চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারো পেয়ে জনস্রোতের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজ এলাকায় আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশ করেই তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করলেন তিনি।
আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫ টায় তিনি শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সহ বিপুল পরিমান সংগঠন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা যে উচ্ছাস দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত, কৃতজ্ঞ। আপনারা বারবার আমাকে যেভাবে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেন তার ঋণ শোধ করা সম্ভব না। তিনি নেতাকর্মীকে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার সাথে মাঠে-ময়দানে জনতাকে সাথে নিয়ে কাজ করবার আহবান জানান।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমনে সরাইল বিশ^রোড থেকে সহস্রাধিক মোটর সাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানিয়ে শহরে নিয়ে আসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুর একটার দিকে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে পৌর কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদাতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯- এর সদস্যরা। আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শেখ অবুজ (২৫) একই এলাকার শেখ সবুজ (২৮), হৃদয় মিয়া (২৩), আওয়াল মিয়া (৪০), শহরের কান্দিপাড়ার শিপন মিয়া (২৮) ও পিয়াস (৩০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৯- এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার দুপুর ১ টার দিকে সুলতানপুর চৌধুরী মার্কেটের সামনে থেকে ২০ বস্তা চিনি পিকআপ ভ্যানে ভরে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ভিআইপি বেকারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন পিকআপ চালক দোলোয়ার হোসেন (২২)। পথিমধ্যে সুলতানপুর বড় মসজিদের রাস্তার উপর ৬ ব্যক্তি ৩টি মোটর সাইকেলযোগে এসে পিকআপভ্যান গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে দোলোয়ার হোসেনের কাছে পরিচয় দেয়।
পরে কৌশলে পিকআপসহ দোলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা দোলোয়ারকে মারধোর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৯ হাজার ২২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় চালকের ভগ্নিপতি বোরহান উদ্দিন (৫৫) বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গত ১৪ জুন থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়েছে। স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। কিন্তু চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বৈকালিক এই সেবা দিতে যথাসময়ে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ রোগীদের প্রতীক্ষা করতে দেখা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসকরা বৈকালিক সেবা দেবেন। রোগীদের সিনিয়র কনসালটেন্ট দেখাতে ৪০০ টাকা, জুনিয়র কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে ৩০০ টাকা এবং মেডিকেল অফিসার দেখাতে ২০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাও করা হয় নির্ধারিত ওই সময়ে।
২৪ জুন শনিবার সরেজমিনে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের অভিযোগের সত্যতা মেলে। বহির্বিভাগের দু’তলায় চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এরমধ্যে দায়িত্ব বণ্টন অনুযায়ী মেডিসিন বিভাগে ডা. জুয়েল চৌধুরী, অর্থোপেডিক বিভাগে ডা. হুমায়ূন কবির রেজা, গাইনি বিভাগে ডা. শরীফ মাসুমা ইসমত, তৃতীয় তলায় চক্ষু বিভাগে ডা. আমীর উল্লাহ, নিচতলায় চর্মরোগ বিভাগে ডা. জাকারিয়াকে বিকেল ৪টায়ও তাদের চেম্বারে পাওয়া যায়নি।
বিকেল ৪টার পর চেম্বারে আসেন মেডিসিন বিভাগের ডা. জুয়েল চৌধুরী, সোয়া ৪টায় আসেন অর্থোপেডিক বিভাগের ডা. হুমায়ূন কবির রেজা এবং চর্মরোগ বিভাগের ডা. জাকারিয়া। সাড়ে ৪টায় এসে আবার সোয়া ৫টায় চলে যান গাইনি ডা. শরীফ মাসুমা ইসমত।
মেডিসিন বিভাগের সামনে বসে থাকা সরাইলের শাহবাজপুরের সুমন ও ঘাটুরার টিপু জানান, তারা বিকেল ৩টা থেকে চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বসে আছেন। এখন বিকেল ৪টা বাজে কিন্তু চিকিৎসক চেম্বারে আসেননি।
অর্থোপেডিক বিভাগের সামনে বসে থাকা আলম মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে আমার হাত ভেঙে গেছে। শুনেছি বিকেলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক বসেন। এক ঘণ্টা ধরে অর্থোপেডিক চিকিৎসক হুমায়ূন কবির রেজার চেম্বারের সামনে বসে আছি।
অহিদ মিয়া নামে আরেকজন জানান, দীর্ঘ এক ঘণ্টা অর্থোপেডিক ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে ছিলাম। তিনি আসলেন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে।
