অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এখনও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তারা নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনারও সুযোগ রয়েছে। অবশ্য, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে নির্বাচনে ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।’
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। টানা তিন ঘণ্টা পর বৈঠকটি শেষ হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে একটি সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য এই বৈঠক। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় বিষয় নোট নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনও আসনকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করে যাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে যা যা করা প্রয়োজন, কমিশন তা করবে। সেই উদ্দেশে আমরা চার নির্বাচন কমিশনার সারাদেশে সরেজমিন যাচ্ছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর বুড়িঘাটের চিংড়ি খালের ছোট দ্বীপে চির নিন্দ্রায় শায়িত থাকা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের শাহাদাৎ বার্ষিকী।
বাঙ্গালী জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের এই দিনে বুড়িঘাটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যে ৮ ই এপ্রিল থাকলেও মূলত তারিখটি হবে ২০ এপ্রিল ১৯৭১।এই দিনটি নানিয়ারচরবাসীর জন্য রক্তে ঝরা দিন।
এ মহান বীর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২০শে এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন । ২৬মার্চ যুদ্ধ শুরু হলে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও ছুটে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে শত্রু বাহিনীর নৌযান একাই ধ্বংস করেন ।
বাঙালীর এই মহান যোদ্ধা ১৯৪৩ সালের পহেলা মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পিতা ইমাম মুন্সি মেহেদি হাসান এবং মাতা মুকিদুন্নেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ২নং কমান্ডো ব্যাটেলিয়ানের দুই কোম্পানি সৈনিক ৭টি স্পিড বোট ও ২টি লঞ্চ রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথের আশেপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণ করে। ৬টি লঞ্চে অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ ও মর্টার সজ্জিত ছিলো। পাকিস্তানী বাহিনী মুক্তিবাহিনীর অবস্থান টের পাওয়া মাত্রই তাদের অবস্থানের উপর মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এই সুযোগে হঠাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানি সৈন্য, বেশ কয়েকটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য আক্রমন করে। মর্টার আর ভারী অস্ত্র দিয়ে চালানো আক্রমণে প্রতিহতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ। এই লড়াকু সৈনিকের একসময় পাকবাহিনীর মর্টারের গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ।
বাংলার অসীম সাহসী বীর মুন্সি আব্দুর রউফ এর দেহ পরবর্তীতে বীরমুক্তি যোদ্ধা দয়ালকৃষ্ণ চাকমা উদ্ধার করে বুড়িঘাটের চিংড়ি খাল সংলগ্ন টিলায় সমাহিত করেন।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর উদ্যোগে সমাহিত স্থানটিতে নির্মিত করেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ।
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করেন এবং বাংলাদেশ রাইফেলস ১৯৭৩ সালে সিপাহী মুন্সি আব্দুর রউফকে ল্যান্স নায়েক পদে মরোণোত্তর পদবিতে পদোন্নতি প্রদান করেন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ তার জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করেন সহযোদ্ধার জীবন এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বহু সৈন্যকে প্রতিহত করেছেন।
পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম নানিয়ারচর বুড়িঘাটে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া এই মহান বীরকে নিয়ে নানিয়ারচরবাসী গর্ববোধ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনার (ইসি) নিয়োগের দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন তখনকার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে আইনের পক্ষে প্রস্তাব করে। আওয়ামী লীগও ইসি গঠনে আইনের প্রয়োজন আছে বলে মত দেয়।
সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নির্দেশনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে তা হয়নি।
অবশেষে ২০২২ সালে সেই আইন করে ইসি গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। এর জন্য ওই বছর ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনটির বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ২৯ জানুয়ারি এ আইনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ওই বছর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করে। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির প্রকাশ করা ৩২২ জনের তালিকা থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনের ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং সাবেক দুই জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই আইনের ৯ ধরায় বলা আছে- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’
এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী। রিটে বলা হয়, সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ কোনো আইন পাশ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন, ২০২২ এর ৯ ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের ক্ষমতাকেও খর্ব করা হয়েছে। যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। তা ছাড়া এই দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া, চৌকিঘাটা, চানপট্টি এবং তুজারপুর ইউনিয়নের বামনকান্দা গ্রামের বগাইল বিল, তুজারপুর গ্রামের তুজারপুর বিল ও চতলবিল এবং ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদী এলাকার জলাশয় থেকে আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী প্রমুখ।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভাঙ্গার ঘারুয়া চৌকিঘাটা, চাঁনপট্টি, আতাদী, বগাইল, তুজারপুর ও চতলবিল থেকে ৩২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে চুমুরদি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলেই ২ থেকে ৭ বছরের জেল হবে।
তিনি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব ও সহযোগী হিসেবে রাখতে সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন তারা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে! সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবিব খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একজন ভোটার নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি, করবো। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।
ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনও ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে তরুণীর সাথে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায় চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো.ইমন (২১) ও একই গ্রামের তাজুল ইসলাম সজিব (২০)।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে-বলেন, মো.আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন ইমন ও সজিব তাকে মারধর করে নাজনিন সুলতানা প্রিতি নামে এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে আরও চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করে। একই সাথে ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।