চলারপথে রিপোর্ট :
হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় মিলনায়তনে সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে এক প্রতিনিধি সভা আজ মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার লেখক ও কলামিস্ট, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জন্মের সাথে যুক্ত ছিলাম বলেই নিজের মধ্যে একটি আকাক্সক্ষা জাগে যে এ দেশটিকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। সেই বোধ থেকেই রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতিও এখন আর আগের মত সহজ নয়। রাজনীতির সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে গেছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অনেক সমীকরণ নিয়ে মাঠে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। আমি আবার চতুর্থবার আমার নিজ দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে আমার সংসদীয় কর্মকালে আমি কতটুকু কি করেছি, তার বিচারভার সদর উপজেলা ও বিজয়নগরবাসীই ভালো করে জানবেন। আমি চেষ্টা করেছি এই দুটি উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একই সাথে আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার মাধ্যমে সমাজে শান্তি সমুন্নতকরন, চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা রাহাজানি, ছিনতাই মুক্ত জনপদ গড়ে তোলা। শিক্ষাঙ্গনে অনেক কিছুই করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গড়ে তোলা হয়েছে। পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় প্রতিটিতেই একাধিক শিক্ষা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনপদ ঐতিহ্যগতভাবেই একটি উদার সংস্কৃতিচর্চার একটি সমৃদ্ধ জনপদ। দীর্ঘকাল থেকেই এখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত ছিল। কিন্তু হাল আমলে আমাদের এই সংস্কৃতি চর্চাকে অবদমিত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টাই এখানে সংঘটিত হয়েছে। মানুষের ঐক্যবদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে এসব প্রচেষ্টা পরাভূত হয়েছে। আবারো যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে তবে তার প্রাথমিক ধাক্কা সংস্কৃতি কর্মীদের উপরই বর্তাবে। তাই আমি মনে করি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে ধারা বর্তমানে বহমান আছে আগামীতেও তা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সংস্কৃতি কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করতে হবে। এলাকার উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকাকে জয়যুক্ত করুন।’ ২৯টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিষদের উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে সকল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির বলেন, আজকে কোটা থাকার কথা ছিল অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠীর। অথচ আজকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ ভাগ নিয়োগ হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নেয়া হচ্ছে তারা কি অনগ্রসর জাতি? যদি মেধাবীদেরকে দেশে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন ২০১৮ সালে কোটা প্রথা নিয়ে যে পরিপত্র জারি হয়েছিলো, সেটি বহাল করতে হবে। কোটা বিষয়ে দাবি না মানা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহৎ পরিসরে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এশিয়া ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার করে যোগ্য ও মেধাবীদেরকে যোগ্য জায়গায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। উপজাতি কোটা ও প্রতিবন্ধীদের কোটায় কোন সমস্যা নেই। কোটার হার কেন শতভাগের অর্ধেকের বেশি হবে?
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। শতকরা ৫৬ শতাংশ কোটার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথাও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই দ্রুত কোটার সংস্কার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেচ্ছাসেবি সংগঠন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিগ্রেডের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারো পেয়ে জনস্রোতের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজ এলাকায় আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশ করেই তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করলেন তিনি।
আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৫ টায় তিনি শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সহ বিপুল পরিমান সংগঠন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা যে উচ্ছাস দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত, কৃতজ্ঞ। আপনারা বারবার আমাকে যেভাবে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেন তার ঋণ শোধ করা সম্ভব না। তিনি নেতাকর্মীকে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার সাথে মাঠে-ময়দানে জনতাকে সাথে নিয়ে কাজ করবার আহবান জানান।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমনে সরাইল বিশ^রোড থেকে সহস্রাধিক মোটর সাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানিয়ে শহরে নিয়ে আসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদির মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২১ মে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নির্মাণ কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাইভেটকার তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মন মিয়ার ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ৩ জুন শনিবার বিকেলে শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আয়োজিত ৬ষ্ঠ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়ে।
কমিটিতে সভাপতি পদে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাধারণ সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাছির মিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ রবিবার মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করবে। অপরদিকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হরতালের কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সভা করে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।
সভায় রবিবার সকালে জেলার শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জেলা ছাত্রলীগ, শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) এলাকায় যুবলীগ, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহরের সমবায় মার্কেটের সামনে শ্রমিক লীগ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার সামনে তাঁতী লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, শহরতলীর পীরবাড়ি এলাকায় শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। এসব এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। পরে তারা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থা নেবে। আমরা হরতাল বিরোধী মিছিল করব। যেখানে হরতাল হবে সেখানে প্রতিহত করব।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে রোববার জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সকাল আটটা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে কেউ শান্তি নষ্ট করুক সেটা আমরা চাই না। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে আমরা প্রস্তুত আছি। গণতন্ত্র উদ্ধারে বাঁধা অতিক্রম করতে হবে।