চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরার সামনে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। একরামুজ্জামানের সাথে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার আনিছুর রহমান ও আইনজীবী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলী আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার মামলায় হাজিরা দেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০জন আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের পক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরো অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এই মুহুর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সৈয়দ একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতেই উপজেলার তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমদ বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মোঃ বকুল মিয়া নামে একজন সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেল মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বাদ ফজর নামাজের পর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)।
ফান্দাউক দরবার শরীফের সভায় লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মুখরিত প্রায় ৩৫ মিনিট মোনাজাতে মুসলিম উম্মার ঐক্য কামনাসহ দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে দেশ প্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে পরম করণাময় আল্লাহর দরবারে শান্তি কামনা করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাহফিলে দরবার শরীফের আওতায় পরিচালিত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ৫জন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাহফিলস্থলে ফান্দাউক দরবার শরীফের ছোট সাহেবজাদা সৈয়দ বাকের আহমদকে (আকদ) বিবাহ পড়ানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অর্থাভাবে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা বন্ধ হয় না।এক সময়ে অর্থের অভাবে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অকালে ঝরে যেত। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এই অবস্থা এখন আর নেই। এ সময়ে তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র আমাদের নাসিরনগরেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে ১০০ কোটি টাকার অধিক খরচ করেছে বর্তমান সরকার।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা পরিষদ মিলয়াতনে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।
নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ভলাকুট ক্ষেত্রনাথ উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান গিলমানের সঞ্চালনায় এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো. লতিফ হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামিল ফোরকান, চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাসসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্টসহ সনদ প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মোটর সাইকেলে শোডাউন করায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী মোঃ ইসলাম উদ্দিন দুলালের (মোমবাতি প্রতীক) সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে নির্বাহী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাববর হোসেন এই জরিমানা করেন।
জরিমানা পাওয়া আবদুল বাছির ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনর দুলালের (মোমবাতি প্রতীক) সমর্থক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা সদরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী মোঃ ইসলাম উদ্দিন দুলালের পক্ষে কর্মী-সমর্থকেরা মোটর সাইকেল মিছিল বের করেন। বিকেল তিনটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক দিয়ে মোটর সাইকেল মিছিল নিয়ে যান। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাববর হোসেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থীর সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন বলেন, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৮ (ক) ধারা লঙ্ঘন করে মোটর সাইকেল সহযোগে মিছিল করায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থীর সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি তার এই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে করবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ টহল কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি চালকসহ নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার। তিনি জানান, আহত সবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বায়জিদ মিয়া, মো. শাহআলম মিয়া, খাদিজা আক্তার, লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম, অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়া। এর মধ্যে লাল চান বাদশা, আলম মিয়া, খুকু মনি, নাজমা বেগম,অহিদ মিয়া ও ফুরকান মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ থেকে পালকি পরিবহনের একটি ঢাকাগামী বাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা লাখাইগামী সিএনজি অটোরিকশা আশুরাইল এলাকায় আসার পর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সায় থাকা সকল যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় নারী-শিশুসহ নয়জনকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন।
ওসি হাবিবুল্লা সরকার জানান, দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নাসিনগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনা নাছরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মোঃ খলিলুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিম আরফিন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জামিল খান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ.হান্নান, সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিন তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ ছায়েদ আলী, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবদুস সাত্তার, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মুখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) অনাথবন্ধু দাস, ফান্দাউক গোপীনাথ জিও মন্দিরের(ইসকন) প্রতিনিধি গৌর চরণ দাসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ।
সভায় বক্তারা নাসিনগর উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি বন্ধ সহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিষয়ে গুরুত্বারোপ হয়।