চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পাঁচটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরিবর্তন করা হয়েছে একটি আসনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের পরিবর্তে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি. তাজুল ইসলাম।
এদিকে, মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই আপনাদের সাথে সামনাসামনি সরাসরি দেখা হবে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মানুষের আস্থার মূল্যায়ন করে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে। আগামী বছর রমজানের আগে নির্বাচনে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হবে, এর পরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতায় আমরা এদেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে সফল হয়েছি। স্বৈরাচার এ দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তা আবার পুনর্গঠন করবে বিএনপি। সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় এসে দেশ-বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার আলো শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের মনে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সাবেক নেতারা ক্ষোভে রাজপথে নেমে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান মিয়া, বিএনপি নেতা মো. হোসেন মিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য প্রকাশিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক-২ নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানিনা, মানাবো না। বিএনপি’র এ কমিটিকে পারিবারিক, অরাজনৈতিক, চুর, ডাকাতে ভরা। আপনারা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন, দীর্ঘদিন কারা বরণ করে এ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কে বাঁচানোর জন্য আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে এই বাংলা থেকে বিতরিত করেছি। সেই ভাবে আনিছ ঠাকুর ও তপুর অবৈধ কমিটিকে সরাইল থেকে বিতরিত করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আনিসুল হক ঠাকুর ও অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই অনুমোদিত কমিটি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ করে বর্তমান উপজেলা কমিটি। এরপর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ঠাকুরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই দাবিতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে নাশকতা ও সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে শহরের ঘাটুরা এলাকায় বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৯-এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি। গত ২৬ জুন ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যের কমিটিতে তিনি প্রথমবারের মতো সহ-সভাপতির পদ পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ২৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগ করা হয়। ওই মামলার ২৩ নম্বর আসামি চিকিৎসক আবু সাঈদ।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে ঘাটুরায় বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালান র্যাবের সদস্যরা। অভিযানে তাঁদের সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসক নেতা আবু সাঈদকে আটক করে সদর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র্যাব। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাশকতা ও সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি আবু সাঈদ। ওই মামলায় র্যাব তাকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বার বার তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জনগণের মধ্যে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন বিএনপি তা বিগত দিনে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তাদের রাজনৈতিক শক্তির সাংগঠনিক ভিত্তি জনগণের মধ্যে প্রোথিত নেই।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যে রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। এটা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে পার্বত্য-অঞ্চলে অশান্তির সূচনা হয়। সেই অশান্ত পাহাড়ে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এখানে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়, পক্ষ হলো দুটি। একটি মিয়ানমার সরকার, অন্যটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই দুপক্ষের বিবাদমান সমস্যার বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই সাফল্যের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কোনো প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর আস্থা না রেখে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য তারা বরাবরই বিদেশি প্রভুদের দ্বারস্থ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে তাদের তথাকথিত আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিকট করুণা ভিক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া ও নির্লজ্জ হলে এই ধরনের অবিবেচনা প্রসূত আবেদন জানাতে পারে!