চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলতে কিছু নেই, আমরা প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তি বলতে পারি। তাদেরকে অবহেলা করলে হবে না। আমরা তাদেরকে ভাল আচরণ করে সমাজের মুল শ্রোতে আনতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য রয়েছে আলাদা চিন্তা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার একটি মহা পরিকল্পনা।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় টেংকেরপাড় আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী সুবর্ণ নাগরিক সন্তাদের নিয়ে একটি ক্রীড়াযজ্ঞ তৈরী করেছে এবং তাদের এ ক্রীড়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছে।
কণ্ঠ শিল্পী আনিসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সমাজ সেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়ত্রী দেবনাথ। এসময় আসমনাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী, মুক বধির ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।
উভেন্টের মধ্যে ছিলো ফুটবল, দড়ি লাফ, ৫০ মিটার দৌড়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ২০ মিটার হাটা এবং পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
দুলাল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোঃ আজিজুর রহমান লিটনকে প্রধান সমন্বয়কারী ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, এস এম মহিউদ্দিন, আকিব জাবেদ মুন্না, অ্যাড. জাহাঙ্গীর আহমেদ খান, মোঃ আব্দুল মামুন শরীফ (বাতেন)কে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যরা হলো : মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, খাইরুল ইসলাম চাকুরী, আসাদুজ্জামান রঞ্জু, জয়ন্তি বিশ্বাস, মোঃ জাবারুল ইসলাম সুমন, আসাদ খোকন, নাহিদুল ইসলাম, আপেল মাহমুদ, মোঃ পাপেল, মিনারা বেগম, বিন ইয়ামিন ভুইয়া, নাসিমুল হাসান রাসেল, এমদাদ আহমেদ, আশিকুল আলম, বিপাশা আক্তার, আশিক চৌধুরী, রুবায়েত, শামিম মিয়া, আহসানুল হক ফাহাদ, ইব্রাহিম মিয়া, আলমগীর হোসেন, আরিফ বিল্লাহ আজিজি, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জিয়াউল হক চৌধুরী, কবির আলম মাসুম, সাইফুল মিরাজ, শাহ এস এম শফিক, আসাদুজ্জামান শামীম, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ গোলাম সামদানী।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এর হাসনাত আবদুল্লাহ গত ১৬ জুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
এটার বাদী আমার স্ত্রী হেনা আক্তার-
চলারপথে রিপোর্ট :
“শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা” এই প্রতিপাদ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুরে ৫ আনসার ব্যাটালিয়নে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার মোহা: মাহবুবুর রহমান, পি.এ.এম.এ., পি.ভি.এম.এস.।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ জুয়েল মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার মোহা: মাহবুবুর রহমান, পি.এ.এম.এ, পি.ভি.এম.এস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার এহতাশামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ নোমান মিয়া ও সুহিলপুর ৫ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক জানে আলম সুফিয়ান, পি.এ.এম, পি.ভি.এম.এস। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ জননিরাপত্তা ও সংকট-দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবদান ও গৌরব গাঁথা তুলে ধরেন। এ সময় বাহিনীর প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল সদস্যদের মাঝে উপহার হিসেবে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও ছাতা বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ মার্চ শনিবার সকাল ৭টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উত্তর সুহিলপুর নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলা শহরের মেড্ডার নোয়াপাড়া এলাকার নোয়াব আলির ছেলে আব্দুল হাই (৫০) ও সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা শহর থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চার জন যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে খাঁটিহাতার দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিতে যাত্রী একজন কম থাকায় তা তুলতে পথিমধ্যে উত্তর সুহিলপুর সড়কের পাশে দাঁড়ায়। এসময় একটি ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আব্দুল হাই মারা যায়। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হলে জুনায়েদ নামে আরো একজন মারা যায়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ থানায় ও আরেকজনের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। নিহতদের পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফ গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো.জহিরুল হক জুরুর।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলার আখাউড়া পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো. সাকের আহমদ কবিরের মেয়ে তাবাচ্ছুম আক্তার স্নেহার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর ইতালি প্রবাসী হৃদয় হক।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফের ছতুরা শরিফ স্কুল মাঠ থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নববধূকে নিয়ে আবারো একই হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসেন।
এদিকে নববধূ ও হেলিকপ্টার দেখতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ মাঠে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিয়ের বিষয়টা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরের বাবা মো. জহিরুল হক জুরু জানান, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমার বাকি ছেলে ও এক মেয়েকেও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাব।
মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি বরের শ্বশুর সাকের আহমদ কবির। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ যেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।