সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ১০টায় সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির ৭৩ শুভ জন্মিদন উপলক্ষে গবীর ও অসহায় ২০০শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ, কেক ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলালউদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলালউদ্দিন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মোঃ ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুবলীগ ক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান লিটন, সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি নিয়াজ মাইনুদ্দিন খান পাশা, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, শামীমা আক্তার, শহর কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হাব্বীুর রহমান মিন্টু, আফরিন সুলতানা জুই, অর্থ সম্পাদক বাবুল, দপ্তর সম্পাদক কিশোর খাদেম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী খাইরুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মৌলানা আব্দুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গুজব না ছড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা নিতে ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বজাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ধরণের কোনো হামলা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতৃবৃন্দ জেলার সর্বত্র এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং সমঅধিকার ভোগ করি। আল্লাহ রসুল বলেছেন, অমুসলিমের ওপর যারা জুলুম করে, তাদের অধিকারে কেউ কম দেয়, সাধ্যের বাইরে কোন কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, অন্যায় ভাবে তাদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয় কিয়ামতের দিন আমি নবী আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হবো। এই হচ্ছে সংখ্যালঘুর বিষয়ে নবীর নির্দেশনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে কোন সংখ্যালঘু আক্রান্ত হতে পারবে না, করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় মাওলানা সাজিদুর রহমান আরো বলেন, বিগত সময়ে হেফাজত ইসলামসহ আলেমদের উপর অনেক অত্যাচার-জুলুম হয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার এক ছাত্রকে মাদরাসার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমাদের ১৬জনকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের আলেমদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ৬৩টি মামলা করে তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে আমাদের ৬জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সময় আমরা যে মামলাগুলো করেছিলাম বৈরী পরিবেশের কারনে মামলাগুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারিনি। ইনশাল্লাহ ওই মামলাগুলো আমরা চালাব।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারি সরকারের পতন হয়েছে। এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মাওলানা মুফতি মোবার উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমি, সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী বোরহান উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, প্রচার সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
’ইন্টারনেটে তথ্য পেলে, জনগণের শান্তি মেলে’ এই শ্লোগান নিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে ।
এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সচেতন নাগরিক কমিটির সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসার আসাদুজ্ঝামান কাউসার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুর রহমান, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল হোসেন, ডাঃ মাহমুদুল হাসান, ডিষ্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, বীর মু্িক্তযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, টিআইবির এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ, ডাবের সভাপতি এস এম শাহিন প্রমুখ। সভায় টিআইবির এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ ওয়েব পোর্টাল পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পূণ্যভুমি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় যাচ্ছেন, দ্য ডেইলি এএমটিভি বাংলা ও দৈনিক ফ্রনটিয়ার সম্পাদক, জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা এবং এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক ও সমাজসেবক জনাব আব্দুল মালেক।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের ট্রেনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করেন। সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলান্স এর একটি বিমান যোগে পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
তিনি আগামী ০৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
সময় স্বল্পতাহেতু তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন ও সুধী মহলের অনেকের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
দীর্ঘ ২০ বছর পরে দেশে ফিরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃতি সন্তান শাহ মোঃ ইব্রাহিম। গতকাল ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তার আগমন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্য কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ ইব্রাহিম বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গর্তে ঢুকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র, আমরা এই মাটিতে ফিরে এসেছি। জনগণ এখন তারেক রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া। তিনি এর আগে এবছরেই ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছিলেন। এবারে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশে আসা যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসলেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গনে ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম বাবুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস উন্নয়ণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপনুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ নূরুল্লাহ, সরুয়ারদি মৃধা, এস.এম. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার এবং মোবাইল কোট পরিচালনার মাধ্যমে তামাক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হয়।