ ও অন্যান্য পণ্য বোঝাই ২৪টি ট্রাক ভারতে গেছে। ভারত থেকে কোন পণ্য আমদানী হয়নি। বন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।