এ বিষয়ে জানতে অর্থোপেডিক চিকিৎসক হুমায়ূন কবির রেজার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকারিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেম্বারে ছিলাম না তা সত্য। কোনো রোগী আসলে আমাকে কল দেয়, তখন আসি।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, বৈকালিক চিকিৎসকরা যেন নিয়মানুযায়ী চেম্বারে আসেন, সে বিষয়ে আমি তাদের বলবো। বিষয়টি নিয়ে অচিরেই মিটিং করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশুরা’ এই শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী বসন্তকালীন আর্ট ক্যাম্পের সমাপনী ৪ মার্চ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের তালুকদার বাড়ি খলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি কবি দেওয়ান মারুফ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এক ঝাঁক শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর কেউ কেউ বাড়ির বারান্দা ও আঙ্গিণায়, কেউ কেউ গাছ-গাছালির নিচে, কেউ পুকুরপাড়ে আবার কেউ তিতাস নদীর পাড়ে দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সারিবদ্ধ ভাবে আসন পেতে বসেছে। সবার হাতেই বোর্ড, সাদা কাগজ ও নানা রঙের পেন্সিল। প্রকৃতির সান্নিধ্যে তারা সবাই নিজেদের চিন্তাকে রঙ তুলিতে রাঙিয়েছেন। গত তিনদিন ধরেই তারা এঁকেছে নানা ছবি। আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ২৬৫জন শিক্ষার্থী তিনদিনে প্রকৃতির সান্নিধ্যে দেড় হাজারের বেশি ছবি এঁকেছে।
তিনদিন ব্যাপী আর্ট ক্যাম্পে সংগঠনের চারুকলা বিভাগের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থীরা একটি ও বিকেলে একটি করে ছবি এঁকেছেন। তিনদিনের এই ক্যাম্পে একজন শিক্ষার্থীকে ৬টি করে ছবি আঁকতে হয়েছে। ২৬৫জন শিক্ষার্থী ১ হাজার ৫৯০টি ছবি এঁকেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সাদা কাগজের নানা রঙের পেন্সিলের আঁচড় দিয়ে ঘর, নদী, সেতু, পুকুর, গাছ, নদীর তীরে খড়ের গাদা কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্য আাঁকছে।
শিক্ষার্থী ত্রিদিবা দেবনাথ ও সোহান আহমেদ বলেন, গত বছরও তারা এই আর্ট ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলো। খোলা জায়গায় বসে গ্রামের পরিবেশে চোখের সামনে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে ছবি আঁকাটা অনেক দারুণ।
অভিজিত রায় ও রাখি আক্তার বলেন, চোখের সামনে থাকা দৃশ্য দেখে আঁকতে পেরে ভালো লেগেছে। সবাই যার যার মতো করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসে ছবি আাঁকছে।
অভিভাবক শ্যামল চন্দ্র সরকার, হামজা ইসলাম ও চয়ন বিশ্বাস বলেন, প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে শিশুদের দিয়ে ছবি আঁকানোর উদ্যোগটা প্রশংসনীয় ও ব্যতিক্রম। এ থেকে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে যে আরো অনেক কিছু শিখা ও জানা যায় তা তারা এখান থেকে জানতে পারবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, শিশু নাট্যম প্রতি বছরই শিশুদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। যাতে করে শিশুরা তাদের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে পায়, প্রকৃতির পায়, প্রকৃতির সাথে তাদের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
এই পাথরে গড়া দালান-কোঠায় থেকে তাদের মন-মানসিকতা শক্ত হয়ে যাচ্ছে। সেই মন মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। আমরা প্রতি বছর শিশুদের গ্রামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। এটি আমাদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামের সাথে শিশুদের মানসিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ও মানসিক পরিবর্তন ঘটাতেই এই আয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রী শ্রী শীতলা পূজা উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ঋষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির আয়োজনে ১৭ জুন শনিবার সকালে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় তিনি ঋষিপাড়া মন্দিরের জন্যে তিনলাখ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন ও ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশের যে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি, অতীতের কোন সরকার এই ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা ভোটের জন্য রাজনীতি করিনা। জনগনের কল্যানে কাজ করছি। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনাদের কাছে বসন্তের কোকিলরা ছলছাতুরি ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভোট চাইতে আসবে। আপনারা তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকবেন।
পরে তিনি দুপুর ১২টার দিকে শহরের মেড্ডা এলাকার তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত নাথ সম্প্রদায়ের সমাধি মন্দিরে শ্রী শ্রী মহাদেব দেবতার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিন্টু ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মোঃ মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোঃ মহসিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, এই সমাধি মন্দিরের উন্নয়নে আমি আগেও আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামী দিনেও যে কোনো উন্নয়নে পাশে থাকবো। তিনি মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।