চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নপত্র কিনলেন যারা তারা হলেন : সদ্য উপ-নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈন উদিন মইন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সফি উল্লাহ মিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী, এড. সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউছার, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি এড. আশরাফ উদ্দিন মনতু, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এমডি জালাল মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাড. কামরুজ্জান আনসারী, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান, জাপান যুবলীগ নেতা আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) প্রমুখ।
স্ব-স্ব আস্থাভাজন ও অনুসারী দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তবে মনোনয়নপত্র কেনার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে ধারণা করা হচ্ছে। এ আসনে দলীয়, জোট, মহাজোট ও স্বতন্ত্র হিসেবে যারা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বা করবেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিকে এই আসনে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক সভা আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা, যাতায়ত ভাতা দশগুণ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক পদে পদায়ন, এইচ, আই, ও এ এইচ আইদের সুপারভিশনের জন্য মটরসাইকেল প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশনসহ সরকারি কর্মচারিদের সকল দাবি বাস্তবায়ন।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতির জেলা কমিটির আহ্বায়ক এম. আবদুল বাছেদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমিতির নেতা মো. মনির হোসেন, মো. হুমায়ন কবির, মো. আজম খান, সেলিনা আক্তার, খন্দকার মো. হানিফ, মোছা. সালমা বেগম প্রমুখ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে দুই পুত্রবধূর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছেন সাহারা বেগম (৫৫) নামে এক নারী। সাহারা বেগম আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার ফজলুল হকের স্ত্রী।
পরিবারের বরাত দিয়ে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাহিদ আহমদ জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পুত্রবধূর সঙ্গে সাহারা বেগমের কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে দুই পুত্রবধূর সঙ্গে সাহারার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন সালিশ সভা বসাতে বলেন পুত্রবধূরা। সেই সালিশে নিজে ‘অপমানিত’ হওয়ার ভয়ে সাহারা ‘কেরির বড়ি’ খেয়ে ফেলে। রাতেই তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে সাহারার পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে আশুগঞ্জ থানায় আসেন।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুপুরে এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি প্রাইভেটকারও আটক করা হয়।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাবনা জেলার চাটমহর উপজেলার চাটমহর গ্রামের খন্দকার ইসতিয়ার আহমেদ রিয়াদ (২৫), শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মোঃ তাফসির (২৪) ও একই এলাকার মোঃ তামিম (২২)।
বিকেলে জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটের মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান।
মাইনুল হাসান গত বৃহস্পতিবার সরাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সহস্রাধিক অনুসারী-সমর্থক মোটর শোভাযাত্রাসহ উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া। আবুল হাসানাতের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা সদরের দুই বাসিন্দা; যারা আবুল হাসানাতে প্রার্থিতার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হয়েছেন। ধানের শীষের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই পুত্র বর্তমানে নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শাহজাহান আলম। এখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মোট ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আমিনপুরের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার লালবাগে। তিনি আগে ভোটার ছিলেন আমিনপুরের। তবে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ার বাসিন্দা হয়েছেন। তবে এখানে তাঁকে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
সদ্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দলত্যাগের আগপর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। ছয়বারের মধ্যে চারবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। পরে সাত্তার টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ৪৩ হাজার ২৬১ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি একাধিকবার এ আসন থেকে বটগাছ এবং ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাপার জিয়াউল হক মৃধার লাঙ্গল প্রতীকের কাছে ৪৯ হাজার ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ৫ নভেম্বর আবারও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে ২৪ হাজার ৪৬৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপজেলায় ইসলামী ঐক্যজোটের অবস্থান এখন খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এলাকার কওমি মাদ্রাসাপন্থী লোকজন একসময় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর অনুসারী ছিলেন। তাঁরাও এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। বড় অংশটি বর্তমান নির্বাচন বিরোধী। এ কারণে এখানে ভোটার টানতে হাসানাত আমিনীকে বেগ পেতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের সরাইল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাকিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে এখানে আমাদের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা আমাদের তুলে নেবেন (জয়ী করবে) বলেছেন।’ তিনি বলেন, সরাইল উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসা আছে। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ মাদ্রাসার লোকজন তাঁদের পক্ষে আছেন।
তবে ইসলামী ঐক্যজোটের পুরোনো কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে কওমি মাদ্রাসাপন্থীদের ৯০ শতাংশ এ নির্বাচনের বিরোধী। তাই এ নির্বাচনে ইসলামী কোনো দলই ভোট টানতে পারবে না।
বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন একসময় ধানের শীষের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যার কারণে ছয়বার সংসদ সদস্য হন বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তাঁর দল ত্যাগের পর ধানের শীষের সমর্থকেরা সাত্তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নে এখনো সাত্তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা এখন মাইনুলের অনুসারী। এ কারণে এ দুটি ইউনিয়নে শক্ত ঘাঁটি হতে পারে মাইনুল হাসানের। আবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের সাবেক দু-একজন নেতা-কর্মীকে মাইনুলের পক্ষে দেখা যায়।
মাইনুল হাসান বলেন, ‘আমি তৃণমূল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য। আমাদের দলের জেলা বা উপজেলা কমিটি নেই। তবে আমার আব্বু এখানে ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া আমার এলাকার দু-তিনটি ইউনিয়ন আছে, যেখানে আমি একচেটিয়া ভোট পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। বিএনপির প্রকৃত কর্মীরা বলছেন, তাঁরা উকিল সাত্তারের পরিবারে পাশে থাকবেন। তিনি আশা করছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। এমনকি আমাদের কোনো ভোটারও ভোট দিতে যাবে না। যাঁরা এখন তৃণমূলে যাচ্ছেন, তাঁরা বহিষ্কৃত।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান মাদক আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৬জন মাদক পাচারকারী ও বিদেশী অস্ত্রসহ ১জনকে আটক করা হয়।
৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা চলে।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে গাজাঁ ও ফেনসিডিল। এরমধ্যে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশী পিস্তল আটক করে শিক্ষার্থীরা। আটককৃতরা হলেন রাজধানী ঢাকার শনি আখড়ার আকবর আলীর ছেলে মালেক, নারায়নগঞ্জের রফিক উদ্দিনের ছেলে পলাশ, নেত্রকোনার শামছু মিয়া ছেলে জুয়েল, গোপালগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া, নরসিংদীর শাহানাজ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া, সিলেটের মদিনা মার্কেটের মতিলাল তালুকদারের ছেলে সৈকত তালুকদার। পরে আটককৃতদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সুফিয়ান আজাদ জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই মাদক পাচার রোধে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নেত্রকোনা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।