চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই ৫১ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় বলে জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। শহরের কালাইশ্রীপাড়ার একটি অফিসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৩ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল নাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি-বে-সরকারি নানা উদ্যোগের পরও বাল্য বিবাহে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও এশিয়ার প্রথম। বাল্য বিয়ে একটি ভয়াবহ সামাজিক অবস্থা। বাল্য বিয়ের কারণে স্কুল থেকে ঝড়েপড়ার হার রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শোভাপাল, সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা সিকদার দীনা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠক রেন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শামীমা সিকদার দীনা।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদের সরবরাহ করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ১২টি পত্রিকা থেকে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর নাগাদ ১০ মাসে নারী নির্যাতনের খবরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য অনুযায়ি, ওই সময়ে ৩৯৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন। এছাড়া ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ১২ জন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারীনির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে জেলার কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ, নারী ও কন্যার প্রতি সংহিসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে উপকারভোগীর সাথে মতবিনিময়, সমাবেশ ও আলোচনা সভা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটপাত দখল করে ফুল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখান থেকে ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহরের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
দন্ডপ্রাপ্ত ফুল বিক্রেতারা হলেন- জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা উত্তম কর্মকার (৪০) ও মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রাজু মালাকার (২৫)। তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো তিনদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পথচারীরা ভোগান্তি পোহাতে হতো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দলখমুক্ত করতে ফুল বিক্রেতাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তারা সেখান থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নেননি। ফলে বেলা ২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। এসময় ফুল বিক্রেতা উত্তম কর্মকার ও রাজু মালাকারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অন্য ফুল বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ফুটপাত থেকে ফুল বিক্রেতাদের সব সরঞ্জাম ও ফুল গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, ফুটপাতটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রেতাদের দখলে ছিল। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দুই ফুল বিক্রেতাকে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করার দায়ে এএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নামক একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের এএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযানকালে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিক্রির জন্য খাবার সংরক্ষণ করে রেখেছে। পাশাপাশি রান্না করা খাবার ও কাঁচা খাবার একই ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে। রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের কোন স্বাস্থ্য সনদ নেই। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে রেস্টুরেন্টটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় “লাইক ফ্যাশন হাউজ” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ৫ হাজার ও “লা-রোজা” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ. টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রির দায়ে লাইক ফ্যাশন হাউজের শো-রুমকে ৫ হাজার এবং ক্রয় মূল্যের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারায় লা-রোজা নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।