চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবনতি হয়।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভা আওয়ামী লীগের ১২ শতাধিক নিবন্ধিত নারী-পুরুষ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবারও এ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও ছয়জন। এরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী শাহ আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা লুৎফুর রহমান।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আঞ্চলিক সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্বয়কারী সুজন দত্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট। ৭ জানুয়ারি রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ আসনে আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ দুই হাজার ৫৮৭ জন। আসনটির ৪৪ ভোট কেন্দ্রের ২৬৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পুলিশের অভিযানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার বাগমারা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে শহিদ (৫৭), চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইজের বাড়ি এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২০), একই জেলার কচুয়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাদরাসা এলাকার আলী এক্কাবর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মাঠখোলা বাজার এলাকার রফিক হাসান ওরফে রবির ছেলে মো. জনি মিয়া (২১)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. ফারুক ইসলাম (ঘোড়া) ৮ হাজার ৮ শত ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাক আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শত ১০ ভোট।
আজ ২৬ মে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন। মোট ১১টি ভোটকেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩০ এবং বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২২৬। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক মুদ্রণ হওয়ায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।