চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুর শহরের উপশহর এলাকার এক বাড়ি থেকে বিষধর একটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি মাছুয়া সাপ। কৌশলে সাপটিকে বয়ামে ভরে রাখেন বাড়িওয়ালা। শনিবার সাপটি দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বনবিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এটি বিষধর পদ্ম গোখরা সাপ।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বনে উন্মুক্ত করতে সাপটি হস্তান্তর করেছেন শিক্ষক রাশিদুল হাসান কচি।
কলেজের প্রভাষক রাশিদুল হাসান কচি জানান, শুক্রবার নিজ বাড়ির দরজার পাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময় সাপটি দেখতে পান। ভয়ে সাপটির মাঝখানে আঘাত করলে সাপটি একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে তিনি ও তার ছেলে তানজিরুল হাসান আবির সাপটিকে লাঠি দিয়ে কৌশলে প্লাস্টিকের বয়ামে ভরে রাখেন। দেখে মনে হয় এটি বিষধর পদ্ম গোখরা।
তিনি আরো জানান, সাপটিকে তিনি মারতে চান না। এ কারণে সাপটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। সেখান থেকে তিনটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করলে তিনটি নম্বরের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা হয় এবং তারা এসে সাপটি নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর বনবীট কর্মকর্তা ও রামসাগর উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নান জানান, শনিবার বিষয়টি জেনেছি। সাপটি দেখে মনে হচ্ছে বিষধর পদ্ম গোখরা। সাপটি নিয়ে আমরা বনে উন্মুক্ত করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরে কলাগাছিয়া এসিনর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা কেন্দুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কলাগাছিয়া এসিনর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো-দশম শ্রেণির হিরামনী, মুনা আক্তার, ইরিনা আক্তার ও সাইমা জাহান। তারা সবাই হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ইরিনা আক্তার, সাইমা জাহান তারা বাসায় ফিরে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলের ক্লাস অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘণ্টা দিলে আমরা পরীক্ষার কক্ষে গিয়ে বসি। তখন হঠাৎ সিলিং ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে। এতে আমারা চার থেকে পাঁচজন ছাত্রী আহত হয়েছি। এরপরে কি হয়েছে, তা আমি আর বলতে পারি না। তাৎক্ষণিক আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে হীরামনী বেশি অসুস্থ। এতে তার সেলাই লেগেছে। অন্যরা হাতে ও পিঠে আঘাত পেয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী হিরামনীর নানা সামচুল হক মোল্লা বলেন, ‘আমার নাতি খুবই অসুস্থ। তার কপালে আঘাত লেগেছে। সে অনেক অসুস্থ ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। আমি এটি মানতে পারতেছি না। কী আজব ঘটনা! একটি বেসরকারি স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হবে, এটা ভাবা যায়?’
আহত মুনার বাবা ইদ্রিস মাতুব্বর বলেন, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। তার হাতে ও মাথায় অনেক আঘাত লেগেছে। এ ঘটনা শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে ঘটেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তি রঞ্জন মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘণ্টা দেওয়া হয়। তারপরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ফ্যান পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তাদের কি অবস্থা, সেটা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি কোনো অভিযোগ থাকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টের কাজ করেন নাহিদ হাজারিকা ইতি। পাশাপাশি নিয়মিত দেশে-বিদেশে ভ্রমণে আগ্রহ তার। ট্রিপকার্ট (Tripkart) নামের ফেসবুক ট্রাভেল এজেন্সির পেজে একটি অফার দেখতে পান তিনি। এজেন্সিটি মাত্র এক লাখ টাকায় দুবাই বা কাতারে ভ্রমণের সুযোগ উল্লেখ করে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেয়। ট্রিপকার্টের এমন বিজ্ঞাপন দেখে নাহিদ হাজারিকা ইতি নামের এক নারী দুই জনের জন্য বুকিং মানির অগ্রিম এক লাখ টাকা জমা দেন। এরপর থেকে এজেন্সিটি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে বনানী থানায় মামলা করেন ইতি। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি।
গ্রেফতাররা হলেন চক্রের মূলহোতা সাইফুল আলম ওরফে অপু, আহাদ আলম ওরফে তালহা ও মো. আমিনুল ইসলাম।
ডিবি বলছে, চক্রটি সীমিত খরচে ট্যুর প্যাকেজ বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। গত এক বছরে চক্রের হাতে দুইশর বেশি মানুষ প্রতারিত হয়েছে। অপু ও তার চক্রের সদস্যরা গ্রেফতারের খবরে বহু ভুক্তভোগী গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ভিড় করেন।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, দুটি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড ও ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’র নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজে বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করতো। একসঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকিট কাটাসহ সব দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দিতো। এছাড়া প্যাকেজে আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণাও থাকতো। এত কম টাকায় এমন অফার পেয়ে সাধারণ মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিতো।
সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকায় অফিস নিয়ে প্রতারণা করতো চক্রটি। এক এলাকায় অফিস খুলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিত তারা। এরপর দুই মাস আত্মগোপনে থেকে ভিন্ন নামে অন্য এলাকায় একই কাজ করতো। গ্রেফতার সাইফুল আলম ওরফে অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’র নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।
রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা জুই আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশে মালদ্বীপের যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’র ফেসুবকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম খরচে আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেখে আকৃষ্ট হন জুই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচের জন্য অগ্রিম ৫৫ হাজার দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর দেখতে পান ‘ট্রিপকার্ড’র অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুই। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
যেভাবে প্রতারণার শুরু
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাইফুল আলম ওরফে অপুর কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’ নামের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। ট্যুরে যাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের নির্ধারিত টাকার পরিমাণের ৪০ শতাংশ অগ্রিম জমা দিয়ে বুকিং নিতে হতো। বুকিং মানি প্রতারকরা নির্ধারিত ব্যাংক অ্যকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতো। পরে বিভিন্ন দেশের ট্যুর প্রসেসিংয়ের জন্য অফিসে ডেকে ট্যুর প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা নিতো।
এভাবে কয়েকশো মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে অফিস পরিবর্তন করে ফেলত তারা। পরে দুই মাস নিজেরা আত্মগোপন থাকত। এরপর আবার অন্য নামে ফেসবুকে পেজ ও ওয়েবসাইট তৈরি করে আবারও প্রতারণা করত। বুকিং মানির সম্পূর্ণ টাকাই প্রতারক চক্র আত্মসাৎ করতো।
এ ধরনের চক্রের হাত থেকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, যে কোনো ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে, বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রদের গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে ভারত। সেখানে শেখ হাসিনাকে নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, শেখ হাসিনা এখন দিল্লিতে রয়েছেন। তাকে আপাতত কিছুদিন সময় দিয়েছে ভারত।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা। তা ছাড়া সর্বদলীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সব সংসদ সদস্যকে জানিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আপাতত হাসিনাকে কিছুদিন সময় দিতে চায়। তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারত সরকারকে জানাবেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার জন্য সময় নিচ্ছেন তিনি। পরিকল্পনা জানার পর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।
জয়শঙ্কর জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে। আপাতত তাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনা হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজুরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অতিবৃষ্টিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চলন্ত অটোরিকশার ওপর আকাশ মণি গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টার দিকে সড়কের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে সড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। দুপুর ১টার দিকে গাছটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের টিম লিডার জাহেদুল ইসলাম জানান, দেড় ঘন্টারও অধিক সময়ের চেষ্টায় গাছটি অপসারণ করা হয়। আহত চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের পাশের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ উপড়ে পড়ছে। সড়কে হেলে পড়া গাছে ধাক্কা খেয়ে বাসের ছাদে থাকা এক যাত্রী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবছর আগে। অ্যাম্বুল্যান্সে মরা গাছের ঢাল পড়ে স্বজনসহ রোগী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম–কাপ্তাই বাস মিনি বাস ওর্য়াকাস ইউনিয়নের সভাপতি আকদুল কুদ্দুছ জানান, এ সড়কে এ ধরনের অনেক গাছ রয়েছে। এসব গাছের কারণে এ সড়কে যান চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর পরিকল্পনা ছিল আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার। তবে বেশিরভাগ কলেজ ও মাদ্রাসায় সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এ পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী আগস্টে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। শীগ্রই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সশরীরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। সে কারণে এলোমেলো হয়ে যায় শিক্ষাপঞ্জি, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারিতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয় গত বছরের মার্চ থেকে। তারাই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মূলত এসব কারণেই জুলাইয়ে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো।