চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরার সামনে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। একরামুজ্জামানের সাথে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার আনিছুর রহমান ও আইনজীবী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলী আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার মামলায় হাজিরা দেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০জন আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের পক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরো অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এই মুহুর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সৈয়দ একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতেই উপজেলার তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমদ বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মোঃ বকুল মিয়া নামে একজন সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তিমালিকানা জায়গা চলছে সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক জমির মালিক ঠিকাদারকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে। আরো অন্তত ছয়টি সেতুর কাজেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে সেতু নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ঠিকাদারকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা করা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. কামাল মিয়া জেলা শহরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে।
মামলা সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ৯টি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাসিরপুর গ্রামের সেতুটির কুকুরিয়া খালের পূর্ব পাশে ৬৯ শতাংশ জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। সত্যরঞ্জনের জমির পাশেই সরকারি খাস জায়গা রয়েছে। আদালত নির্মাণ বন্ধ রাখতে বললেও ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন সত্যরঞ্জন। পরে এসআই মো. ইছাক মিয়া কাজ বন্ধ করতে বলেন। এর পরও কাজ করছেন ঠিকাদার।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নাসিরনগর থেকে চাতলপাড় হয়ে সরাইলের অরুয়াইল পর্যন্ত তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি সেতু ও ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সবক’টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। এর মধ্যে কুকুরিয়া খালের ওপর সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এটি নির্মাণে বরাদ্দ ১২ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক কামাল মিয়া।
সরেজমিনে ঘুরে ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইছাক মিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কুকুরিয়া সেতুর পাশাপাশি আরও ছয়টির কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভলাকুট ইউনিয়নের ২ নম্বর সেতু নির্মাণের জন্য দু’পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্ভর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় কাজ শুরু করতে পারেননি ঠিকাদার। ৪ নম্বর সেতুটি হওয়ার কথা বালিখোলা গ্রামে। এ অংশে প্রায় ১৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। আগামী ৭ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ শতাংশ কাজও হয়নি।
চাতলপাড়’র চকবাজার এলাকায় ৫ নম্বর সেতুর জন্য ৩০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। ভলাকুটের কান্দি গ্রামে ৬ নম্বরটির জন্য দুই বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে ৮ ও ৩ নম্বর সেতুর অধিগ্রহণ হয়েছে। বাকি সাতটি সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। সেতুগুলোর মধ্যে ৫ ও ৭ নম্বর ছাড়া বাকিগুলোর কাজ চলমান।
ভলাকুট সেতু এলাকার জমির মালিক আব্দুল বাছির মিয়াসহ আরো চারজনের ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। আব্দুল বাছিরের দাবি, জমি অধিগ্রহণ না করেই উপজেলা প্রকৌশলী জোর করে সেতু নির্মাণ করতে চান। জমির মূল্য না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।
সত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নাসিরপুর মৌজার ৬৯ শতাংশ জায়গা তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক। পাশেই খাসজমি রয়েছে। সরকার এ জমিতে সেতু করতে পারে। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের পরামর্শে এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা তাঁর জায়গায় সেতুর কাজ চলমান রেখেছেন। সরকারি উন্নয়নকাজ হোক, তবে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা কারও জমিতে জোর করে সেতু নির্মাণ করার পক্ষে নই। কারও জমি সেতু এলাকায় পড়লে মূল্য পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান কারও ব্যক্তিমালিকানার জমি সেতু ও সংযোগ সড়কের পাশে থাকলে তা অবশ্যই অধিগ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে এক পরিবারের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. ছোট্ট মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ছোট্ট মিয়া একজন কৃষক। তিনি অন্যের জমিতে কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবার চালান। সোমবার ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন পরিবার। বেলা ১২টার দিকে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় তিন কক্ষবিশিষ্ট দুই চালা আধপাকা ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘরের মালিক ছোট্ট মিয়া বলেন, ‘আগুনে আমার ঘরের সব কাইরা নিছে। আমি মাইনসের খেতে কাম কইরা ৫০ হাজার টেহা (টাকা) জমাইছিলাম। ভাবছিলাম বন্যার পানি কমলে টেহা দিয়া একটা গরু কিনুম, কিন্তু সেই আশা একবারে শেষ।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট্ট মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। জানতে পেরেছি প্রায় চার লাখ টাকা মূল্যের ক্ষতির শিকার হয়েছেন তিনি। আমরা ওই পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করার কথা ভাবছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে একজন কৃষকের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। জেলাপ্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোর্শেদ মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোর্শেদ মিয়া ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, শনিবার বিকেলে ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মোর্শেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।