চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারে বেপরোয়া সেলফি পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় আফসানা আক্তার (২২) নামের এক নারী পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আফসানা বরিশালের আব্দুল করিমের মেয়ে। তিনি মিরপুর-১৪ নম্বরের ১১ ব্যাটলিয়ানের এপিবিএনর কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, আফসানা আক্তার তার স্বামীর মোটরসাইকেলে করে আরিচার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হেমায়েতপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে বেপরোয়া সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইজনেই সড়কে ছিটকে পড়েন ও ঘটনাস্থলেই আফসানা নিহত হন। আহতাবস্থায় নিহতের স্বামীকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল আক্তার বলেন, নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। তিনি এপিবিএন সদস্য। এ ঘটনায় সেলফি পরিবহনের বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মুদি দোকানীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় মুদি দোকানী বিলাস কুমার ঘোষের ৪ হাজার টাকা, সুজিত কুমার মন্ডলের ৪ হাজার টাকা ও রঞ্জন চন্দ্রের ২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই জয় দাস তার সঙ্গে ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল চারটার দিকে সময় গুইমারা উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নজমহন ত্রিপুরার মেয়ে অপুবিশ্বা ত্রিপুরা (০৭) এবং ছেলে চনেরন্ত্র ত্রিপুরা (০৫)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অংক্যজাই মারমা জানান, ঝিরির পানিতে গোসল করতে এসে দুই ভাই বোন খেলা করছিলো। খেলা করতে করতে একটু বেশি পানিতে গেলে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি তারা।তাদের পিতা-মাতা জুমে কাজ শেষে বাড়িতে এসে ছেলে, মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে। পরে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার সময় মাটিরাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে গুইমারা থানার পুলিশ মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। পুটয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম এই যুগলের বিয়ে পড়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন নিকি। এরপর আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওনা হন।
দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।
পরে গত সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ওই তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন নিকি।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মা মোসাম্মাদ বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। আর এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। কাল্পনিক নামে খাদ্যদ্রব্য বিপণনও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আজ ৫ জুলাই বুধবার এসব বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল, ২০২৩’ উত্থাপণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। ১৯৫৬ সালের ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট এবং ১৯৭৯ সালের ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স বাতিল করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, এই বিলের মাধ্যমে চালের পোলিশিং বন্ধ করতে পারলে চার লাখ মেট্রিক টন চালের অপচয় রোধ করা যাবে। তিনি বলেন, বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হলেও এই জাতের কোনো ধান বা চালের অস্তিত্ব নেই।
গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০ টাকা হওয়ার পর ভারত থেকে তড়িঘড়ি করে তা আমদানি করা হয়েছে। তাহলে আমরা কিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম। এই থেকেই বোঝা যায়, দেশে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। যদিও বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন মন্ত্রী। কারণ, তিনি নিজেই একজন বড় মাপের গুদাম ব্যবসায়ী। মোকাব্বির খান বলেন, খাদ্যে উদ্বৃত্ত নিয়ে আমরা গর্ববোধ করলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারিনি। ফলে যে কারণে দেশের প্রায় সকল মানুষ কোনো না কোনো ব্যধিতে আক্রান্ত। এজন্য তিনি রাষ্ট্রের নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বিলের সাজাসংক্রান্ত ধারার সমালোচনা করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই ধরণের আইন কোথাও শোনা যায়নি। অপরাধ না করলেও তাকে সাজা ভোগ করতে হবে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এটা একটা ভয়াবহ আইন। এই আইনের আওতায় যে কাউকে যে কোনো সময়ে ধরা যাবে। ঘুষের একটা মহোৎসব শুরু হবে দেশে। যে কাউকে ধরে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়ে দেওয়া যাবে। এই আইনের ফলে দেশের কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। কৃষকরা ভাল দাম পাওয়ার আশায় অনেক সময় মজুত করেন। তারাও এই আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি আইনের সাজা কমানোর জন্য মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
এসব সমালোচনার জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব। কৃষকদের নানা প্রণোদনা এই সরকার দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকৃত মজুতদারদের চিহ্নিত করা সহজ বিষয়। কৃষকদের ওপরে এই আইন প্রয়োগের কোনো আশঙ্কা নেই। এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তাতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও সরকার সেই পথে হাটেনি। বোরো মওসুমের ভালো ফলনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী এবার চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, একজন সদস্য আমাকে গুদাম ব্যবসায়ী বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে তার কোনো গুদাম নেই-এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি আমার গুদাম থাকার প্রমাণ করতে পারেন, তাকে ওই গুদাম নিবন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিলে খাদ্যদ্রব্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, চাল, ধান, গম, আটা, ভুট্টাসহ যেকোনো প্রকার দানাদার খাদ্যদ্রব্য। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুতসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। তবে এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য।
বিলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনসংক্রান্ত কিছু অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই রূপ জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করলে তা হবে অপরাধ। খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অপসারণ বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করলে সেটিও অপরাধ হবে। এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশ্রণ করে উৎপাদন ও বিপণন করলে সেটিও হবে অপরাধ। লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা চললেও তা অপরাধ হবে। আর এসব অপরাধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন–সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে তা হবে একটি অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালত থাকবে। এই আদালত ‘খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত’ নামে অভিহিত হবেন। এই আইনের অধীন কিছু অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতেও করা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি।
আজ ২৯ জুলাই শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম মেধাবী এবং তাদের নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষমতা রয়েছে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিকস, বিগ ডাটা, মেডিকেল স্ক্রাইব, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
সরকারপ্রধান জানান, তার সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন (কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয়) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরি করতে সহায়তা করা। যেখানে প্রতিটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। আমরা আপনার বিনিয়োগ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করেছি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ’ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড’-এর পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক তিনটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া আটটি স্টার্টআপকে তাদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য আটটি বিভিন্ন বিভাগে স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো হল শপআপ, পাঠাও, বিকাশ, ১০ মিনিট স্কুল, ইউএনডিপি ইয়ুথকো ল্যাব, নগদ, এসবিকে টেক ভেঞ্চার এবং পরবর্তী অর্থায়ন।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া দুই উদ্যোক্তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন অনুদান থেকেও অনুদান দেওয়া হয়।