চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ছামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ছামিয়া আক্তার উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ছামিয়ার প্রেম ছিল। তারপর তারা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর জানতে পারে ছামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি। পরে ছামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে আসে। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে ছামিয়া সবার অগোচরে সকালে শোয়ার ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম জানান, সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবরের দেয়া আগুনে গৃহবধূ লতিফা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত দেবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি শোভা পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেলি আক্তার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড সাজিদুর রহমান, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ-উর-রহমান, নোঙ্গর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতির ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবর জালাল তার ভাবী লতিফা বেগমকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বক্তারা অবিলম্বে লতিফা বেগমকে হত্যাকারী জাললকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লতিফা বেগম। তিনি দাররা গ্রামের প্রবাস ফেরত মোঃ জাকারিয়া আল-আমিনের স্ত্রী।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে ২২ জানুয়ারি রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিকের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের উরখুলিয়ার ধুপাকান্দা খাল সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান।এ সময় ধুপাকান্দা খালের পাড় ও খাল সংলগ্ন ফসলি জমি কেটে কয়েকটি ট্রলার দিয়ে মাটি আনতে দেখা যায়। বারবার খালটিতে ট্রলার আসা যাওয়ার ফলে সৃষ্ট ঢেউ ও পাড় থেকে মাটি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ট্রলার গুলোকে আটক করা হয় এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী মালিক পক্ষকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে আর এ কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়। পরিবেশ ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল ২৮ জুলাই রোববার সকালে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার বসতঘর থেকে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত বেগম (২৫), কন্যা ফাহিমা আক্তার (৪) ও সাদিয়া আক্তার(২)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শোকের ছায়া নেমেছে পুরো নবীনগরে। সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র এই একটি পরিবার কীভাবে শেষ হয়ে গেলো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ। তবে পরিবার ও প্রতিবেশীরা সেটি মানতে নারাজ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে ও নবীনগর নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে বিজয় পাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে স্ত্রী জান্নাতকে নিয়ে নবীনগরের বাইরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাসায় ফেরেন। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সোহাগ মিয়া। রোববার সকালে তারা ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাদের সবার মরদেহ দেখতে পান। এরমধ্যে সোহাগ ও এক কন্যার মরদেহ ঘরের তীরের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাত ও অপর কন্যার মরদেহ খাটে পড়ে ছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে বা আর্থিক লেনদেনের কারণে সোহাগ মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা শেষে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা জানিয়েছেন সোহাগ অত্যন্ত বিশ্বস্ত একটি ছেলে ছিলেন। তিনি একটি মসজিদের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। তার কাছে টাকা-পয়সা জমা থাকতো। এছাড়াও একটি সমিতির মতো করে আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব ছিল তার কাছে। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের সঙ্গেই লেনদেন ছিল তার। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে তিনি লেনদেন নিয়ে ইদানিং চাপে ছিলেন। কিন্তু এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পারিবারিক অশান্তির কারণেও আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বলা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচিন চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআইয়ের একটি টিম। যেহেতু মরদেহ যে ঘরে ছিল তা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল, তাই কেউ হত্যা করে ভিন্ন উপায়ে দরজা-জানালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিনা এসব খতিয়ে দেখছেন তারা। কিন্তু তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা যায় সোহাগ তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, সোহাগের বড় কোনো লেনদেন ছিল না, যার কারণে সে আত্মহত্যা করবে। সোহাগের স্ত্রী জান্নাতের বড় বোন তাসলিমা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। সোহাগ অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। আমার বোনের সঙ্গে কোনোদিন দেখিনি ঝগড়া বা বকাবকি করতে। তার ব্যবসায়িক কারণে লেনদেন করায় অল্প ঋণ ছিল। তা একেবারে কম। এছাড়া তার সৎ মা এক লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু এই কারণে আত্মহত্যা করবে বলে বিশ্বাস করা যায় না। সোহাগের বোন ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমার ভাই ব্যবসা করলে ঋণতো থাকতেই পারে। তার ঋণ ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকার জন্য এ ধরনের কাজ করতে পারে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকালে লাউর ফতেহপুর ঈদগাহ মাঠে হাজার হাজার কৃষক ও দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম.মামুনুর অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মো. সাইফুল হক, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মমিনুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হোসেন আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ কাহার সরকার, ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বানু মিয়াসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নবীনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কেন্দ্রীয় কৃষক নেতা কেএম মামুনুর রশীদকে সুন্দর উদ্যোগ সফল করতে অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় বিভিন্ন কৃষক বিগত সরকারের আমলে কৃষি পণ্য বিপণন ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রছুল্লাবাদ বাজারে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমাবেশে নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী জহিরুল হক জরু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল।
ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী হেলাল, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল হক বেদন, সহ-সভাপতি ও রছুল্লাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি দুলু মিয়া ব্যাপারী, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন নান্টুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।